|
|
|
|
ঢাকে পড়ল কাঠি |
|
উদ্যমের কাছে হার মানছে বৃষ্টি
আর্যভট্ট খান |
|
সকালে শরতের পেঁজা তুলোর মতো মেঘ তো বিকেলে শ্রাবণের ঘন কালো মেঘ। এর মধ্যেই ছাতা মাথায় কাজ করছেন পুজোকর্তারা। বৃষ্টি আর পুজোকর্তাদের মধ্যে জমেছে লড়াই। দিন কমছে, কাজ অনেক বাকি। স্লগওভারে ব্যাটিং করার মতোই কাজ করছেন পুজো কর্তারা।
লেকটাউন এ ব্লকের নেতাজি স্পোর্টিং ক্লাবের কর্মকর্তারা জানান, বৃষ্টিতে কাজ চলছে পুরোদমে। এ বারের থিম ‘গতির রথে পুরনো পথে’। সাইকেল ও গ্রামোফোনের সামগ্রীতে হচ্ছে মণ্ডপ। প্রবেশ পথে থাকবে ২১ ফুটের গাছ। সাইকেল মাডগার্ড দিয়ে গাছের কাণ্ড ও চাকার রিংয়ে হচ্ছে গাছের নানা অংশ। সাইকেলের নানা অংশ দিয়ে তৈরি হবে চারাগাছ, লতাপাতা। পুরনো গ্রামোফোনের চোঙ সাজানো হচ্ছে পদ্মের আদলে।
নিউ টাউনের ইস্টার্ন হাই শারদোৎসব কমিটির মণ্ডপে গেলে মনে হবে এসেছেন প্রিন্সেপ ঘাটে। শুধু ঘাটই নয়, চোখে পড়বে প্রিন্সেপ মেমোরিয়াল ও দ্বিতীয় হুগলি সেতুর এক অংশ। এ ছাড়া, প্রোজেক্টরের সাহায্যে প্রিন্সেপ ঘাটের পাশে গঙ্গা ও রেললাইন দেখানোরও পরিকল্পনা রয়েছে কর্মকর্তাদের। |
বাজ পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণ কলকাতার একটি পুজো মণ্ডপ। ছবি: সুমন বল্লভ।
|
পঞ্চসায়রের শ্রীনগর সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির মণ্ডপ সাজানো হয়েছে হোগলাপাতায়। ভিতরে ও বাইরে থাকবে হোগলাপাতার কাজ। অজন্তা গুহাশৈলের আদলও দেখা যাবে মণ্ডপে।
ছো নাচ দেখা যাবে গড়িয়ার ইস্ট বালিয়া সর্বজনীন পুজো কমিটির মণ্ডপে এলে। কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, চার দিনই নাচবেন ছো শিল্পীরা। মণ্ডপ তৈরি হবে মাদুর দিয়ে। মূলত পূরুলিয়া জেলার সংস্কৃতিই তুলে ধরা হবে পুজো মণ্ডপে।
মানিকতলা রাজেন্দ্রলাল স্ট্রিট সাধারণ দুর্গোৎসবের মণ্ডপ সাজবে চন্দননগরের আলোয়। ঢোকার পথে আলোয় ফুটে উঠবে বিভিন্ন ধর্মীয় কাহিনী। মণ্ডপ জুড়ে থাকবে নানান হাতের কাজ।
নাগেরবাজার সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির মণ্ডপে এলে দেখা যাবে কন্যাকুমারীর বিবেকানন্দ রক। বিবেকানন্দের ১৫০তম জন্মবার্ষিকীর কথা মাথায় রেখেই এ বারের থিম।
মহাত্মা গাঁধী রোডের বিবেকানন্দ স্পোর্টিং ক্লাবের পুজোয় থাকছে গালার কাজ। খেলনা, বাক্স ইত্যাদির উপর হরেক রকম গালার কাজ হয়। গালা দিয়ে লাল, হলুদ, সবুজ, নীল-সহ নানান রঙের নকশা তৈরি হবে মণ্ডপ জুড়ে।
উত্তর থেকে দক্ষিণ, পুজো মণ্ডপগুলিতে দিন-রাত এখন কর্মব্যস্ততা। সকলের মাথাতেই সময় মতো কাজ শেষ করার চিন্তা। ওভার কম, রান যে এখনও অনেক বাকি! |
|
|
|
|
|