পর্নোগ্রাফি আর শেক্সপিয়র। মেশানো যায়! ওফিলিয়া তো হ্যামলেটের প্রত্যাখ্যাতা প্রেমিকা, যিনি শেষমেশ হ্যামলেটের উপেক্ষা সইতে না পেরে পাগল হয়ে জলে ডুবে মরেন। আর ‘স্টোরি অব ও’ ফরাসি লেখিকা আন দেক্লো-র ১৯৫৪-য় লেখা এক পর্নোগ্রাফিক উপন্যাস (পলিন রেয়াগে ছদ্মনামে)। ওফিলিয়ার কথা কম-বেশি অনেকেই জানেন, দেক্লো-র উপন্যাসে নায়িকা ‘ও’ নরম স্বভাবের এক মেয়ে, যাঁকে গড়ে তোলা হয় কামুক পুরুষের ক্রীড়নক হিসেবে। যিনি যৌন-ক্রীতদাসী হয়ে ওঠার মধ্যেই খুঁজে পান বেঁচে থাকার পূর্ণতা। প্রকাশের সময় বিতর্কের ঝড় তুলেছিল উপন্যাসটি। প্রশ্ন উঠেছিল এ কি সাহিত্য, না শুধুই রগরগে পর্নোগ্রাফি? ফেমিনিস্টরা প্রতিবাদ করেছিলেন, নারীর অপমান করা হয়েছে।
পর্নোগ্রাফিক ‘ও’ আর শেক্সপিয়রের ‘ওফিলিয়া’, এঁদের দুজনকে নিয়েই পারফরমেন্স বাঁধলেন নিউ ইয়র্কের আভাঁ-গার্দ থিয়েটারের সংস্কারক, নির্দেশক ও নাট্যাচার্য, আশি-ছুঁই-ছুঁই শেখ্নার। ষাটের দশকে দ্য পারফরমেন্স গ্রুপ-এর জনক ও আশির দশকে নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। ইংল্যান্ডের কেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকদের নিয়ে সৃষ্টি করলেন এই পারফরমেন্স।
এর টেক্সট নেওয়া হয়েছে ‘হ্যামলেট’ থেকে শুধু নয়, ওফিলিয়ার ছিন্ন সংলাপের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শেক্সপিয়রের যে সব নায়িকারা অপঘাতে মারা গিয়েছেন, তাঁদের সংলাপও। সমান্তরালে চলেছে দেক্লো-র উপন্যাস থেকে ছেঁড়া ছেঁড়া উদ্ধৃতি। পাশাপাশি পারফরমেন্সও বইছে ভিন্ন ভিন্ন খাতে, ভিন্ন ভিন্ন ঘরে, নানান আয়োজনে। অর্থাৎ, এক বার বিল্ডিংয়ে ঢুকে পড়লে দর্শককেই বেছে নিতে হবে কোন ঘরে যাবেন, কোন অর্ডারে। অর্থাৎ, সন্ধ্যাশেষে প্রত্যেক দর্শক নিয়ে যাবেন যার যার নিজের মতো করে দেখা পারফরমেন্সের অভিজ্ঞতা।
পর্নোগ্রাফিক চিত্রায়ণকে তেমন ভাবে ঠেললে, তা অপর প্রান্তে গিয়ে, বিপরীতধর্মী কোনও বার্তা বয়ে আনতে পারে কি? নারীদেহের পশরা দেখিয়ে কি সেই পশরারই বিরুদ্ধে কোনও মেসেজ দেওয়া সম্ভব? লিঙ্গকেন্দ্রিক, লিঙ্গতান্ত্রিক পুরুষের নজরে ঢুকিয়ে দেওয়া সম্ভব জটিল অপরাধবোধ? এ এক অদ্ভুত পিচ্ছিল পথ। অথচ সেই বেইমান পথই বেছে নিয়েছেন শেখ্নার! একটি ঘরে চলছে ‘পিপ-শো’; কাঠের দেওয়ালে ছিদ্র দিয়ে উঁকি মেরে দেখতে হয় লাস্যময়ী নারীদের। স্তন ও জঙ্ঘার ফাঁকে, যৎসামান্য বস্ত্রের আড়ালে, নিষিদ্ধের হাতছানি। প্রসাধনরতা নারী, শৃঙ্গার-প্রস্তুতিতে। দৃশ্য চলাকালীন, দর্শকের কানে দেওয়া হয়েছে হেডফোন, যাতে শোনা যাচ্ছে ‘ও’-র দাসী হয়ে ওঠার ট্র্যাজিক গল্প। এ দিকে অভিনেত্রীর প্রসাধনী ফাউন্ডেশন-এর পাড় ভেঙে গড়িয়ে পড়ছে দ্যোতক অশ্রুধারা, যুগপৎ নীরব ও চিৎকৃত। ভিডিয়ো স্ক্রিনে রক্তপাত। অথচ কামোত্তেজনা নেই বলা যাচ্ছে না, যেমন বলা যাচ্ছে না বিবেকের দংশনও নেই। আর রয়েছে ভাল পারফরমেন্স দেখার অনাবিল আমোদ, ভাবনার আনুপাতিক খোরাক নিয়ে।
চরিত্রায়ণ ও সংলাপের বিভাজন এই রকম ওফিলিয়ার ওপর ন্যস্ত ট্র্যাজেডি প্রকাশের ভার, আর ও-র দায়িত্ব যৌনোত্তেজক পসরা সাজানো। তবে ব্যতিক্রমও আছে। ওফিলিয়ার চুল আঁচড়ে দিতে দিতে ও-র মুখে শুনি চোখা কথন, যখন ওফিলিয়া নরম স্বরে বলছেন শেক্সপিয়রের সংলাপ, ‘আমরা জানি আমরা কী, তবু জানি না কী হতে পারি।’ হঠাৎ কোণের এক খোলা বারান্দায় দেখি স্নান করানো হচ্ছে ওফিলিয়া ওরফে/ অথবা ও-কে। জলে ভিজতে ভিজতে, কাঁপতে কাঁপতে অভিনেত্রী আউড়ে চলেছেন সংলাপ, জলের ঝাপটে নাস্তানাবুদ হতে হতে। জল-ঢালা ক্রমে আকার নেয় আক্রমণের। কিছু ক্ষণ পরে অসহ্য হয়ে ওঠে এ দৃশ্য। প্রতি মুহূর্তে সম্মুখীন হতে হয় এমন সব দৃশ্যের, যেখানে পৌরুষের সব তথাকথিত সংজ্ঞা তির্যক প্রশ্নের মুখে চুরমার হয়ে যায়। কে নারী? কীসের পৌরুষ? সবাই কি সমান জমিতে দাঁড়িয়ে, আসলেই? আমাদের লিঙ্গ-বৈষম্যহীন প্রগতিশীলতার কতটুকুই বা প্রকৃত অর্থে কায়েম করা গিয়েছে? তার কত ভাগ ইলিউশন? ধর্ষণ কি শুধু জবরদস্তি পেনিট্রেশন-এই হয়?
আসলে ‘ক্ষমতা’ তো কখনওই স্থবিরতায় বিশ্বাসী নয়। ক্ষমতা সর্ব ক্ষণ বয়েই চলেছে। সরল ধারায় নয়, চক্রাকারে। এ হাত থেকে ও হাত থেকে সে হাত থেকে বেহাত। আর বইতে বইতে গড়ে দিয়ে যাচ্ছে মনোভাব, মনোপ্রকার, মনোবিকারও। এ ক্ষেত্রে থিয়েটারের, পারফরমেন্স-এর কাজ কী হতে পারে? আমাদের এক কালাপাহাড়ের কথায়: ভাবানো, ভাবতে প্র্যাকটিস করানো।

