|
|
|
|
ফ্ল্যাট থেকে টাকা-গয়না চুরি
নিজস্ব সংবাদদাতা |
যে ঘরে ঘুমিয়েছিলেন গৃহকর্তা, তার আলমারি খুলেই গয়না-টাকা নিয়ে পালাল চোরেরা। কেউ টের পেলেন না। শুক্রবার ভোরে ঘটনাটি ঘটে বাগুইআটির স্বামীজি কলোনির একটি ফ্ল্যাটে। অভিযোগ, এক মাসে ওই অঞ্চলে পরপর তিনটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামীজি কলোনির চারতলা ওই ফ্ল্যাটবাড়ির একতলায় গোপাল মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রী, পুত্র ও পুত্রবধূর সঙ্গে থাকেন। শুক্রবার গোপালবাবুর ছেলে ইন্দ্রনাথ ভোর পাঁচটা নাগাদ ঘুম থেকে উঠে দেখেন ফ্ল্যাটের পিছন দিকের কোল্যাপসিব্ল গেট খোলা। মাটিতে পড়ে রয়েছে ভাঙা তালা। তিনি বাড়ির অন্য সদস্যদের ডাকেন। অন্যরা ঘুম ভেঙে দেখেন, গোপালবাবু যে ঘরে ঘুমিয়েছিলেন, সেই ঘরের আলমারি খোলা। আলমারি থেকে জিনিস উধাও। গোপালবাবুর পরিবারের দাবি, কয়েক হাজার টাকা ও কয়েক ভরি সোনার গয়না, কিছু রুপোর গয়না উধাও।
গোপালবাবুর পরিবার জানিয়েছে, কিছু টেরই পাননি তাঁরা। চোরেরা ঘরে ঢুকে আলমারির চাবি দিয়ে আলমারি খুলে টাকা-গয়না নিয়ে গিয়েছে। গোপালবাবুর পুত্রবধূ সঙ্গীতা বলেন, “আমার শ্বশুরমশাইয়ের ঘুম বেশ পাতলা। মাঝরাতে ঘুম থেকে ওঠেনও তিনি। বৃহস্পতিবার ভোরেও এক বার উঠেছিলেন। কিন্তু তখনও কিছু ঘটেনি। খুব সম্ভবত ভোর চারটে থেকে পাঁচটার মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে।” ওই পরিবারের আশঙ্কা চোরেরা ক্লোরোফর্ম জাতীয় কোনও স্প্রে ছড়িয়েছিল। ফলে কেউ টের পাননি। পুলিশ জানায়, ওই ফ্ল্যাটে কোনও নিরাপত্তারক্ষী ছিল না।
এ দিনের ঘটনার পরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই এলাকায় দিন কয়েকের মধ্যেই দু’টি ফ্ল্যাট বাড়িতে চুরি হয়েছে। সব ঘটনাই ভোরের দিকে ঘটে। পুলিশ এসে তদন্ত করে চলে যায়। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। পুলিশের টহলদারিও দেখা যায় না। যদিও বিধাননগর কমিশনারেটের এক কর্তার দাবি, তাঁদের কমিশনারেটের আগের কয়েকটি চুরির চোর ও চোরাই জিনিস উদ্ধার হয়েছে। এলাকায় পুলিশের টহলদারি জিপও আগের থেকে বেড়েছে। এ দিনের চুরির তদন্ত চলছে। কিছু সূত্র মিলেছে। |
|
|
|
|
|