|
|
|
|
ভিড় সামাল দিতে আরও বেশি বারো কামরার লোকাল
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
হাওড়া ও শিয়ালদহ শাখার ট্রেনে এমনিতেই ভিড়ে পা রাখা দায়। যাতায়াত করতে গিয়ে নিত্য নাভিশ্বাস ওঠে শহরতলির যাত্রীদের। এই অবস্থায় উৎসবের মরসুমে বাড়তি ভিড় সামলাতে আরও বেশি সংখ্যায় ১২ কামরার লোকাল ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা করছে রেল।
বড় ট্রেনের সংখ্যা বাড়িয়েও অবশ্য পরিস্থিতি সামলানো যাবে কি না, সন্দেহ আছে। কারণ, শিয়ালদহের সব শাখার ট্রেন চলাচলে অনিয়মটাই এখন নিয়ম। কখনও চালক নেই। কখনও বা প্ল্যাটফর্মে রেক আসছে দেরিতে। কখনও আবার সিগন্যালে বিপত্তি। আর এক বার একটি ট্রেন দেরিতে চলা মানেই পরের পর সব ট্রেনেরই দেরি হওয়া। দীর্ঘ ক্ষণ পরে একটি লোকাল এসে স্টেশনে দাঁড়ালে ট্রেনের দরজায় দরজায় ঝাঁপিয়ে পড়েন অপেক্ষমাণ যাত্রীরা। ধাক্কাধাক্কিতে বেশির ভাগ যাত্রী ট্রেনে উঠতে পারেন না। পড়ে যান অনেকেই। এ-সব দৃশ্যই নিত্যদিনের। তার উপরে পুজোয় শহরতলির দর্শকের ভিড় সামলানোটা রেলের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
রোজ রোজ প্রায় দমবন্ধ অবস্থায় ট্রেন-ভ্রমণের ঝক্কি এড়াতে বেশি বেশি ১২ কামরার ট্রেন চালানোর জন্য যাত্রীরা দীর্ঘদিন ধরেই রেল-কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছিলেন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে পূর্ব রেল ওই ধরনের বেশ কিছু বড় ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে। ন’কামরার অনেক ট্রেনেই জোড়া হয়েছে বাড়তি তিনটি কামরা। পূর্ব রেল সূত্রের খবর, হাওড়ায় এ-পর্যন্ত ৬৪টি এবং শিয়ালদহে ৩২টি ট্রেনে ১২ কামরার ব্যবস্থা হয়েছে। ফলে প্রায় ৩৩ শতাংশ বেশি যাত্রী যাতায়াত করতে পারছেন।
সরকারি হিসেব অনুযায়ী হাওড়া ও শিয়ালদহ মিলিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩০ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। ফি-বছর চার শতাংশ যাত্রী বাড়ছে। উৎসবের মরসুমে বেড়ে যাচ্ছে প্রায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ যাত্রী। দুই ডিভিশন মিলিয়ে সারা দিনে ১২৮৪টি লোকাল ট্রেন চালিয়েও ভিড় সামাল দেওয়া যাচ্ছে না।
এক রেলকর্তা জানান, রেকে কামরার সংখ্যা বাড়াতে পারলে এই সমস্যার কিছুটা সমাধান করা যেতে পারে। তাই এখন সাধ্যমতো সেটাই করার চেষ্টাই চলছে। চলতি বছরের শেষ দিকে সব লোকালেই কামরার সংখ্যা বাড়ানোর কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র বলেন, “সব ট্রেনে ১২ কামরা লাগিয়ে চালাতে গেলে পরিকাঠামোরও বিস্তর পরিবর্তন প্রয়োজন। এখন সেই কাজটাই করা হচ্ছে।” প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য বাড়ানো থেকে শুরু করে সিগন্যাল ব্যবস্থার পরিবর্তন পর্যন্ত সবই চলছে দুই ডিভিশনে। পূর্ব রেলের কর্তাদের আশা, এ বছরের শেষাশেষি পরিকাঠামো পরিবর্তনের কাজ শেষ হয়ে যাবে। তার পরে যাত্রীরা অনেকটাই স্বস্তিতে ট্রেনে যাতায়াত করতে পারবেন। |
|
|
|
|
|