নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
হাঁস চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিবাদ। তার জেরে সিপিএম সমর্থক এক পরিবারের সদস্যদের উপর হামলার অভিযোগ উঠল কিছু তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের বেনাচিতির নতুনপল্লিতে। তৃণমূল যদিও তা মানেনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিএসপি-র ঠিকাকর্মী শ্যামল ভট্টাচার্যের বাড়ি থেকে একটি হাঁস চুরি যায় ১৫ সেপ্টেম্বর। ১৭ সেপ্টেম্বর পড়শি মহিলাদের সঙ্গে তা নিয়ে শ্যামলবাবুর স্ত্রী সুমনাদেবীর বচসা হয়। অভিযোগ, এর পরেই বাড়িতে চড়াও হয়ে সুমনাদেবীকে মারধর করেন সেই মহিলারা। শ্যামলবাবু অভিযোগ করেন, সেই রাতে মীমাংসার নাম করে তৃণমূলের একটি স্থানীয় অফিসে নিয়ে গিয়ে সুমনাদেবীকে ফের মারধর করেন ওই মহিলারা। বিষয়টি শ্যামলবাবু ফরিদপুর ফাঁড়িতে জানালে দু’পক্ষকেই ডাকে পুলিশ। অভিযোগ, সেখানে গিয়ে তৃণমূলের স্থানীয় ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি রাজু সিংহ শ্যামলবাবুদের হুমকি দেন। শ্যামলবাবু আরও অভিযোগ করেন, সোমবার রাজু সিংহের ভাই রাজেশ সিংহ দলবল নিয়ে তাঁর দুই ছেলের দোকানে চড়াও হয়। রাতে তাঁরা শ্যামলবাবুর বাড়িতেও হামলা চালায়। শ্যামলবাবু, সুমনাদেবী এবং তাঁর দুই ছেলেকে মারধর করা হয়। আসবাবপত্র লণ্ডভণ্ড করা হয়। পুলিশ গিয়ে তাঁদের দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। শ্যামলবাবুর দাবি, “আমরা সিপিএম সমর্থক। তাই এ ভাবে বারবার চড়াও হচ্ছে তৃণমূল।” তিনি জানান, বিষয়টি পুলিশ কমিশনারকে অভিযোগ জানাবেন। অভিযোগ অস্বীকার করে রাজুবাবু বলেন, “ওই পরিবারের আচরণ নিয়ে পাড়ার লোকজন আপত্তি রয়েছে। যা ঘটেছে তা তাঁদেরই প্রতিবাদ। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।”
ফরিদপুর ফাঁড়ির পুলিশ জানায়, প্রথমে তারা মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করেছিল। পরে আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে ওই পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার করা হয়। পরিবারটি লিখিত আকারে অভিযোগ জানালেই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |