ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে পুজো মণ্ডপকে বেছে নিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। কোচবিহার শহরের পুজো উদ্যোক্তাদের ডেঙ্গি সচেতনতা নিয়ে প্রচারে কোন বিষয়গুলি তুলে ধরতে হবে, সেগুলি প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই মতো যে পুজো কমিটিগুলি যথাযথ ভাবে প্রচার করতে পারবে, তাদের পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রশাসনের সঙ্গে একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠনও এই উদ্যোগে সামিল হয়েছে। কোচবিহারের সদর মহকুমা শাসক বিকাশ সাহা বলেন, “সচেতনতা বাড়ানো গেলে ডেঙ্গির প্রকোপ শুরু হওয়ার আগেই রুখে দেওয়া সম্ভব হতে পারে। সে কারণে পুজোর সময় ভিড়ে ঠাসা মণ্ডপগুলিকে কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যথাযথ ভাবে প্রচার করা তিনটে পুজো কমিটিকে পুরস্কৃত করা হবে।” প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সচেতনতা বাড়ানোর বিষয় স্পষ্ট ধারণা দিতে শহরের পুজো উদ্যোক্তাদের হাতে সিডি তুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্য দফতরের ব্যানার পোস্টার বিলির কাজও প্রায় সম্পূর্ণ বলে জানানো হয়েছে। কোন পুজো কমিটি কেমন ভাবে প্রচার করছে তা দেখতে বিচারকমণ্ডলী তৈরি করেছে প্রশাসন। প্রতিমা, আলো, মণ্ডপ সহ ডেঙ্গি সচেতনতা নিয়ে প্রচারে ৫০ নম্বর ধার্য করা হয়েছে।
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভাশিস সাহা বলেন, “বাড়ির আশেপাশে জল জমে না থাকার মত কিছু সতর্কতা নিলে ডেঙ্গি মশার উপদ্রব কমানো সম্ভব। শহরের মণ্ডপগুলিতে গ্রামাঞ্চল থেকেও প্রচুর মানুষ ভিড় করেন। তাই সেখানে প্রচার করা গেলে সচেতনতার মাত্রা বাড়ানো সম্ভব হবে।” প্রশাসনের উদ্যোগে খুশি পুজো উদ্যোক্তারাও। পুরাতন পোস্ট অফিস পাড়া পুজো কমিটির সদস্য রাকেশ চৌধুরী বলেন, “স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা বিষয়ে ফি বছর প্রচার করে থাকি। পুরস্কারের ব্যবস্থা থাকায় এবার উৎসাহ বেড়েছে। ডেঙ্গির বিষয়টিও বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে।” |