টুকরো খবর
ন্যায্য মূল্যের দোকানে ৬৫ টাকায় ইনসুলিন
১০ মিলিলিটার ভায়ালের যে ইনসুলিন ইঞ্জেকশনের দাম বাজারে ১৪১ টাকা ৮৮ পয়সা, সেটাই এ বার সরকারি হাসপাতালের ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানে মিলবে মাত্র ৬৫ টাকায়। ডায়াবেটিস রোগীদের পুজোর আগেই এই সুখবর দিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। ৮ অক্টোবর থেকে রাজ্যের সব ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকানে এই ইঞ্জেকশন পাওয়া যাবে। এত দিন ন্যায্য মূল্যের দোকানে ইনসুলিন ইঞ্জেকশন পাওয়া যেত না। রোগীদের কথা ভেবেই এই উদ্যোগ। স্বাস্থ্য দফতরে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে হওয়া প্রকল্পগুলির কনসালটেন্ট গৌতম মজুমদার জানান, রোগীদের সমস্যার কথা জানার পরেই স্বাস্থ্য দফতর ন্যায্য মূল্যের ওষুধ দোকান মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসে। দেখা যায়, কিছু সমস্যা থাকলেও সাধারণ গরিব মানুষের স্বার্থে আরও কম দামেও এই ওষুধ বিক্রি করা যেতে পারে। বুঝিয়ে ওষুধ দোকানের মালিকদের রাজি করানো হয়। তা নিয়ে একটি চুক্তিও হয়। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বিশ্বের মধ্যে সব থেকে বেশি ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষ রয়েছেন ভারতে। ২০০৭ সালেই দেশে এই রোগে আক্রান্ত ছিল ৪ কোটি মানুষ। ২০২৫ সালের মধ্যে সংখ্যাটা ৭ কোটিতে পৌঁছবে বলেই আশঙ্কা চিকিৎসক মহলে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এই উদ্যোগে খুশি ডায়াবেটিস রোগীরা। কেননা এই রোগে এক বার আক্রান্ত হলে ওষুধ প্রায় সারা জীবনের সঙ্গী হয়ে যায়।

পিজি-র পরিষেবা মাতৃসদনেও
পুরসভা পরিচালিত খিদিরপুর মাতৃসদন কেন্দ্রটি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে আনা হচ্ছে। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানান, ১ নভেম্বর থেকে ওই কেন্দ্রটি এসএসকেএম হাসপাতালের অঙ্গ (স্যাটেলাইট সেন্টার) হিসেবে কাজ করবে। তাতে ওই কেন্দ্রে ভর্তি হওয়া রোগীরা এসএসকেএমের পরিষেবা পাবেন। পুর সূত্রের খবর, কলকাতা পুরসভার প্রায় জন্মলগ্ন থেকেই প্রসূতি মায়েদের জন্য ওই কেন্দ্রটি চালু করা হয়। পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তপন মুখোপাধ্যায় জানান, সেখানে ৪০টি শয্যা থাকলেও গড়ে সাত-আট জন প্রসূতি ভর্তি হন। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের এক পদস্থ অফিসার জানান, প্রসূতির চাপ এসএসকেএমে এত বেশি যে অনেককেই ফিরে যেতে হয়। সে দিকে লক্ষ রেখেই পুরসভার কাছ থেকে ওই কেন্দ্রটি এসএসকেএমের সঙ্গে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই মাতৃসদন কেন্দ্রে বর্তমানে যে সব কর্মী রয়েছেন, তাঁরা এসএসকেএমের অধীনে ডেপুটেশনে কাজ করবেন বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে।

নিশ্চয়যান বন্ধ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে
ভাড়ার বকেয়া টাকা না পেয়ে সোনামুখীতে নিশ্চয়যান প্রকল্পের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা বন্ধ করে দিলেন গাড়ি মালিকরা। মঙ্গলবার থেকে সোনামুখী গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওই প্রকল্পে গাড়ি দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ব্যাহত হওয়ার সম্মুখীন হয়েছে এলাকায় সরকারি প্রতিষ্ঠানে সন্তান প্রসব করানোর উদ্যোগ। সমস্যায় পড়লেন এলাকার গর্ভবতীরা। ওই প্রকল্পের আওতায় অ্যাম্বুল্যান্স-সহ সাতটি গাড়ি চলত এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। ওই গাড়িগুলির মালিকদের দাবি, “দিনের পর দিন গাড়ি চালকদের বেতন ও তেলের দাম বাড়ছে। অথচ বার বার ব্লক মেডিক্যাল অফিসারকে জানিয়েও গত সাত-আট মাসের বিলের বকেয়া ভাড়া পাচ্ছি না। তাই বাধ্য হয়ে আমরা এ দিন থেকে ওই পরিষেবা বন্ধ রাখলাম।” সোনামুখীর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রতাপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সমস্যার কথা জানিয়েছি। আশা করছি দ্রুত মিটে যাবে।” যদিও বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুরেশ দাস বলেন, “বকেয়া ভাড়ার দাবিতে ওই পরিষেবা এ দিন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখব।”

আসানসোলে স্বাস্থ্যমেলা
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন আসানসোল শাখা এবং বিএনআর ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল স্বাস্থ্যমেলা। আসানসোল বিএনআর মোড়ে এই স্বাস্থ্যমেলা হয়। সেনর্যালে রোডের একটি বেসরকারি চক্ষু হাসপাতালের সহযোগিতায় মেলাটি আয়োজিত হয়। এই মেলায় আটটি রোগের চিকিৎসা করেন ২০ জন চিকিৎসক। রাজের কৃষিমন্ত্রী মলয় ঘটক মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। বক্তব্য রাখেন রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম আসানসোলের সম্পাদক সুখানন্দ মহারাজ, আসানসোলের ডেপুটি মেয়র অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল পুরসভার চেয়্যারম্যান জীতেন্দ্র তিওয়ারি, আইএসবিটিআই-এর আজীবন সদস্য প্রবীর ধর। ক্লাব সম্পাদক বিদ্যুৎ দাস জানান, সামাজিক চাহিদা থেকেই প্রতি বছর পুজোর আগে বিনা খরচে এই স্বাস্থ্যমেলার আয়োজন করা হয়। বিনা খরচে গরীব রোগীদের ওষুধও দেওয়া হয়।