একটি বাস্তববাদী, সময়োচিত, স্বচ্ছ ও মেধাবী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন রাজ্যের এক নম্বর রাজনৈতিক দলটি। গতকাল দলের শীর্ষ নেতৃত্বের উপস্থিতিতে একটি ঘরোয়া আলোচনায় বিষয়টি উঠল, আলোচনা হল, পাশও হয়ে গেল। এ বার সাধারণ সভায় সিলমোহরের অপেক্ষা। সিদ্ধান্তটি অভিনব। দলে যে সব নেতাদের টিআরপি ও জিআরপি (জেনারাস রেটিং পয়েন্টস) উঁচুর দিকে, তাঁদের কাছে প্রায়ই বিভিন্ন চ্যানেল থেকে সাক্ষাৎকার বা টক-শো’তে যোগ দেওয়ার আবেদন আসে, কিন্তু এর উপর কিছু দলীয় নিষেধাজ্ঞা থাকে। তাতে যে দলের প্রচারই বিঘ্নিত হয়, এবং বিরোধীরা অনেক বেশি ‘ভিজিবিলিটি’ নিয়ে বেরিয়ে যায়, সে বিষয়ে সকলেই একমত হয়েছেন। সমাধানের জন্য প্রস্তাব উঠেছে, জনপ্রিয় নেতাদের ‘অ্যাপিয়ারেন্স ফি’ চালু করা হোক। এর ফলে দলীয় তহবিলও মজবুত হবে, আবার ছুঁতমার্গের অভিযোগও টিকবে না! শুধু একটা ‘রেট চার্ট’ তৈরি করে মিডিয়ার কাছে পৌঁছে দিতে হবে। কোন নেতার মিনিট-প্রতি কত, এক্সক্লুসিভ প্রশ্নের জন্য কত ‘ফি’, সব ঠিক করে রাখতে হবে। এক নেতার কথায়: ‘এর মধ্যে কোনও অস্বচ্ছতা নেই। যে কোনও পেশাদারই ‘ফি’ নেন, আমরা নেব না কেন? তবে হ্যাঁ, পেশাদারিত্বটা বুঝতে হবে। আমি ফি নিলাম অথচ ভাল ‘সার্ভিস’ দিলাম না, টক শো-তে বিতর্কিত কোটেশন সাপ্লাই করলাম না, সেটি হবে না!’ এর জন্য একটা ‘গ্রুমিং টিম’ তৈরি করা হবে। তাতে থাকবেন আবৃত্তিশিল্পী, ড্রেস ডিজাইনার, মনোবিদ, সাংবাদিক। তাঁরা নেতাদের ট্রেনিং দিয়ে পারফরমেন্সের উপযুক্ত করে গড়ে তুলবেন। পরের ধাপে জনসভাগুলিকেও এর আওতায় আনা হতে পারে। সেই অনুষ্ঠানের ভিডিয়ো-অডিয়ো স্বত্ব বিক্রি করে বা ‘বিডিং’-এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন স্পনসর ইত্যাদি জোগাড় করে নেতাদের ‘ফি’ মেটানো হবে। তবে বছরে একটা ‘ফ্রি’ জনসভা হবে ব্রিগেডে। এ বিষয়ে অন্যান্য দলগুলির থেকে এখনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

