কলকাতায় এসে লোকসভা নির্বাচনের আগে দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা হওয়ার বার্তা দিলেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি রাজনাথ সিংহ। মহাজাতি সদনে সোমবার রাজ্য বিজেপি-র ‘সঙ্কল্প সভা’য় রাজনাথের বার্তার নির্যাস এ রাজ্যের বিধানসভা বিজেপি-শূন্য হলেও লোকসভা ভোটে দলের জয় নিশ্চিত করতে এ রাজ্যকে ভূমিকা রাখতেই হবে। তার জন্য সমস্ত দ্বিধা ঝেড়ে ফেলে রাজ্য বিজেপি-র কর্মীদের নামতে হবে। আন্দোলনের ময়দানে কোনও বিপদ হলে দল কর্মীদের সাহায্য করবে।
তবে দলীয় কর্মীদের সামনে সাঙ্ঘাতিক কঠিন কোনও লক্ষ্য রাখেননি বিজেপি সভাপতি। তিনি বলেন, “প্রতি লোকসভা কেন্দ্রে দু’জন নওজওয়ান পাওয়া যাবে না, যিনি দৃঢ় ভাবে বলবেন, চার মাসের মধ্যে সংগঠন মজবুত করতে পারব? আপনারা প্রতি বুথে অন্তত ১০ জন কর্মী জোগাড় করুন।” এর পরই রাজনাথের আশ্বাস, “আন্দোলন করার জন্য আপনাদের বিরুদ্ধে মামলা হলে বিজেপি আদালতে লড়াইয়ের দায়িত্ব নেবে। দল আপনাদের ভবিষ্যৎ দেখবে।”
কিছু দিন আগে নরেন্দ্র মোদী কলকাতায় বণিকসভার অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করতে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণের পথে যাননি। এ দিন দলীয় সভার আগে ইন্ডিয়ান চেম্বার এবং এমসিসি চেম্বারের যৌথ সভায় রাজনাথও মমতার সমালোচনা না করে ওই প্রশ্নে কৌশলী থেকেছেন। লোকসভা ভোটে মমতার সঙ্গে জোট হতে পারে? রাজনাথের জবাব, “এ রকম কোনও প্রস্তাব আসেনি। কোনও প্রস্তাব এলে তবে তো!” |
রাজনাথের সঙ্গে সাক্ষাৎ বরুণ গাঁধীর। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক। |
বিজেপি কি মমতাকে জোটের প্রস্তাব দেবে? এ প্রশ্নের উত্তর দেননি রাজনাথ। পরে মহাজাতি সদনের সভায় মমতার সরকার সম্পর্কে তাঁর মৃদু সমালোচনা, “তৃণমূল মানুষের সব প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি।”
মহাজাতি সদনে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে রাজ্য বিজেপি-র পর্যবেক্ষক বরুণ গাঁধীও সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতে জোর দেন। দলের আর এক সর্বভারতীয় নেতা অনন্ত কুমার বলেন, “আমরা সিপিএমের দাদাগিরি বা এখনকার দিদিগিরি চাই না। আমরা মোদীগিরি চাই!” মহাজাতি সদনের সভায় বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতা রামলাল এবং দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহও বক্তৃতা করেন। বণিকসভা এবং দলীয় সভা দু’জায়গাতেই রাজনাথের বক্তৃতার সিংহভাগ জুড়ে ছিল কংগ্রেস এবং ইউপিএ সরকারের সমালোচনা। রাজনাথ জানান, বিকল্প আর্থিক মডেল তৈরির জন্য নিতিন গডকড়ী এবং মুরলীমনোহর জোশীর নেতৃত্বে একটি কমিটি হয়েছে। দেড়-দু’মাসের মধ্যে ওই মডেল বিষয়ক নথি প্রকাশ করা হবে। |