|
|
|
|
...সময় এল কাছে
|
সুতো থেকে চামড়া,
মণ্ডপসজ্জায় সবই
দীক্ষা ভুঁইয়া |
|
প্রতি বছরই বাড়ির পুজোয় ব্যস্ত থাকায় ঠাকুর দেখার জন্য খুব একটা সময় পায় না ঊষসী। কিন্তু এ বার বন্ধুদের আবদার এক দিন বেরোতেই হবে। সুকন্যা, মৌলি, পলাশ, সুনন্দারা যে ভাবে বায়না ধরেছে, তাতে না গিয়ে উপায় নেই। ঠিক হয়েছে খিদিরপুরে এক বার যেতেই হবে। ওখানে নাকি দু’পা অন্তর বড় বড় সব পুজো হয়।
খিদিরপুর ৭৪ পল্লির পুজোকর্তারা নাকি এ বার মণিপুর ও বাংলার শিল্পকে একসঙ্গে তুলে ধরেছেন। মণ্ডপটি প্রাচীন এক মন্দিরের আদলে। প্রতিমা মণিপুরি শিল্পকলার আঙ্গিকে।
আবার পলাশ সে দিন বলছিল, খিদিরপুর ভেনাস ক্লাবে এ বারের থিম ‘নব আনন্দে জাগো’। পুরাতনের থেকেই নতুনের সৃষ্টি, এই ভাবনা মাথায় রেখে মণ্ডপ হচ্ছে শুকনো গাছ দিয়ে। প্রাণের সঞ্চার বোঝাতে দেবীমূর্তির গায়ে থাকবে সবুজের ছোঁয়া।
গ্রামবাংলার চিত্র ভবানীপুরের অবসর সর্বজনীনের পুজোয়। বিভিন্ন আকারের তুবড়ির খোল, ২৫ লক্ষ পাখির পালকের সঙ্গে তালপাতা, বাঁশ আর কাপড় দিয়ে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। একচালার প্রতিমা।
রাজডাঙা নব উদয় সঙ্ঘে এ বারের থিম “আনন্দযজ্ঞে আনন্দময়ী”। পুরাণ মতে যজ্ঞের আগুনে উত্পন্ন শুভ শক্তিতে শুদ্ধ হয় পরিবেশ। হয় মানুষের আত্মশুদ্ধিও। এখানে মণ্ডপের আকার যজ্ঞভূমির আদলে। প্রবেশপথেই থাকছে যজ্ঞের আগুন। আর তার পাশ দিয়ে গিয়েই দেখা মিলবে মাতৃমূর্তির।
কিন্তু রাজডাঙা যাওয়ার আগে এক বার সেলিমপুর ক্লাব ঘুরে যেতেই হবে। নানা রঙের সুতোর বুননে তৈরি হচ্ছে তাদের মণ্ডপ ও ঠাকুরের আসন। সেই আসন ঘিরে থাকবে লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ, কার্তিক।
সেখান থেকে উষসীরা চলে যাবে সিআইটি রোডের নবমিলন ক্লাবে। দূষণমুক্ত কুটিরশিল্পকে তুলে ধরা হচ্ছে এখানে। মণ্ডপের চার দেওয়ালে কাঠে খোদাই করা গণেশের একাধিক মূর্তি। থাকবে তিনচালার প্রতিমা।
দশ দেবতার কাছ থেকে অস্ত্র পেয়ে তা দিয়েই অসুর দমন করেছিলেন দেবী দুর্গা। তিনি তাই শুভঙ্করী। কাঁকুরগাছি সর্বজনীন দুর্গোত্সব কমিটির পুজোয় দেবী পূজিত হবেন শুভঙ্করী রূপে। কাঠ, চামড়া, তামা, পিতল-সহ বিভিন্ন ধাতু দিয়ে তৈরি মণ্ডপের আকার হচ্ছে শিরোস্ত্রাণের ধাঁচে। মণ্ডপসজ্জায় ব্যবহার হচ্ছে বিভিন্ন মাপের অস্ত্র।
এক দিনে সকালে বেরিয়ে এই মণ্ডপগুলিতে ঘুরতে ঘুরতেই তো সন্ধ্যা হয়ে যাবে। তাই এ ক’টা মণ্ডপ ঘুরেই বাড়ি ফেরার কথা ভেবেছে ঊষসীরা। কিন্তু আরও তো কত ভাল ভাল পুজো বাদ থেকে গেল। পরে আবার ভেবে দেখতে হবে, আর একটা দিন টুক্ করে বেরিয়ে পড়া যায় কি না। |
|
|
|
|
|