|
|
|
|
আর ভুল নয়, পুলিশ নামবে চতুর্থী থেকেই |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
গত কয়েক বছরের পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিচ্ছে কলকাতা পুলিশ। বৃষ্টির ভ্রূকুটি থাকলেও এ বার চতুর্থী থেকেই রাস্তায় নামছে লালবাজার।
গত কয়েক বছর ধরে মহালয়ার পর থেকেই পুজোর উদ্বোধন শুরু হয়ে যায়। শনিবারই দক্ষিণ কলকাতার যোধপুর পার্ক আর নাকতলায় দু’টি পুজোর উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তড়িঘড়ি উদ্বোধনের জেরে চতুর্থী থেকেই ভিড় হতে থাকে মণ্ডপগুলিতে। গত বছর ষষ্ঠীর সন্ধ্যার ভিড় হার মানিয়েছিল অষ্টমীকেও। পুলিশকর্তারা বলছেন, প্রথামাফিক পুজো শুরুর আগেই লোকে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়ায় তৈরি হয়েছিল যানজট। সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সেই কথা মাথায় রেখেই এ বার চতুর্থী থেকে রাস্তায় পুলিশ মোতায়েন করা হবে। ষষ্ঠী থেকে বাড়বে বাহিনীর সংখ্যা। |
শনিবার তমলুকেপূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে পুজো গাইড ম্যাপের
উদ্বোধন
করলেন সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী ও শিশির অধিকারী। গাইডের
এই প্রচ্ছদটি এঁকেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস। |
শনিবার সকালে পুজোর নিরাপত্তা নিয়ে কলামন্দিরে বৈঠক করেন পুলিশ কমিশনার সুরজিৎ করপুরকায়স্থ। পরে তিনি বলেন, “পুজোয় নিরাপত্তার অভাব হবে না। গত বারের তুলনায় এ বছর পুলিশবাহিনী বাড়ানো হয়েছে।”
কলকাতা পুলিশের কর্তারা জানান, পুজোয় প্রচুর বাইরের লোকের সমাগম হয় শহরে। ভিড়ে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকেই যায়। সেই জন্য এ বার পুজোয় মহিলা পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য গত বছরই পুজোয় প্রায় সাড়ে তিনশো মহিলা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। এ বছর সেই সংখ্যা বাড়িয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচশো করা হয়েছে। বিকেল থেকে মধ্যরাত পেরিয়ে ডিউটি করবেন তাঁরা। যানজট সামাল দিতে রাস্তায় থাকা পুলিশ সংখ্যাও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
দর্শনার্থীদের সহায়তার জন্য বিশেষ ‘মোবাইল অ্যাসিস্ট্যান্স স্কোয়াড’ ঘুরবে শহরের বিভিন্ন রাস্তায়। আর সেই ছ’টি পুলিশ ভ্যানে করে শহরের পরিস্থিতি ঘুরে দেখবেন লালবাজারের শীর্ষ কর্তারা। থাকবে মহিলা পুলিশও। পঞ্চমী থেকে প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন রাস্তায় এই মোবাইল স্কোয়াড দেখা যাবে।
পুজোর ভিড়ে রাস্তা হারিয়ে ফেলার মতো নানা সমস্যায় পড়েন দর্শনার্থীরা। তাঁদের সাহায্যের জন্য কলকাতা পুলিশের চারটি হেল্পলাইন ছাড়াও পুলিশের আটটি ডিভিশনেই অতিরিক্ত একটি করে হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে বলে কমিশনার জানিয়েছেন। পুজোর দিনে ২৪ ঘণ্টার জন্য এই পরিষেবা পাওয়া যাবে বলে কমিশনার জানিয়েছেন। বাকি লাইনেগুলিকেও পুজোয় আরও ভাল ভাবে চালু রাখা হবে।
লালবাজার সূত্রের খবর, পুজোয় নিরাপত্তার স্বার্থে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। শহরের বড় মার্কেট এবং শপিং মলগুলিতে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। তা ছাড়া, বড় বড় কিছু পুজো কমিটি ও পুলিশের যৌথ উদ্যোগে শহর জুড়ে সাড়ে ৪০০টি ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে বলে কমিশনার এ দিন জানিয়েছেন। কমিটিগুলিকেও সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় দর্শনার্থীদের সহায়তার জন্য থাকবে রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড। মণ্ডপের জরুরি সমস্যা সামাল দিতে থাকবে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। পুলিশকর্তারা জানান, বিসর্জন ও ইদুজ্জোহার জন্য ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত একই সংখ্যক পুলিশকর্মী থাকবেন রাস্তায়।
|
কলামন্দিরে বৈঠক সিপি-র |
|
|
|
|
|
|
|