বৃষ্টিতে সমস্যায় শিল্পীরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কান্দি |
কখনও ভারী, কখনও বা ঝিরঝিরে বৃষ্টি লেগেই রয়েছে। শরতের নীল আকাশে মাঝেমধ্যেই কালো মেঘের আনাগোনা। এই অকাল বর্ষায় সমস্যায় পড়েছেন মুর্শিদাবাদ জেলার মৃৎ শিল্পীরা। তাঁদের কপালে চিন্তার চওড়া ভাঁজ। আর মাত্র দিন পাঁচেকের মধ্যেই শেষ করতে হবে প্রতিমা তৈরির কাজ। মাটির কাজ শেষ হলেও রংয়ের কাজ এখনও বাকি। দিনভর রোদ নেই। আবহাওয়া দফতরের কর্তাদের সতর্কবার্তা, চলতি মাসের ১০ তারিখের আগে রাজ্য থেকে বর্ষা বিদায় নেওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। এ নিয়েই চিন্তিত শিল্পীরা। বড়ঞার মৃৎশিল্পী নবকুমার পাল বলেন, “এ বার ১৪টি প্রতিমার বরাত পেয়েছি। একটিরও রঙের কাজ শেষ হয়নি। বৃষ্টিতে সবকিছু পণ্ড হয়ে গেল। কী করব ভেবে পাচ্ছি না।” রৌদ্রের অভাবে অনেক শিল্পীকে কেরোসিনচালিত যন্ত্রের মাধ্যমে প্রতিমা শুকোতে হচ্ছে। শিল্পীদের দাবি, এরফলে প্রতিমাপিছু বাড়তি ৫০০ টাকা খরচ হচ্ছে। কান্দির শিল্পী অলক দাস বলেন, “অন্যান্য বছর পুজোর সাত দিন আগে প্রতিমার কাজ শেষ হয়ে যায়। এ বছর এখন কিছুই হল না।” সমস্যার কথা মেনেছেন কান্দি মহকুমা সেচ আধিকারিক শিবপ্রসাদ রায়। তিনি বলেন, “বৃষ্টির পরিমান খুব বেশি না হলেও শিল্পীদের কাজে ক্ষতি হচ্ছে।” কান্দি পুরসভার পুরপ্রধান কংগ্রেসের গৌতম রায় বলেন, “আবহাওয়া খারাপ থাকায় শিল্পীদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে। পুজো উদ্যোক্তাদের শিল্পীদের পাশে থাকা উচিৎ।”
|
পালপাড়ায় ব্যস্ত শিল্পীরা |
মহালয়া পেরিয়ে গিয়েছে। সময় নেই আর। কৃষ্ণনগর পালপাড়ায় প্রতিমার মাটির শাড়িতে দ্রুত হাতে তাই পাড় আঁকতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পী দেবকুমার পাল, মৃন্ময় রায়, শুভেন্দু সাহারা। বছরের অন্য সময়ে তাঁরা কাগজের অস্ত্র তৈরির কাজ করেন। সুজয় ঘোষ নামে এক শিল্পী আবার সারা বছর মাছের ব্যবসা করেন। তাতে মাসে চার হাজার টাকা মতো রোজগার হয়। আর পুজোর ঠিক মুখে প্রতিমার কাপড়ে পাড় আঁকেন। এক ফুট পাড় আঁকলে মজুরি মেলে ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা। তিন জন শিল্পী এক দিনে প্রায় ২৩ ফুট পাড় আঁকতে পারেন। সারা বছরের তুলনায় এই সময়টাতেই তাঁদের রোজগার বাড়ে।
|
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস উল্টে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। জখম আট জনকে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ও রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মৃত বৈদ্যনাথ প্রামাণিক (৫৫) ও মুকুন্দ চক্রবর্তী (৫০) শান্তিপুর ও রানাঘাটের বাসিন্দা। |