পরিষেবার উন্নতি, বেআইনি কাজ বন্ধ ও এক্সচেঞ্জগুলিতে কর্মী নিয়োগের দাবি জানিয়ে বিএসএনএলের কাটোয়া মহকুমা দফতর কার্যত বন্ধ করে রাখল তৃণমূল প্রভাবিত বিএসএনএল ক্যাজুয়াল লেবার ইউনিয়ন। মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিএসএনএল কর্তাদের দরজায় সংগঠনের পতাকা ঝুলিয়ে দেন তাঁরা। অভিযোগ, বিএসএনএলের কাটোয়া মহকুমা দফতরের কর্তাদের জন্য পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে প্রায় প্রতিদিনই ল্যান্ড লাইন সংযোগ কাটিয়ে দিচ্ছেন গ্রাহকেরা। |
তালা বিএসএনএল এক্সচেঞ্জে।—নিজস্ব চিত্র। |
এ দিনই সিঙ্গির মুলটি গ্রাম থেকে বিএসএনএল দফতরে এসেছিলেন অনন্তকুমার অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, চার মাস ধরে ফোন বিকল পড়ে রয়েছে। বারবার অভিযোগ করার পরেও সমস্যা মেটেনি। সংগঠনের নেতা অপূর্ব দাস বৈরাগ্যের দাবি, “ওই সমস্যা দূর করার জন্য একজন আধিকারিক রয়েছেন। অথচ এসডিও (টেলিফোন) তাকে কাজে লাগাচ্ছেন না। ফলে পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে।” তাঁদের আরও অভিযোগ, কাটোয়া মহকুমায় ২৭টি এক্সচেঞ্জ রয়েছে। অথচ পর্যাপ্ত কর্মী থাকা সত্ত্বেও গ্রামীণ এক্সচেঞ্জগুলি কর্মী বিহীন। তাঁদের দাবি, ওই কেন্দ্রগুলিতে ‘রোটেশন’ পর্যায়ে কর্মী নিয়োগ করলে পরিষেবার উন্নতি হবে। সংগঠনের নেতা চন্দন কোনার বলেন, “আমরা একাধিক দাবি নিয়ে বারবার স্মারকলিপি দিচ্ছি। অথচ পরিষেবার উন্নতি তো দূর আরও অবনতি হয়েছে। তাই এই আন্দোলন করতে বাধ্য হয়েছি আমরা।”
কাটোয়ার এসডিওটি রূপনাথ সোরেন বলেন, “ইউনিয়নের ঝামেলার জের আমাদের পোহাতে হচ্ছে। ছুটিতে আছি। অফিসে গিয়ে ব্যাপারটা দেখব।” |