|
|
|
|
অশালীন আচরণে বাধা, খুন বধূ ও শাশুড়ি
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
অশালীন আচরণে বাধা দেওয়ায় এক বধূ ও তাঁর শাশুড়িকে খুন করার অভিযোদ উঠল। নিহতেরা হলেন শাশুড়ি শান্তি দণ্ডপাট (৬৫) ও তাঁর ছেলের বৌ চন্দনা দণ্ডপাট (২৫)। মঙ্গলবার গভীর রাতে খড়্গপুর গ্রামীণ থানার কলাইকুণ্ডার কৃষ্ণারক্ষিতচক গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
বুধবার চন্দনাদেবীর স্বামী দীপক দণ্ডপাট পুলিশে রাধানগরের বাসিন্দা মনোরঞ্জন মাহাতো ও ডালকাটির সুখদেব সহিসের নামে তাঁর স্ত্রী ও মাকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মনোরঞ্জন ও সুখদেব বাঁশের ব্যবসা করেন। সেই সূত্রে বছর কয়েক আগে বাঁশের সন্ধান দিয়ে কিছু মুনাফার আশায় তাঁদের সঙ্গে পরিচয় হয় দীপকবাবুর। ইদানীং দীপকবাবুর বাড়িতে ওই দুই ব্যক্তির আসা-যাওয়া বেড়েছিল। প্রায় প্রতিদিনই বাড়িতে বসত মদের আসরও। চন্দনাদেবীর সঙ্গেও মনোরঞ্জনের সম্পর্ক তৈরি হয়। এ দিনও মদ্যপান করে রাতে দীপকবাবুর বাড়িতেই ছিলেন ওই দুই ব্যক্তি। রাত একটা নাগাদ ওই দুই ব্যক্তি চন্দনাদেবীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। সেই নিয়ে তাঁদের সঙ্গে শান্তিদেবীর বচসা বাধে। চন্দনাদেবীও চিৎকার শুরু করলে কুড়ুল দিয়ে তাঁর পেটে কোপ মারা হয়। তাঁদেরকে বাধা দেওয়ায় শান্তিদেবীকেও মাথায় কুড়ুল দিয়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
এ দিন সকালে হুঁশ ফিরলে চিৎকার শুরু করেন দীপকবাবু। ততক্ষণে পালিয়ে গিয়েছে মনোরঞ্জন ও সুখদেব। খবর পেয়ে কলাইকুন্ডা ফাঁড়ি থানার পুলিশ দীপকবাবুকে জেরা করে ঘটনার বিবরণ জানতে পারেন। দীপকবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ রাধানগর থেকে মনোরঞ্জন ও ঝাড়গ্রাম সংলগ্ন ডালকাটি থেকে সুখদেবকে আটক করে। পরে দু’জনকেই গ্রেফতার করা হয়। জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ জানিয়েছেন, অভিযুক্ত দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মনোরঞ্জনের সঙ্গে ওই যুবতীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। |
|
|
|
|
|