গ্রামে নতুন রাস্তা তৈরির জন্য টাকার কোনও অভাব নেই। কিন্তু অনেক সময়েই যোগ্য ঠিকাদার পাওয়া যায় না বলে সেই রাস্তা তৈরি করা যায় না। কখনও আবার প্রকল্পের কথা জানিয়ে বাজারে বারবার দরপত্র চাওয়া হলেও ঠিকাদার সংস্থাগুলি আগ্রহ দেখায় না। বিপাকে পড়ে রাজ্য সরকার এ বার প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা প্রকল্পের আওতায় থাকা অধিকাংশ রাস্তা তৈরির বরাত দিয়ে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ন্যাশনাল বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি বা এনবিসিসি-কে। পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় মঙ্গলবার মহাকরণে বলেন, “ঠিকাদার বাছাইয়ের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৪ অক্টোবর কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের কাছ থেকে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া যাবে। এই বিষয়ে ওই মন্ত্রকের মন্ত্রী জয়রাম রমেশের সঙ্গেও আমি কথা বলে রেখেছি।” প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের প্রায় ১১ হাজার কিলোমিটার রাস্তা আছে। এর মধ্যে অর্ধেকের কিছু বেশি রাস্তার কাজ এখনও বাকি। ঠিকাদার পাওয়া যাচ্ছে না কেন? পঞ্চায়েত দফতরের কর্তাদের দাবি, প্রতি কিলোমিটার রাস্তা তৈরির জন্য যে-টাকা বরাদ্দ করা হয়, তাতে অনেক সময়েই ঠিকাদার সংস্থাগুলি কাজ করতে চায় না। আবার কখনও কখনও নিয়মবিধি মেনে নির্দিষ্ট গুণমানের রাস্তা তৈরির যে-সব শর্ত দেওয়া হয়, তাতেও অনেক সংস্থা পিছিয়ে যায়। সুব্রতবাবু জানান, নিয়মমাফিক এনবিসিসি-কে কাজ দিলে সব রাস্তাই দিয়ে দিতে হয়। এ ক্ষেত্রেও তা-ই করা হচ্ছে। যত রাস্তার কাজ বাকি আছে, সবই এনবিসিসি-কে দিয়ে দেওয়া হবে। ঝাড়খণ্ড, বিহার-সহ অনেক রাজ্যই ওই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে দিয়ে রাস্তার কাজ করিয়ে নিচ্ছে বলে পঞ্চায়েতমন্ত্রীর দাবি।
|
বারো বছর আগে স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন আব্দুর রেজ্জাক মণ্ডল। কিন্তু চাকরি মেলেনি। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি পেলেন তিনি। আবেদনকারীর আইনজীবী এক্রামুল বারি জানান, ২০০১ সালে এসএসসি-র মেধা-তালিকার দু’নম্বরে ছিল আব্দুরের নাম। কিন্তু এসএসসি নিয়োগপত্র দেয় সাত নম্বরে নাম থাকা এক মহিলাকে। আব্দুর জানতে চান, কেন তাঁর চাকরি হল না? তাঁকে বলা হয়, ওই পদটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। তাই মহিলা প্রার্থীকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞাপনে কিন্তু সংরক্ষণের কথা জানানো হয়নি। সেই তথ্য সংগ্রহ করে ২০০৪ সালে হাইকোর্টে মামলা করেন আব্দুর। এ দিন শুনানিতে এসএসসি নিজেদের ভুল স্বীকার করে নেয়। বিচারপতি অশোক দাসঅধিকারী চার সপ্তাহের মধ্যে আব্দুরকে নিয়োগপত্র দেওয়ার নির্দেশ দেন।
|
সরকারি দফতরের ওয়েবসাইট নিষ্ক্রিয় থাকায় তফসিলি জাতি, জনজাতি এবং অন্য অনগ্রসর শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা জাতি সংক্রান্ত শংসাপত্র পাচ্ছেন না। অগস্ট মাস থেকে ওই শংসাপত্রের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে বলে নিয়ম করে রাজ্য অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর। পড়ুয়াদের অভিযোগ, যে সাইটটির মাধ্যমে শংসাপত্রের জন্য দরখাস্ত করতে বলা হয়েছিল, সেটি খোলা যাচ্ছে না। ফলে, তাঁরা বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারছেন না। আবেদনের শেষ তারিখ ১৫ নভেম্বর। অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ সংক্রান্ত রাজ্য কমিশনার প্রদীপকুমার জানা বলেন, “আশা করছি, দ্রুত সমস্যা মিটবে।”
|
মহাকরণ ছেড়ে ৫ অক্টোবর, শনিবার হাওড়া মন্দিরতলার নতুন মহাকরণ ‘নবান্ন’-এ উঠে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর প্রথম দিনেই তিনি মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন বলে মহাকরণ সূত্রের খবর। সরকারের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও ওই বৈঠকে নেওয়া হতে পারে। পূর্ত দফতরের কর্তারা জানান, নবান্ন সাজানোর কাজ প্রায় শেষ। ১৪তলায় থাকছে মুখ্যমন্ত্রীর নিজস্ব অফিস।
পুরনো খবর: নয়া মহাকরণের নাম নবান্ন |