ডেঙ্গি মোকাবিলায় শিলিগুড়ি পুরসভা বৈঠক ডেকেও কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারল না। সোমবার সকালে শিলিগুড়ি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক-সহ পুরসভার ডান-বাম কাউন্সিলরেরা। অভিযোগ উঠেছে, সেখানে কোনও সিদ্ধান্ত ঘোষণা না করেই বৈঠক শেষ বলে ঘোষণা করেন মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত। প্রায় দেড় ঘন্টা বৈঠক হলেও ডেঙ্গি প্রতিরোধে জরুরি ভিত্তিতে কি করতে হবে তার কোনও রূপরেখা তৈরি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ বাম এবং তৃণমূল কাউন্সিলররা। এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় বৈঠক শুরু হয়। সেখানে প্রথমেই মাইক বিভ্রাট দেখা দেয়। |
শিলিগুড়ি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ডেঙ্গি নিয়ে পুরসভার বৈঠক। সোমবার তোলা নিজস্ব চিত্র। |
বৈঠকে কংগ্রেসের সকল কাউন্সিল, বামফ্রন্টের ১৬ জন এবং তৃণমূলের দুই জন কাউন্সিলর যোগ দেন। প্রথমেই দার্জিলিং মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবীর ভৌমিক প্রথমে ডেঙ্গি দীর্ঘ বক্তৃতা দেন। এর পরেই পুরসভার মেয়র গঙ্গোত্রী দেবী ডেঙ্গি মোকাবিলায় কী কী করণীয় তা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে জানতে চান। পাশাপাশি, সকলকে একসঙ্গে কাজ করার অনুরোধ করেন। এর পরে পুরসভার বিরোধী দলনেতা শহরের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, স্বাস্থ্য দফতর, পুরসভার ঠিকঠাক কাজ করছে না। শেষে তৃণমূলের তরফে সমীরণ সূত্রধর ঠিক কী ভাবে কাজ করা হবে তা স্পষ্ট নয় বলে মন্তব্য করেন।
প্রায় দেড় ঘন্টা আলোচনা চলার পর মেয়র ‘জরুরি’ কাজ আছে বলে বৈঠক শেষ করে চলে যান। এর পরেই সেখানে অংশগ্রহণকারীরা অনেকেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন। যেমন ৪ নম্বর বরোর তৃণমূল চেয়ারম্যান সমীরণবাবু বলেন, “যে যাঁর মত বক্তৃতা দিয়ে চলে গেলেন, কোনও সিদ্ধান্ত হল না। মেয়র এমন করলে ডেঙ্গি রোখা যাবে কী?” পাশাপাশি, বিরোধী দলনেতা নুরুল ইসলামও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁর বক্তব্য, “বক্তৃতা শোনানোর জন্য আমাদের ডাকা হয়েছিল না কী? একটা সিদ্ধান্ত হল না মেয়র চলে গেলেন। এটা সমন্বয়ের নমুনা?”
বিরক্ত জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবীরবাবুও। তিনি বলেন, “সকলকে যখন ডাকা হয়েছিল, তখন বৈঠক শেষে একযোগে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়াই যেত। কী আর বলব!” যদিও মেয়রের দাবি, “সকলে একসঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে।” |