পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের দিন ঘোষণা |
পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে পাঁচটি রাজ্যের নির্বাচনকে সেমিফাইনাল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই পাঁচটি রাজ্য হল দিল্লি, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ় ও মিজোরাম। নির্বাচনের ভোট গণনা হবে আগামী ৮ ডিসেম্বর। পাঁচটি রাজ্যেই পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ভি এস সম্পত। |
পাঁচ রাজ্যের ভোট: একনজরে |
মোট ভোটারের সংখ্যা: |
১১ কোটির বেশি |
মোট বিধানসভা আসন: |
৬৩০টি |
মোট ভোট কেন্দ্র: |
১ লক্ষ ৩০ হাজার |
|
মিজোরামকে বাদ দিলে বাকি চারটি রাজ্যে সরাসরি লড়াই হবে কংগ্রেস ও বিজেপি-র মধ্যে। মধ্যপ্রদেশে ২৫ নভেম্বর, রাজস্থানে ১ ডিসেম্বর, দিল্লি ও মিজোরামে নির্বাচন ৪ ডিসেম্বর। তবে ছত্তীসগঢ়ে ভোট হবে ১১ ও ১৯ নভেম্বর দু’দফায়। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে এই প্রথম বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্রে ‘কাউকে ভোট দেব না’ বোতামটি রাখছে নির্বাচন কমিশন।
|
তেলঙ্গানা নিয়ে উত্তাপ ছড়াল |
সংবাদ সংস্থা • নয়াদিল্লি ও হায়দরাবাদ |
পৃথক তেলঙ্গানা রাজ্য গঠনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সায় দেওয়ার পরে দিল্লি ও অন্ধ্রপ্রদেশে উত্তাপ আরও ছড়াল। আজ দিনভর বিক্ষোভে ফেটে পড়ল অন্ধ্রের সীমান্ধ্র এলাকা। পাশাপাশি, অন্ধ্র ভাগের বিরোধিতা করে কেন্দ্রের উপর স্নায়ুর চাপ বাড়াতে একের পর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সাংসদ ইস্তফা দিলেন।
কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী এম এম পল্লম রাজু গতকাল রাতে প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ মেনে ইস্তফাপত্র পেশ না করলেও আজ কিন্তু তাঁর ইস্তফার কথা ঘোষণা করেছেন। রেল প্রতিমন্ত্রী কোটলা সূর্যপ্রকাশ রেড্ডি-ও জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে দেখা করে তিনি তাঁর ইস্তফাপত্র তুলে দিয়েছেন। যদিও ‘আবেগের দ্বারা চালিত হয়ে’ কোনও পদক্ষেপ না করতে মনমোহন তাঁকে অনুরোধ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। |
এ ছাড়াও কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী কে সম্ভাশিব রাও, পর্যটনমন্ত্রী কে চিরঞ্জীবী, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ডি পুরন্দেশ্বরী, তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ দফতরের প্রতিমন্ত্রী কিল্লি ক্রুপারানি-ও ইস্তফা দিয়েছেন বলে তাঁদের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্ধ্রের আইনমন্ত্রী ই প্রতাপ রেড্ডিও রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে ইস্তফা দিয়েছেন। পৃথক তেলঙ্গানাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে যে কংগ্রেস সাংসদেরা ইস্তফা দিয়েছেন, তাঁরা এখন দল ছাড়ারও হুমকি দিচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন আর সম্ভাশিব রাও, অনন্ত বেঙ্কটরামি রেড্ডি, সব্বম হরি এবং ভান্ডাভালি অরুণ কুমার। ওয়াইএসআর কংগ্রেসের প্রধান জগন্মোহন রেড্ডি আগামিকাল থেকে আমরণ অনশনে বসছেন।
|
পুজোমণ্ডপে ব্যবসায়ীকে গুলিতে খুন মানকুণ্ডুতে |
পুজোমণ্ডপের মধ্যে এক মাছ ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুন করল দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার রাতে মানকুণ্ডুর নতুনপাড়া এলাকার ঘটনা। নিহতের নাম বিশ্বনাথ সাহা (৪৫) ওরফে বিশু। তাঁর বাড়ি কানাইলাল পল্লিতে। ব্যবসার কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে তিনি খুন হন। খুনের অভিযোগে শুক্রবার সন্ধ্যায় মহাডাঙা কলোনির বাসিন্দা বিপ্লব দেবনাথ ওরফে সন্টু নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে নানা অপরাধমূলক কাজকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে বলে চন্দননগর থানা সূত্রে জানা গিয়েছে। হুগলির পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী বলেন, “ব্যবসায়িক কারণে পুরনো শত্রুতার জেরেই এই খুন বলে মনে হচ্ছে। মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই খুনের ঘটনায় জড়িত বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।”
|
সংঘর্ষে উত্তপ্ত শিলিগুড়ির মাটিগাড়া |
পরিবহণ নগর থেকে তোলা আদায়ের কর্তৃত্ব নিয়ে খোদ পুলিশ কমিশনারের অফিসের অদূরে প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে বোমা-গুলির লড়াই হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে মাটিগাড়ার পরিবহণ নগরীর সামনে। এলাকার ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, তৃণমূলের মদত পুষ্ট দুটি গোষ্ঠীর মধ্যেই লড়াই হয়েছে। এই ঘটনায় এক জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বোতল বেঙে এক জনের শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়ায় তিনি জখম হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ যুবককে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও অন্য জনকে বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছে। ওই ঘটনার পরে শুক্রবার সকালে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে শতাধিক যুবক মাটিগাড়া বাজারের দোকানপাট বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে ব্যবসায়ীরা মাটিগাড়া থানা ঘেরাও করে রাখেন। ব্যবসায়ীদের চাপের মুখে পুলিশ গিয়ে দোকানপাট খোলানোর ব্যবস্থা করে। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার কারলিয়াপ্পন জয়রামন বলেন, “পুলিশের পক্ষ থেকে প্রাথমিক তদন্তের পরে ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। খুনের চেষ্টা, মারপিটের অভিযোগ ও অস্ত্র আইনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরও খোঁজা হচ্ছে।” |