|
|
|
|
সাংসদ পদ হারাবেন সাজাপ্রাপ্ত মাসুদ
সংবাদ সংস্থা • নয়াদিল্লি |
ত্রিপুরা এমবিবিএস কেলেঙ্কারিতে চার বছরের কারাদণ্ড হল রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ রশিদ মাসুদের। দাগি সাংসদদের নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায়ের ফলে সাংসদ পদ হারাবেন তিনি। এই রায়ের ফলে এই প্রথম পদ থেকে সরানো হবে কোনও জনপ্রতিনিধিকে।
কোনও সাংসদ বা বিধায়কের ২ বছরের বেশি সাজা হলে তিনি আর জনপ্রতিনিধি থাকতে পারবেন না বলে রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সেই রায়ের প্রভাব কাটাতে অর্ডিন্যান্স এনেছিল কেন্দ্র। তার বিরোধিতা করে বিজেপি। পরে খোদ রাহুল গাঁধী ‘ফালতু’ ওই অর্ডিন্যান্সকে ‘ছিঁড়ে ফেলা’র কথা বলেন। ফলে, প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের উপরে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের আস্থা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়। অনিশ্চিত হয়ে যায় অর্ডিন্যান্সের ভাগ্য। তাই মাসুদের সাংসদ পদ খোয়ানো ছাড়া পথ নেই। কাল পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ। তাঁরও জনপ্রতিনিধির পদ হারানোর কথা।
|
রশিদ মাসুদ |
আজ বিশেষ আদালতে সাজা ঘোষণার আগে সিবিআইয়ের কৌঁসুলি বলেন, “আইনপ্রণেতা থেকে মাসুদ আইনভঙ্গকারী হয়েছিলেন।” প্রতারণা, জালিয়াতি ও দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ওই প্রাক্তন মন্ত্রী। মাসুদের বয়স ও স্বাস্থ্যের কথা জানিয়ে নরম মনোভাব দেখানোর আর্জি জানান তাঁর কৌঁসুলি। তার পরেই সাজা ঘোষণা করেন বিচারক। মামলার অভিযুক্ত প্রাক্তন আমলা গুরদয়াল সিংহ ও এ কে রায়েরও চার বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। সাজা ঘোষণার পরে মাসুদকে তিহাড় জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। মাসুদের গ্রেফতারি, অভিযোগ ও সাজার কথা এর পরে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে জানাবে দিল্লি সরকার। তার পরে চেয়ারম্যান মাসুদের সদস্য পদ খারিজ করবেন। একই নিয়ম প্রযোজ্য লোকসভার সদস্য লালু প্রসাদের ক্ষেত্রেও। লালুর গ্রেফতারি, অভিযোগ ও সাজার কথা লোকসভার স্পিকারকে জানাবে ঝাড়খণ্ড প্রশাসন। তার পরে স্পিকার পদক্ষেপ করবেন। বিজেপি মুখপাত্র শাহনওয়াজ হুসেনের মতে, রশিদ মাসুদ, লালু প্রসাদদের বাঁচাতেই অর্ডিন্যান্স আনা হয়েছিল। বিজেপির বিরোধিতার জন্যই তা সফল হয়নি।
কংগ্রেস মুখপাত্র শাকিল আহমেদের জবাব, “রশিদ বিজেপি-সমর্থিত ভি পি সিংহ সরকারের মন্ত্রী থাকার সময়ে এই কেলেঙ্কারি করেন। কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতারা কি তা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন?” |
|
|
|
|
|