প্রচণ্ড ভিড়ে ঠাকুর
দেখার দশটা সহজ উপায়



ম্যানহোলের সুড়ঙ্গে ঢুকে পড়ুন,
আন্ডারগ্রাউন্ডে হেঁটে প্যান্ডেলের
সামনে ঢাকনা খুলে বেরিয়ে আসুন

চোঙা হাতে চেঁচান:
পাশের প্যান্ডেলে
বচ্চন এসেছেন!


জঘন্য গন্ধওলা তেল
গায়ে মেখে ফকির
সেজে বেরোন


দমকলের গাড়ি নিয়ে ঠাকুর দেখতে বেরোন

গুপিবাঘার জুতো পায়ে
গলান। সমস্যা একটাই, একখানি
স্যাঙাত জোগাড় করতে হবে

প্রচুর গ্যাস-বেলুনের
গোছা কিনে ভিড়ের
ওপর উড়ুন


অবশ্য ই.টি.-কে সাইকেলের
সামনে বসিয়ে, তার ম্যাজিকে
উড়তে পারেন


সাবমেরিন কোম্পানিতে গিয়ে
দামি পেরিস্কোপ কিনে আনুন

বিখ্যাত প্যান্ডেলের ঝাড়বাতির
ওপর চতুর্থী থেকে লুকিয়ে বসে থাকুন
(টিপিনকারি সঙ্গে নিতে ভুলবেন না)

১০

শিব সেজে প্যান্ডেলে গিয়ে বলুন, ‘মিসেস-কে ডেকে দে! আলমারির চাবি কোথায় রেখেছে?’

• পুজো এসে গেল। প্যান্ডেল-হপানো কলকাতাবাসীর ঠাকুরদেখা নিশ্চিত করতে পুলিশি ব্যস্ততাও তুঙ্গে। গিজগিজে ভিড়ে হারিয়ে যায় বহু শিশু, ভয়ে-টেনশনে কাঁদতে থাকে, অজ্ঞানও হয়ে যায়। তাই কলকাতা পুলিশ হতে চাইছে শিশুবন্ধু পুলিশকাকু। শহরের আটটি স্পটে থাকবে আটটি পুলিশ ভ্যান, তাতে চকোলেট, বেলুন, হেল্থ ড্রিংক আর বিচিত্র কার্টুন-মুখোশ মিকি মাউস, ডোরেমন, টম অ্যান্ড জেরি। মা-বাবার আঙুলছাড়া, ট্রমা-ত্রস্ত শিশুদের এ সবে ভুলিয়ে রাখা, যত ক্ষণ না অভিভাবকরা ওদের খুঁজে পাচ্ছেন। পুলিশ দেখে বাচ্চারা উলটে আরও না ভয় পেয়ে যায়, তাই ওঁরা থাকবেন বন্ধু-বেশে, দেখে শিশুরা কান্না ভুলে খিলখিলিয়ে খেলায় মাতবে। পানীয় জল, রিহাইড্রেশন সলিউশন, মেডিকেল-কিট থাকবে, দরকারে ডাক্তার-নার্সও। শিশুদের জন্য উদ্যোগ, তাও আবার পুলিশের, স্যালুটযোগ্য! কিন্তু মুশকিল হল, পুলিশ মানে সব্বার কাছে চূড়ান্ত ভয়াবহ জীব, বাপ-মা নিজেরাও (কতকটা সঙ্গত কারণেই) আমাদের পুলিশকে আঠারো ঘা-র ব্যাটনধারী ছাড়া আর কিছু ভাবেন না, আর বাচ্চা ঘুমোতে দেরি করলেই বলেন, সো যা বেটা, নইলে এখুনি পুলিশকে ধরিয়ে দেব, ও-ই বাঁশি বাজিয়ে আসছে। সেই পুলিশ মানে বন্দুকওলা উর্দিপরা ডাকু নয়, খেলার সঙ্গী কাকু, নয়া শিক্ষা পুজোময় ফুলুক ফলুক।

• সমীক্ষায় জানা গেল, স্পেনের লোকেরা গত ৬০ বছর ধরে কম ঘুম বেশি কাজ নীতিতে চলছেন। ১৯৪২-এ জেনারেল ফ্র্যাঙ্কো পড়শি একনায়ক হিটলারের সঙ্গে বন্ধুত্বের টোকেন হিসেবে দেশের টাইম জোন পালটে দেন, তার জের চলছে এখনও, স্পেনীয়রা বাকি ইউরোপের চেয়ে এক ঘণ্টা কম ঘুমোচ্ছেন, অথচ কাজ করছেন দু’ঘণ্টা বেশি। ফলে শরীর ক্লান্ত, মন শ্রান্ত, বউয়ের সঙ্গে খিটিমিটি, বাচ্চাকে বেহুদা খ্যাঁকানি। অফিস-ফেরত বিনোদন নিভুনিভু, চ্যারিটিকর্ম প্রায় নিল। পর্যটকরা জানেন, দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা, সুদীর্ঘ লাঞ্চ, আয়েশি সিয়েস্তা স্প্যানিশ সংস্কৃতির হাড়ে-মজ্জায় ছিল। সে দিন গেছে, এখন চা-ব্রেকও বিরল। তাই ঘড়ির কাঁটা ফের ঘুরিয়ে ন’টা-পাঁচটা কাজের দাবিতে পার্লামেন্টারি কমিশন বসেছে, তৈরি হয়েছে ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য র্যাশনালাইজেশন অব স্প্যানিশ ওয়ার্কিং আওয়ার্স’। দাবি: আমরাও কাজ করব-ঘুমোব বাকি মহাদেশের মতো। হক কথা। হদ্দ পুরনো বেফালতু একুশে আইন একুশ শতকেও জাপটে থাকা মূর্খামি। রাজায় রাজায় যুদ্ধে উলুখাগড়ার প্রাণ যায়, অ্যাদ্দিন জানা ছিল। দুই ডিক্টেটরের হ্যান্ডশেক-এ আধ শতক জুড়ে দেশের লোকের ঘুম উড়লে কাজ পণ্ড হলে সাড়ে সর্বনাশ!


পুজো
১‘গডফাদার’ বইয়ের লেখকের পদবি
২ poo করার জো আছে যেখানে

সেই ঈশ্বরে বিশ্বাস করা আমার পক্ষে অসম্ভব যিনি সারা ক্ষণ নিজের প্রশস্তি শুনতে চান।
নিৎশে

ঈশ্বর এক জন কমেডিয়ান, যাঁর অডিয়েন্স ভয়ের চোটে হাসতে পারছে না।
ভলতেয়ার

স্বর্গের স্বৈরাচারীকে যদ্দিন পুজো করব, মর্তের স্বাধীনতার সম্ভাবনা খুবই কম।
রবার্ট গ্রিন ইংগারসল

দু’রকম লোক আছে। এক দল ঈশ্বরকে বলে: ‘তোমার ইচ্ছেই পূর্ণ হোক।’ আর এক দলকে ঈশ্বর বলেন, ‘ঠিক আছে বাবা, তোর ইচ্ছেমতই কাজ কর!’
সি এস লিউয়িস

বলেছেন সোক্রাতেস পরম বিদ্বান,
‘ওরে ব্যাটা, সর্বাগ্রে নিজেরে তুই জান।
অর্থাৎ আত্মানং বিদ্ধি।’
কিন্তু সে কি সোজা সিদ্ধি?
ভগবানই জানেন কি তিনি ভগবান?

(দেবীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘বাংলা লিমেরিক সংগ্রহ’থেকে)






First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.