উঠে গিয়েছে পিচ। জায়গায় জায়গায় বড় গর্ত। রাস্তা বলে চেনার জন্য যে চিহ্নগুলো অবশিষ্ট আছে সামান্য বৃষ্টিতেই সেটাও মুছে যায় কালনা স্টেশন লাগোয়া তেঁতুলতলার রাস্তায়।
ভাগীরথী ঘেঁষা কালনা শহরের ইতিউতি ছড়িয়ে রয়েছে নানা পুরাকীর্তি। গবেষণার কাজ ছাড়াও কালনায় ঘুরতে আসেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। ভিন্ রাজ্য থেকেও আসেন অনেকে। কিন্তু স্টেশন লাগোয়া রাস্তার বেহাল দশায় সমস্যায় পড়ছেন তাঁরা। সমস্যায় পড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। কারণ, শুধু কালনা শহর নয়, এই রাস্তা দিয়ে অম্বিকা-কালনা স্টেশনেও যাওয়া যায়। পুজোর আগেই রাস্তাটির সারানোর দাবি তুলেছেন তাঁরা। |
অল্প বৃষ্টিতেই এই হাল।—নিজস্ব চিত্র। |
রাস্তাটির বর্তমান অবস্থা এতটাই খারাপ যে সেখানে পায়ে হাঁটাই দায়। বাধ্য হয়ে এই রাস্তা এড়িয়ে ঘুরপথে যাতায়াত করছেন অনেকে। নষ্ট হচ্ছে সময়। ঘটছে দুর্ঘটনাও। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রায় পনেরো বছর আগে বাংলার তৎকালীন রাজ্যপাল নুরুল হাসান কালনা শহরের মহারাজা উচ্চবিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। তখনই শেষ সংস্কার হয়েছিল প্রায় ৩০০ মিটার লম্বা এই রাস্তাটির। তারপর থেকে বার দু’য়েক পুরসভার পক্ষ থেকে রাস্তা মেরামতি করা হলেও সেটি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। তাপ্পি উঠে গিয়েছে কিছুদিনেই।
শুধু স্থানীয় বাসিন্দারাই নয়, রাস্তা খারাপ হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরাও। স্থানীয় একটি চায়ের দোকানের মালিক কেনারাম প্রামাণিক বলেন, “খারাপ রাস্তার কারণে বিক্রি কমে গিয়েছে। শহরে ঢোকার মুখে এই রকম বাজে রাস্তা দেখলে যে কোনও মানুষেরই খারাপ ধারণা হবে। দুর্ঘটনার সম্ভবনাও রয়েছে।”
কালনার পুরপ্রধান তথা স্থানীয় বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু বলেন, “রাস্তাটি স্টেশন লাগোয়া হওয়ায় আমরা প্রথমে রেলের সঙ্গে আলোচনা করব। রেল উদ্যোগী না হলে পুরসভা রাস্তাটি সংস্কার করবে।” অম্বিকা-কালনার স্টেশন মাস্টার অঞ্জন দাস বলেন, “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ রাস্তাটি দেখে গিয়েছেন। রাস্তার অংশ অনেকে জবরদখল করে রয়েছে। রাস্তাটি সারানোর ব্যাপারে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।” |