প্রবীণদের চিকিত্‌সায় হেল্‌থ কার্ড
বয়স্কদের চিকিত্‌সায় বাড়তি সুবিধা দিতে ‘সিনিয়র সিটিজেন হেল্থ কার্ড’ চালু করল বালিগঞ্জের এক বেসরকারি হাসপাতাল। মঙ্গলবার বিশ্ব প্রবীণ দিবসে এই পরিষেবার উদ্বোধন হয়। ইনডোর এবং আউটডোর দু’ক্ষেত্রেই ওই কার্ডের দৌলতে চিকিত্‌সার খরচে ছাড় মিলবে এবং ২৪ ঘণ্টা ইমার্জেন্সি ও অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা মিলবে বলে জানান হাসপাতালের অধিকর্তা হর্ষ ভি অগ্রবাল। প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ছিল বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থাও। কিডনির বিভিন্ন অসুখ, বাত, হৃদ্‌রোগ ইত্যাদি ক্ষেত্রে অন্য বেসরকারি হাসপাতালের তুলনায় সেখানে অনেক কম খরচে চিকিত্‌সা করা হয় বলে কর্তৃপক্ষের দাবি।

দোকানে ভাঙচুর
ভুল ওষুধ দেওয়ার অভিযোগে রোগীর পরিজনেরা নায্য মূল্যের ওষুধের দোকানে ভাঙচুর চালাল। সোমবার রাতে কল্যাণীর জহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে ওই ঘটনায় দোকানের জানলার কাচ ভাঙে রোগীর বাড়ির লোকজন। হাসপাতালের সুপার নিরুপম বিশ্বাস বলেন, “ভুল ওষুধ নিয়ে কোনও অভিযোগ পাইনি। দোকানে ভাঙচুর হয়েছে। শুনেছি ভুল ওষুধ দেওয়া হয়েছিল।”

আমরি মামলা পাঠানো হল দায়রা আদালতেই
ঢাকুরিয়ায় আমরি হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ডের মামলাটি মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত থেকে আলিপুর দায়রা আদালতে পাঠানো হয়েছে। আলিপুরের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট সন্দীপকুমার মান্না মঙ্গলবার আদালত বদলের নির্দেশ দেন। এই মামলায় জামিনে মুক্ত মোট ১৬ জন অভিযুক্তই এ দিন আদালতে হাজির ছিলেন। ১৬ নভেম্বর তাঁদের দায়রা আদালতে হাজির হতে হবে। অন্যতম অভিযুক্ত রাধেশ্যাম অগ্রবাল অসুস্থ। এ দিন তাঁকে গাড়িতে চাপিয়ে আদালতে আনা হয়েছিল। তিনি গাড়িতেই ছিলেন। এসেছিলেন অভিযুক্ত চিকিৎসক মণি ছেত্রীও। ২০১১ সালের ৯ ডিসেম্বর ওই অগ্নিকাণ্ডে ৯৩ জনের মৃত্যু হয়। কলকাতা গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করে ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। তাঁদের মধ্যে ১২ জন হাসপাতালের ডিরেক্টর। বাকি চার জন হাসপাতালের আধিকারিক। অনিচ্ছাকৃত ভাবে মৃত্যু ঘটানো ছাড়াও পুলিশ ওই ১৬ জনের বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি ধারায় মামলা করেছে। এর আগে অভিযুক্তদের তরফে বলা হয়, পুলিশ যে-সব ধারায় অভিযোগ এনেছে, তা অযৌক্তিক। তথ্য, সাক্ষ্যপ্রমাণাদি যথাযথ ভাবে দাখিল হলে ওই সব অভিযোগ আইনে দাঁড়ায় না। তাই বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতেই মামলাটির বিচার হওয়া উচিত। কিন্তু দীর্ঘ শুনানির পরে বিচারক এ দিন মামলাটি দায়রা আদালতেই পাঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।

দু’বছরের ছেলের পেটে মিলল ভ্রূণ
বেশ ক’দিন ধরেই পেটে ব্যথায় ভুগছিল বছর দু’য়েকের ছেলেটি। পেটের আকারও বেড়ে যাচ্ছিল অস্বাভাবিক ভাবে। পরীক্ষা করে হতভম্ব চিকিৎসকেরা। শিশুটির পেটের ভিতরে একটা বড়সড় ভ্রূণ। চিনের হুয়াদি প্রদেশের ঘটনা। শেষ পর্যন্ত অস্ত্রোপচার করে ওই ভ্রূণ বাদ দিলেন চিকিৎসকেরা। তাঁরাই জানিয়েছেন, দু’বছরের জিআও ফেং-এর পেটে যে ভ্রূণ মিলেছে আসলে সেটা ওরই যমজ ভাইয়ের। মায়ের গর্ভে থাকার সময়ে কোনও ভাবে ওই ভ্রূণটা জিআওয়ের শরীরের ভিতরে ঢুকে যায়। ডাক্তারি পরিভাষায় ওই ঘটনাকে ‘প্যারাসাইটিক টুইন’ বলে। এত দিন জিআওয়ের পেটের ভিতরেই ছিল মৃত ভ্রূণটা। জিআওয়ের শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তখনই ঘটনাটি জানাজানি হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.