ভরদুপুরে বৃষ্টির মধ্যেই লোকজনের ভিড় ঠেলে দৌড়চ্ছে নীল গেঞ্জি পরা এক যুবক। পিছনে দৌড়চ্ছেন কয়েক জন লোক। কিছুটা দূরে আরও দুই যুবকের হাত শক্ত করে ধরে দাঁড়িয়ে থাকা দুই পুলিশকর্মী ও অন্যরা চেঁচাচ্ছেন “ধর ধর!” আর তাঁদের পাশেই বসে চোখে তীব্র জ্বালা নিয়ে ছটফট করছেন আর এক পুলিশকর্মী। তাঁরই চোখে নাকি ‘মির্চ মশলা’র কায়দায় লঙ্কার গুঁড়ো ছুড়ে পালিয়ে গিয়েছে ওই যুবক।
গণেশ মল্লিক
|
মঙ্গলবার আলিপুর আদালত চত্বরে এই দৃশ্য দেখে অনেকেই হকচকিয়ে যান। পরে জানা গেল, ওই যুবক একটি ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্ত। এ দিন শুনানির শেষে জেলে ফেরত যাওয়ার পথেই এক জন কনস্টেবলের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে পালায় গণেশ মল্লিক নামে ওই বন্দি। রাত পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার করা যায়নি বলেই জানিয়েছে পুলিশ।
লালবাজার সূত্রের খবর, ২০১১-র ১৩ ডিসেম্বর পর্ণশ্রী থানা এলাকায় দু’টি জায়গায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। ১৫ ডিসেম্বর গণেশ-সহ আরও দুই জন গ্রেফতার হয়। তাদের আলিপুর জেলে রাখা হয়েছিল। ওই বছর জুলাই মাসে ভবানীপুরে আর একটি ডাকাতিতেও অভিযুক্ত ছিল গণেশ। সে তারাতলা থানা এলাকার গোরাগাছা রোডের বাসিন্দা।
কী ঘটেছিল এ দিন? লালবাজার সূত্রের খবর, এ দিন বৃষ্টির মধ্যেই গণেশ-সহ আরও দু’জন বন্দিকে আলিপুর সেন্ট্রাল জেল থেকে ফাস্ট ট্র্যাক অষ্টম আদালতে নিয়ে আসা হয় শুনানির জন্য। চারতলায় শুনানির পরে গণেশ-সহ আরও দুই অভিযুক্তকে নিয়ে কলকাতা পুলিশের রিজার্ভ ফোর্সের এক অফিসার ও দুই কনস্টেবল নীচে নামেন। গণেশের হাত ধরে ছিলেন এক কনস্টেবল। তাঁর চোখেই লঙ্কার গুঁড়ো ছুড়ে গোপালপুরের দিকে চম্পট দেয় ওই বন্দি। লালবাজারের এক কর্তা বলেন, “আলিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বিভাগীয় তদন্তে পুলিশকর্মীর গাফিলতি প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |