|
|
|
|
বাংলোয় মন্ত্রীর আপ্যায়নে ত্রুটি, কোপে অফিসার |
সুপ্রকাশ চক্রবর্তী • কলকাতা |
বাংলোটি পূর্ত দফতরের। আর সেখানেই খোদ পূর্তমন্ত্রীর আপ্যায়নে ‘ত্রুটি’। সেই ‘অপরাধ’-এ কৈফিয়ত তলব করা হল অধস্তন অফিসারের।
|
পূর্তমন্ত্রী |
কয়েক দিন আগে সারদা গোষ্ঠীর আর্থিক কেলেঙ্কারিতে ক্ষতিগ্রস্তদের চেক বিলির সূচনা অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, জেলায় জেলায় যখন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে, মন্ত্রীরা সেখানে হাজির থাকবেন। সেই নির্দেশ মেনে বৃহস্পতিবার কোলাঘাটে চেক বিলির অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন পূর্তমন্ত্রী সুদর্শন ঘোষদস্তিদার। সেখান থেকে মহাকরণে ফেরার পথে কোলাঘাটে নিজেরই দফতরের ইনস্পেকশন বাংলোয় কিছু ক্ষণ বিশ্রাম করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু ওই বাংলোয় পূর্তমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে কোনও অফিসার তো হাজির ছিলেনই না, এমনকী স্নানঘরে তোয়ালে, সাবান কিছুই ছিল না বলে অভিযোগ।
এর পরে আর মন্ত্রী ওই বাংলোয় এক মুহূর্ত থাকেননি। গাড়ি হাঁকিয়ে সোজা চলে আসেন মহাকরণে। এবং নিজের ঘরে পৌঁছেই ডেকে পাঠান ইঞ্জিনিয়ার-ইন-চিফ ভুবনেশ্বর কোনারকে। সরকারি সূত্রের খবর, ওই ইনস্পেকশন বাংলো দেখভাল করার দায়িত্ব পূর্ত দফতরের জাতীয় সড়ক শাখার (সার্কেল-১) সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ারের। তাঁর অফিস কলকাতায়। শুক্রবার ভুবনেশ্বরবাবু বলেন, “বৃহস্পতিবার মন্ত্রী যখন কোলাঘাটের ইনস্পেকশন বাংলোয় যান, তখন কোনও পদস্থ আধিকারিক সেখানে হাজির ছিলেন না।” তাঁর বক্তব্য, ইনস্পেকশন বাংলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও দেখভালের দায়িত্ব নির্দিষ্ট করা আছে। সেই কাজে কেন এ-রকম গাফিলতি হল, তার কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ারকে।”
তবে পূর্ত দফতরের অফিসারদের একাংশের বক্তব্য, বৃহস্পতিবার মন্ত্রী যে চেক বিলির অনুষ্ঠান থেকে কোলাঘাটের বাংলোয় আসবেন, সেই ব্যাপারে আগাম কোনও লিখিত তথ্য ছিল না। কে, কাকে, কখন মন্ত্রীর পরিদর্শনের খবর জানিয়েছিলেন, তা অনুসন্ধান করে দেখার দাবি জানিয়েছেন এক শ্রেণির অফিসার।
এ ব্যাপারে পূর্তমন্ত্রীর বক্তব্য জানার জন্য শুক্রবার বহু বার ফোন করা হয় তাঁর মোবাইলে। কিন্তু মন্ত্রীর মোবাইল বেজেই গিয়েছে। |
|
|
|
|
|