টানা দু’দিন ধরে রাজ্য জুড়ে নিম্নচাপের প্রভাবে প্রায় ক্রেতাশূন্য বাজার। বুধবার সকালে কান্দি মহকুমায় আকাশের মুখ ভার হলেও, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কালো মেঘ উড়ে গিয়ে শরতের নীল আকাশ বেরিয়ে এল। তার পরই পুজোর কেনাকাটার ঢল নেমেছে কান্দি মহকুমা বাজার-সহ বড়ঞা, ডাকবাংলা, খড়গ্রামনগর, সালার, ভরতপুর ও গোকর্ণ বাজারে। স্বাভাবিক ভাবেই খুশি ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েই। বাজার ক্রেতাশূন্য থাকলে ব্যবসায়ীদের মন খারাপ হওয়ার কথা। কিন্তু এখানে ঘটনাটি ঘটেছে উলটো। কিন্তু কেন? কারণ হিসাবে ব্যবসায়ীদের যুক্তি, কান্দি মহকুমা ‘শষ্যগোলা’ হিসেবেই পরিচিত। ওই মহকুমায় ৭০ শতাংশ মানুষই কৃষিজীবী, বাকি ৩০ শতাংশ মানুষ চাকুরিজীবী। ফলে কৃষকদের মন খারাপ মানেই ব্যবসায়ীদের ক্ষতি।
টানা দু’দিন ধরে এলাকায় নিম্নচাপের প্রভাবে বাজার মন্দা চললেও আখেরে সেটা বৃহত্তর লাভ বলেও দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা। এখন আমন ধান চাষ চলছে। এই সময়েই ধানের ফুল আসার মরসুম। ফুল আসার সময় টানা দু’সপ্তাহ ধরে মেঘ উধাও হয়েছিল। ধানখেতে সেচের জল ছিল না। কখনও সখনও মাঝারি অথবা হালকা বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে জলের অভাবে চাষের ক্ষতির আশঙ্কা করছিল চাষিরা। এমন সময় এলাকায় টানা দু’দিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় ধানখেতে জল জমেছে। কান্দি মহকুমা কৃষি আধিকারিক মৃদুল ভক্ত বলেন, “এই নিম্নচাপটি ধানচাষের জন্য প্রয়োজন ছিল। কারণ এখন ধানের ফুল আসার সময়। এখন সেচের প্রয়োজন ছিল। সেটা না হলে ঠিকমতো ফলন হত না। এতে চাষিদের লাভ হবে।” কান্দি মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক তারকনাথ প্রামাণিক বলেন, “আমরা মূলত চাষিদের সঙ্গেই ব্যবসা করি। বৃষ্টি না হলে ধানচাষের পাশাপাশি মাছচাষেরও ব্যাপক ক্ষতি হত। চাষিদের ক্ষতি হওয়া মানেই মফস্সল ও শহরের বাজারের ক্ষতি। ধান চাষ ভাল হলে চাষিদের হাতে পয়সা আসবে।” |