বাম আমলে বাসন্তীতে হোগল নদীর উপরে তৈরি হয়েছিল হোগল সেতু। ২০০৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি তত্কালীন পূর্তমন্ত্রী ক্ষিতি গোস্বামী এই সেতুর উদ্বোধন করেছিলেন। পূর্ত ও সড়ক বিভাগের উদ্যোগে ১২ কোটি টাকা খরচা করে সেতুটি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে আর সংস্কার হয়নি সেতুটির। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেতুর কংক্রিটের ঢালাই উঠে গিয়ে ছোট ছোট গর্ত তৈরি হয়েছে। সেতুর গায়েও দেখা দিয়েছে ফাটল। সেতু ও সেতুর সংযোগকারী রাস্তায় ধস নামায় মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। এই অবস্থায় সেতুর বসে যাওয়া অংশটি বাসন্তী থানার পক্ষ থেকে ঘিরে দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং, বারুইপুর, সোনারপুর, কলকাতা-সহ উত্তর ২৪ পরনার বসিরহাট, মিনাখাঁ, হাড়োয়া, সন্দেশখালির সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে হোগল সেতুর। সেতুর উপর দিয়ে গদখালি-বারুইপুর, ঝড়খালি-জামতলা রুটের বাস, অটো, ট্রেকার-সহ বহু যানবাহন যাতায়াত করে। স্থানীয় বাসিন্দা সামাদউদ্দিন মোল্লার কথায়, “সুন্দরবনের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এই সেতুর। কিন্তু সেতুর যা অবস্থা তাতে অবিলম্বে সংস্কার করা না হলে বড় রকমের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।”
বাসন্তীর বিধায়ক এবং আরএসপি নেতা সুভাষ নস্কর বলেন, “সেতু ও সংযোগকারী রাস্তার মাটি বসে গিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে কোনও নজরদারি নেই। সংশ্লিষ্ট দফতরে সঙ্গে আমি সেতুর সংস্কারের ব্যাপারে কথা বলেছি।”
পূর্ত দফতরের সহকারী বাস্তুকার (ক্যানিং) সুব্রত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিষয়টি আমাদের নজরে আসার পরে আমরা সেতুটি ঘুরে দেখেছি। নদীবাঁধের মাটিতে চোরা গর্ত থাকায় মাটি ধসে গিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। শীঘ্রই সংস্কারের কাজ শুরু হবে।” |