এক নয়, একসঙ্গে জোড়া বরাত পেয়ে গেলেন বাংলার অনূর্ধ্ব-১৯ অফস্পিনার আমির গনি। একই দিনে।
শনিবার মূলত তাঁরই দাপটে ভারত অনূর্ধ্ব-১৯-এর কাছে চর্তুদেশীয় সিরিজের ফাইনালে বিধ্বস্ত হল দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯। ভারতের ৫০ ওভারে ২৬৭-৬-এর জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ হয়ে গেল মাত্র ৬৬ রানে!
|
বাংলার গনি: ৩-১৮ |
মাত্র ১৮ রান দিয়ে তিনটে উইকেট তুলে নিলেন গনি। অধিনায়ক বিজয় জোল করেন ৭১। এবং গনির পারফরম্যান্স দেখে বাংলার নির্বাচকরাও ঠিক করে ফেললেন, অনূর্ধ্ব-১৯ টিমে আর তাঁকে রাখা হবে না। গনিকে এ বার পাকাপাকি ভাবে ঢুকিয়ে ফেলা হবে বাংলার অনূর্ধ্ব-২৫ টিমে।
এ দিন বিশাখাপত্তনমের ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং পারফরম্যান্সের পর ফোনে গনি বলছিলেন, “সময়টা খুব ভাল চলছে আমার। আবার একটা ফাইনাল জিতলাম। এর আগে অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছি।” কিন্তু ভাবতে পেরেছিলেন যে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো টিমকে মাত্র ৬৬ রানে গুটিয়ে দেওয়া যাবে? এ বার গনির উত্তর, “অবিশ্বাস্য লাগছে। গ্রুপ পর্বে ওরা তো আমাদের হারিয়েছিল।” ইংল্যান্ডের গ্রেম সোয়ানের প্রবল ভক্ত বাংলার উঠতি অফস্পিনার জানিয়ে দিলেন, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পরামর্শেই এত উন্নতি। বলছিলেন, “মেন্টাল কন্ডিশনিং ক্লাসে দাদি আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন কী ভাবে পাটা উইকেট বল করতে হবে। কী ভাবে উইকেট আসবে। উনি আমাকে ডেকে বুঝিয়েছিলেন।” উল্টো দিকে বাংলা নির্বাচকদের আবার মনে হচ্ছে, গনি যখন ভারত অনূর্ধ্ব-১৯-এর হয়ে খেলছেন, তখন তাঁকে ঘরোয়া ক্রিকেটে এখনই একধাপ তুলে আনা ভাল। নির্বাচক প্রদান দীপ দাশগুপ্ত যেমন বললেন, “গত বার ওকে অল্প কয়েকটা ম্যাচের জন্য অনূর্ধ্ব-২৫-এর টিমে রেখেছিলাম। এ বার পাকাপাকি ভাবে রাখব।” |