রূপাহার থেকে ডালখোলা পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক মেরামতির দাবিতে আন্দোলনে নামল সিটু নিয়ন্ত্রিত উত্তর দিনাজপুর রাস্তা বাঁচাও সংগ্রাম কমিটি। কালীপুজোর আগে জাতীয় সড়ক মেরামতির দাবিতে সোমবার কমিটির সদস্যরা রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় জেলাশাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর পর অতিরিক্ত জেলাশাসকের (সাধারণ) কাছে স্মারকলিপি জমা দেন। অতিরিক্ত জেলাশাসক জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে দ্রুত রাস্তা মেরামতির আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। অতিরিক্ত জেলাশাসক সোনম ওয়াংডি ভুটিয়া বলেন, “জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে দেওয়া দ্রুত রাস্তা মেরামতির আশ্বাস কমিটির সদস্যদের জানিয়ে দিয়েছি।” |
পথ সারানোর দাবিতে স্মারকলিপি পেশ। —নিজস্ব চিত্র। |
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের মালদহ বিভাগের প্রকল্প অধিকর্তা মহম্মদ সইফুল্লা জানান, জাতীয় সড়ক মেরামতির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরই মেরামতির কাজ শুরু হয়ে যাবে। তাঁর কথায়, চারলেন রাস্তা তৈরির কাজে জমি অধিগ্রহণে সমস্যার কারণেই জাতীয় সড়ক মেরামতির কাজ কয়েকমাস পিছিয়ে যায়।গত এপ্রিল মাস থেকে রূপাহার থেকে ডালখোলা পর্যন্ত জাতীয় সড়ক বেহাল। জাতীয় সড়কে অসংখ্য গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ, প্রতিদিনই জাতীয় সড়কে যানজট ও দুর্ঘটনার জেরে নিত্যযাত্রীরা দুর্ভোগে পড়ছেন। বাস, ট্রাক ও ট্রেকার সহ বিভিন্ন গাড়ি বিকল হয়ে পড়ায় পরিবহণ মালিকেরা ক্ষতির মুখে। ব্যবসায়ীরাও সময়মত পন্য আমদানি রফতানি করতে না পেরে লোকসানের মুখে পড়ছেন। কমিটির আহ্বায়ক তথা সিটুর জেলা সাধারণ সম্পাদক সুবীর বিশ্বাস বলেন, “জেলাবাসী, পরিবহণ ও সাধারণ ব্যবসায়ী এবং নিত্যযাত্রীদের স্বার্থে কালীপুজোর আগে স্থায়ীভাবে জাতীয় সড়ক মেরামতি করা না হলে সাধারণ মানুষকে নিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য জেলাজুড়ে পথ অবরোধ করা হবে।”
এই প্রসঙ্গে রায়গঞ্জের বিধায়ক তথা জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, “রাজ্য সরকারের জমি অধিগ্রহণের ভুল নীতির কারণেই গত পাঁচমাস ধরে জাতীয় সড়ক মেরামতি হয়নি। রায়গঞ্জের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দীপা দাশমুন্সির উদ্যোগেই সম্প্রতি কেন্দ্র ৩৫ কোটি টাকা খরচে জাতীয় সড়ক মেরামতির সিদ্ধান্ত নেয়।” তবে জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা ইটাহারের বিধায়ক অমল আচার্যের দাবি, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধেই কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় সড়ক মেরামতি কাজ শুরুর ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে।” |