ডালশস্যের চাষ বাড়াতে সম্প্রতি একটি আলোচনাসভা হয়ে গেল পূর্বস্থলী ১ ব্লকের সোনারুদ্র সমবায় সমিতিতে। উদ্যোক্তা ছিল মধ্যমগ্রাম ইকো ফ্রেন্ডলি সাসটেনেবল এগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্ট মিশন। ওই সংস্থার কৃষি বিশেষজ্ঞদের দাবি, ডালশস্যের বাজার দর ভাল। চাহিদাও রয়েছে। অথচ সচেতনতার অভাবে চাষিরা বছরের পর বছর একই চাষ করছেন। চাষিদের উৎসাহিত করতে এলাকার দশ হেক্টর জমিতে খেসারি চাষের জন্য বিনামূল্যে বীজ, বীজ শোধক ওষুধ দেওয়া হবে বলেও সংস্থার তরফে জানানো হয়। |
খেসারি গাছ।—নিজস্ব চিত্র। |
ওই সংস্থার দাবি, পূর্বস্থলী ১ ব্লকের সোনারুদ্র গ্রামই শুধু নয়, আউশগ্রাম ১, ২, মেমারি ও দুর্গাপুরের কিছু এলাকার বহু চাষিকেও খেসারি চাষে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেক জায়গাতেই ‘পয়রা ক্রপিং’ পদ্ধতিতে চাষ হবে। অর্থাৎ আমন ধান কাটার দশ থেকে পনেরো দিন আগে জমিতে খেসারির বীজ ছড়িয়ে দেওয়া হবে। ধান জমির সারেই ডালশস্যের চাষ হবে। সংস্থার সভাপতি, বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক শঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, জেলার যে সমস্ত জায়গায় সেচের অভাব রয়েছে, মূলত সেই অঞ্চলেই খেসারি চাষের জন্য চাষিদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। শীঘ্রই চাষিদের রতন অথবা নির্মল প্রজাতির বীজ দেওয়া হবে।” তাঁর দাবি, এ ধরণের চাষে টাকা আসবে তো বটেই, জমির স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে। তিনি আরও জানান, নদিয়ার তেহট্টেও খেসারি চাষে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। মালদহে ইতিমধ্যেই মুসুরি চাষে এই সংস্থা ভাল কাজ করেছে বলে জানান তিনি।
এ দিনের সভায় হাজির ছিলেন পূর্বস্থলী ১ ব্লকের কৃষি আধিকারিক পরিতোষ হালদার, মহকুমা কৃষি দফতরের সহ-কৃষি অধিকর্তা পার্থ ঘোষ-সহ বেশ কয়েকজন কৃষি বিশেষজ্ঞ। পার্থবাবু বলেন, “খেসারি ওঠার পরে বীজ হিসেবে এলাকার চাষিদের যা প্রয়োজন তা রেখে বাকিটা এই সংস্থায় ভাল দামে কিনে নেবে।” এ ধরণের উদ্যোগ চাষিদের আরও সচেতন করবে বলে তাঁর দাবি। |