রোগীর আত্মীয়দের সঙ্গে হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মীদের মারপিটে জখম হলেন সাত জন। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে। ৩ জন জখম নিরাপত্তা কর্মীকে ওই হাসপাতালেই ভর্তি করা হয়। রোগীর আত্মীয়দের তরফে জখম ৪ জনের প্রাথমিক চিকিৎসা হয়েছে। পুলিশ আসে। দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। হাসপাতালের সুপার নির্মাল্য রায় বলেন, “ওয়ার্ডগুলিতে অবাঞ্ছিত ভিড় নিয়ে বিশেষ কড়াকড়ি সত্ত্বেও কিছু রোগীর আত্মীয় তা মানতে চাইছেন না। এমনকী মহিলা ওয়ার্ডেও সারা ক্ষণ ভিড় করে থাকছেন অনেকে। অসময়ে ঢুকতে বাধা দেওয়াতেই আমাদের তিন নিরাপত্তা কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। বিষয়টা পুলিশ দেখছে।” দু’তরফের অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসাধীন রোগীর কাছে বাড়ির একজন সব সময়ে থাকতে পারেন। কিন্তু আত্মীয়-স্বজনেরা রোগীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে সকাল ১১টা-১২টা এবং বিকেল ৪টে-৬টার মধ্যে যাওয়ার কথা। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে আত্মীয়দের আনাগোনা এই হাসপাতালে লেগেই থাকে।
এ দিন গোলমালের সূত্রপাত বেলা ১০টা নাগাদ। চিকিৎসাধীন এক রোগীর আত্মীয় পবিত্র যশের অভিযোগ, বাইরে থেকে ওষুধ কিনে ওয়ার্ডে দিতে যাচ্ছিলেন। গেটে নিরাপত্তা কর্মীরা তাঁকে আটকান। ওষুধ-প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে তাঁদের অনুরোধ করা সত্ত্বেও বেলা ১১টার আগে তাঁকে ঢুকতে দিতে চাননি নিরাপত্তা রক্ষীরা। পবিত্রবাবুর অভিযোগ, তাঁকে গালিগালাজও করা হয়। দালালদের কেন আটকানো হচ্ছে না, এই প্রশ্ন তোলায় ঘুষি মারা হয় পবিত্রবাবুর মুখে। তিনি বলেন, “আমাকে মারছে দেখে অন্য রোগীর আত্মীয়েরাও রুখে দাঁড়ান।”
অন্য দিকে, নিরাপত্তা কর্মীদের পক্ষে পঙ্কজ নন্দী বলেন, “জরুরি প্রয়োজনের কথা বললে আমরা কাউকে বাধা দিয়েছি, এমনটা কখনও হয়নি। তবে রোগীর আত্মীয়েরা সত্যি বলছেন কিনা, তা আমরা যাচাই করে নিই। কারণ মিথ্যা বলে অযথা ওয়ার্ডে ভিড় করেন অনেকে। তাতে অন্য রোগীর অসুবিধা হয়।” এ দিনের ঘটনা প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “অসময়ে ওয়ার্ডে ঢুকতে চাওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। উনি লোকজন খেপিয়ে আমাদের ছেলেদের মারধর করলেন।” পাল্টা মারধর করা হয়নি বলেই তাঁর দাবি। প্রতিরোধ করতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কি হয়ে থাকতে পারে বলে দাবি করেছেন ওই নিরাপত্তা কর্মী। |