ধুমধাম করে প্রকল্প চালু হল। কিন্তু থমকে গেল অচিরেই। এমন দৃষ্টান্তের অভাব নেই। এর মোকাবিলায় ছাড়পত্র দেওয়ার পর্বেই সতর্ক হতে বললেন মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র। ভবিষ্যতে চালানো যাবে না, এমপি ল্যাড বা সাংসদ এলাকা উন্নয়ন তহবিলের আওতায় এমন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার মহাকরণে সাংসদ তহবিলের টাকা খরচের পর্যালোচনা করতে জেলাশাসক ও সাংসদদের বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যসচিব। বৈঠকে জেলাশাসকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “কোনও প্রকল্পকে ছাড়পত্র দেওয়ার আগে দেখে নিতে হবে, তা ভবিষ্যতে চালানো সম্ভব কি না। প্রয়োজনীয় কর্মী বা বিশেষজ্ঞ আছেন কি না।” এগুলো যাচাই করে নিয়েই প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া বা না-দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে জানিয়ে দেন মুখ্যসচিব।
সরকারি সূত্রের খবর, সাংসদ তহবিলের টাকায় বেশ কিছু স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। সম্পূর্ণও হয়েছিল সেগুলি। কিন্তু এখন তার বেশ কয়েকটি চালানো যাচ্ছে না। কারণ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, প্রযুক্তিবিদ মিলছে না। ফলে প্রকল্প শেষ হওয়া সত্ত্বেও তা সরকারের কাছে নতুন বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অর্থ বরাদ্দের পরেও একটি জল প্রকল্পের কাজ না-হওয়ায় এ দিনের বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। কৃষ্ণনগরের সাংসদ তাপস পাল জানান, তাঁর বিলি করা বেশ কিছু অ্যাম্বুল্যান্স চলছে না। টাকা জলে গিয়েছে। মুখ্যসচিব সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্যা মেটানোর পরামর্শ দেন।
বৈঠকে অধিকাংশ সাংসদ দাবি তোলেন, তাঁদের তহবিলের অর্থে হাতে নেওয়া প্রকল্পগুলিকে জেলা স্তরেই অনুমোদন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। কলকাতা থেকে অনুমোদন নিয়ে যেতে বেশ কিছুটা সময় নষ্ট হয় বলে তাঁরা অভিযোগ করেন। এ পর্যন্ত যত টাকা জেলা স্তরে পৌঁছেছে, তার ৯২ শতাংশ খরচ হয়েছে বলে বৈঠকে জানান মুখ্যসচিব। |