|
|
|
|
| |
পুজোয় মদ বিক্রি বাড়াতে নির্দেশ আবগারির
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পুজোর মরসুমে মদ বিক্রি থেকে রাজস্ব বাড়াতে জেলার আধিকারিকদের নির্দেশ দিল রাজ্য আবগারি দফতর। গত ১ অক্টোবর দফতরের তরফে জেলায় জেলায় আবগারি সুপারদের এই নির্দেশ (মেমো নম্বর ০৪ই/১৩-১৪) দেওয়া হয়েছে। আবগারি দফতরের শীর্ষস্তরের এক কর্তা বলেন, “চলতি আর্থিক বছরে সারা রাজ্যে মদ বিক্রি কিছুটা কম হয়েছে। তার জেরে আবগারি খাত থেকে প্রত্যাশা অনুসারে রাজস্ব সংগ্রহ হয়নি। তাই পুজোর সময়ে মদ বিক্রি বাড়িয়ে রাজস্ব আদায়ে জোর দেওয়ার জন্য নিদের্শ দেওয়া হয়েছে।” সেই সঙ্গে অবৈধ মদ বিক্রি বন্ধ করার কথাও বলা হয়েছে। নির্দেশ এসেছে, পুজোর সময়ে জেলার আধিকারিকরা ছুটি পাবেন না। তবে মহাষ্টমী ও ঈদের দিন মদের দোকান বন্ধ থাকার নির্দেশ বহাল থাকছে।
আবগারি দফতর সূত্রে খবর, গত আর্থিক বছরে রাজ্য সরকার আবগারি খাতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছিল প্রায় ২৭০০ কোটি টাকা। সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছিল। চলতি আর্থিক বছরে লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৩২০০ কোটি টাকা। দফতরের শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত প্রায় ১৩০০ কোটি টাকার কাছাকাছি রাজস্ব এসেছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেকটাই কম। তাই উৎসবের মরসুমে ঘাটতি মেটাতে চাইছে রাজ্য আবগারি দফতর। তবে গত ২৩ সেপ্টেম্বর মদের উপর কর বেড়েছে। তার জেরে বিক্রি কমতে পারে বলেও তাঁদের আশঙ্কা।
গত ২৬ অগস্ট আবগারি কমিশনারের দায়িত্ব নিয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলাশাসক স্মারকি মহাপাত্র। দায়িত্ব নেওয়ার পরেই দফতরের আধিকারিকদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য বৈঠক করে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন তিনি। সেই নির্দেশ জেলায় জেলায় পৌঁছে দেওয়া হয়। দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী পুজোর মরসুমে জেলায় মদ সরবরাহে যাতে কোনও ঘাটতি না থাকে তা দেখতে বলা হয়েছে। মদ প্রস্তুতকারী সংস্থা এবং বটলিং প্ল্যান্টগুলির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে জেলার আবগারি আধিকারিকদের। ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটরদের ‘স্টক’ রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। রুটিন নজরদারির পাশপাশি উৎসবের মরসুমে বেআইনি চোলাই মদের ভাটি এবং ঠেকগুলিতে নিয়মিত অভিযান চালাতে, এবং অভিযানের বিষয়ে জেলা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, উৎসবের মরসুমে আবগারি দফতরের যুগ্ম কমিশনার ও জেলা সুপারিটেনডেন্টরা সদরে থেকে গোটা বিষয়টি দেখভাল করবেন। পুজোর সময়ে দফতরে ২৪ ঘন্টা কোনও এক জন আধিকারিকদের থাকতে হবে। হুগলি জেলার সহকারী আবগারি সুপার সুব্রত দাশগুপ্ত বলেন, “আমরা বেআইনি মদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি। পুজোর সময়ে সেই অভিযান চলবে।” বাঁকুড়া জেলার আবগারি সুপার প্রদীপকুমার পাল বলেন, “রাজস্ব বাড়তে সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বেআইনি মদের ঠেকের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে।” উৎসবের সময়ে বিষাক্ত মদ থেকে দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য নজরদারি চলবে। তবে সমস্ত জেলার আধিকারিকদের আশঙ্কা, দাম (ডিউটি) বাড়ার পরে মদের বোতলে নতুন দামের লেবেল সাঁটা হয়ে আসতে কিছুটা সময় লাগবে। উৎসবের মরসুমে তার জন্য যোগানে প্রভাব পড়তে পারে। |
|
|
 |
|
|
