|
|
|
|
জনমতের ‘চাপ’ |
জঞ্জাল সাফের ‘প্রতিযোগিতায়’ পুরসভা, প্রশাসন
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
প্রবল জনমতের চাপে শহর থেকে জঞ্জাল সাফাইয়ের জন্য এবার কার্যত প্রতিযোগিতায় নেমেছে পুরসভা ও প্রশাসন। শুক্রবার ভোরে পুরসভার তরফে ভাড়া করা গাড়ি নিয়ে এলাকা থেকে জঞ্জাল সাফাই করানো হয়। পুরসভার দাবি, প্রায় ৩০০ টন জঞ্জাল সাফাই হয়েছে। পাশাপাশি, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের নির্দেশে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও জঞ্জাল সাফাই করানো হয়। প্রশাসনের দাবি, প্রায় ২০০ টন জঞ্জাল সাফাই হয়েছে। দু-তরফের প্রতিযোগিতায় শেষ পর্যন্ত শহর অনেকটাই জঞ্জাল মুক্ত হওয়ায় বাসিন্দারা কিছুটা স্বস্তিতে।
কিন্তু, একদিনে এত পরিমাণ জঞ্জাল সাফাই হওয়া নিয়ে পুরসভা ও প্রশাসনের অন্দরেই নানা প্রশ্ন দানা বেঁধেছে। কারণ, শহরে দৈনিক গড়ে ৩০০ জন জঞ্জাল জমে থাকে বলে পুরসভার দাবি। তা হলে বাকি জঞ্জাল কোথা থেকে তোলা হয়েছে? সে ক্ষেত্রে কী ভাবে হিসেব রাখা হচ্ছে? পক্ষান্তরে, একই জায়গা থেকে দুপক্ষই জঞ্জাল সাফাই করেছে বলে দাবি করলে হিসেবটা মেলানো হবে কী ভাবে? এই প্রসঙ্গে পুরসভার মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন, “আমরা নিজেদের কাজ করেছি। অন্য কেউ কাজ করছে কি না আমার জানা নেই। আমাদের হিসেব স্পষ্ট রয়েছে।”
পক্ষান্তরে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে যাঁদের জঞ্জাল সাফাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়, সেই গাড়ির মালিকদের পক্ষে সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক গোবিন্দ সরকার জানান, তাঁরা যে কাজ করেছেন, তার হিসেব রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। তিনি কাজ করার কথা বলেছেন। আমরা এখন সরকারের হয়ে কাজ করছি। সব হিসেব রয়েছে।”
প্রসঙ্গত, তিন দিন আগে আচমকা বকেয়া টাকা আদায়ের দাবিতে গাড়ির মালিক সংগঠন জঞ্জাল তোলা বন্ধ করে দেয়। শহরে জঞ্জালের স্তূপ জমে যায়। তা নিয়ে বৈঠক করে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রশাসনের মাধ্যমে জঞ্জাল তোলা হবে বলে জানিয়ে দেন। আপাতত প্রশাসন টাকা দিলেও পরে তা পুরসভার থেকেই নেওয়া হবে বলে তিনি জানান। তৃণমূলের দার্জিলিং জেলার মহাসচিব তথা কাউন্সিলর কৃষ্ণ পালের অভিযোগ, “কোনও কাজ করতে পারছে না পুরসভা। তাই প্রতিযোগিতা নয়, শহর পরিষ্কার করতেই আমাদের এই উদ্যোগ। মন্ত্রী নিজে সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছেন।”
পুরসভা ও প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ পুরসভার বিরোদী দলনেতা নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, “শহরে পরিষেবা মিলছে। তার উপরে কংগ্রেসের সংখ্যালঘু বোর্ড আর তৃণমূলের প্রশাসনের মধ্যে যে লড়াই চলছে তাতে শিলিগুড়ির মানুষ তিতিবিরক্ত। সে জন্য দ্রুত নতুন করে পুরভোট করানো জরুরি। তাতে স্পষ্ট হবে মানুষ কার হাতে শিলিগুড়ি শহরের উন্নয়নের দায়িত্ব দিতে চান।” পাশাপাশি, তাঁর দাবি, পুজোর মুখে শহরের রাস্তাঘাট, জঞ্জাল সাফাইয়ের কাজ বাম আমলে কখনও মুখ থুবড়ে পড়েনি। |
|
|
|
|
|