আভ্যন্তরীণ নানা সমস্যার সমাধান না হওয়ায় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু কাজ থমকে থাকায় উষ্মা প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য এম কে নারায়ণন। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে আচার্য এ কথা জানান। তিনি বলেন, “আমি জানি, গত কয়েক বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে একের পর এক সমস্যা চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কাজকর্ম চালাতে তা ক্ষতি করেছে বলে আমি গভীরভাবে ব্যথিত।” তবে আগামী দিনে তা মিটবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, অনুষ্ঠান শুরু আগে কোর্ট সদস্যদের বৈঠকের পরে প্রায় দেড় কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে সাসপেন্ড হওয়ায় রেজিস্ট্রার দিলীপ সরকারের ব্যাপারে খোঁজখবর নেন। দিলীপবাবু সাসপেন্ড থাকায় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারকে দিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে বলে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরের খবর, এর পরেই আচার্য প্রয়োজনে আরও কড়া পদক্ষেপ করে স্থায়ী রেজিস্ট্রার নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন। উপাচার্য সমীর কুমার দাস বলেন, “নানা সমস্যা কাটিয়ে পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতাবস্থায় এসেছে। আচার্যের পরামর্শ কার্যকর করতে আমরা ভবিষ্যতেও উদ্যোগী হব।” তবে দিলীপবাবুর ব্যাপারে আচার্যের খোঁজখবর নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও ‘কড়া পদক্ষেপের পরামর্শে’র ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি উপাচার্য। |
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল।—নিজস্ব চিত্র। |
এ দিন সমাবর্তনে আচার্য তথা রাজ্যপাল জানান, ২০১০ এবং ২০১১ সালে সমাবর্তনে যোগ দিয়ে উত্তরবঙ্গে ধস, বন্যা, ঝড়, ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই সংক্রান্ত গবেষণার কাজ করতে তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “আমার পরামর্শ কার্যকর হয়েছে কি না বা কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে কি না জানা নেই। তাই আরও এক বার এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশেষ নজর দিতে বলব।” বস্তুত, বর্তমানে এ ধরনের বিশেষ কোনও কাজকর্ম এখনও হয়নি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার উপর ম্যানেজমেন্ট কোর্স বছর কয়েক আগে করানো হলেও এখন তা বন্ধ। উপাচার্য সমীরকুমার দাস বলেন, “আচার্যের পরামর্শ মেনে ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদালয় মঞ্জুরি কমিশনের উদ্যোগে দুর্যোগ মোকাবিলা সংক্রান্ত কয়েকটি বিষয়ে পড়াশোনা শুরু হচ্ছে। ‘রিমোর্ট সেনসেশন’ ও ‘জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেশন’ এর মাধ্যমে বন্যা নিয়ন্ত্রণের উপরেও কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।” |