বনগাঁয় পাঁচটি স্কুলে নির্বাচনে জয়ী তৃণমূল
নিজস্ব সংবাদদাতা • বনগাঁ |
ছ’টি স্কুলে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনের মধ্যে পাঁচটিতে জয়লাভ করল তৃণমূল। রবিবার বনগাঁ মহকুমার ছ’টি স্কুলে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন হয়। স্কুলগুলি হল কুমুদিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, রাখালদাস উচ্চ বিদ্যালয়, কেউটেপাড়া হাই স্কুল, গোপালনগরের আদিত্যপুর হাই স্কুল, বাগদার রণঘাট অঞ্চল হাইস্কুল এবং গাইঘাটার তেঁতুলবেড়িয়া পিজিটি সুনীতি বিদ্যাপীঠ। প্রথম পাঁচটি স্কুলে প্রতিটিতেই ৬-০ জিতেছে তৃণমূল। যদিও সিপিএমের পক্ষ থেকে বনগাঁর কুমুদিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, রাখালদাস উচ্চ বিদ্যালয়, কেউটেপাড়া হাই স্কুল এবং গোপালনগরের আদিত্যপুর হাই স্কুলে ভোট বয়কট করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। সিপিএম নেতা গোবিন্দ মণ্ডল বলেন, “ওই চারটি স্কুলে তৃণমূল আমাদের কর্মীদের মারধর করেছে। সেই জন্য আমরা ভোট থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলাম। ওরা ভুয়ো ভোট দিয়ে জয়লাভ করেছে।” অভিযোগ অস্বীকার করে বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “জেতার সম্ভাবনা নেই দেখে ওরা নিজেরাই পালিয়ে যায়। এখন ভোট বয়কটের নাটক করছে।” অন্যদিকে, গাইঘাটার তেঁতুলবেড়িয়া পিজিটি সুনীতি বিদ্যাপীঠে ছয়টি আসনের মধ্যে চারটি আসন পেয়ে জয়ী হয়েছে সিপিএম। |
পুলিশ হাজতে খুনের আসামী
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
যুবক খুনে ধৃত আসামীকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করল পুলিশ। রবিবার কেয়ামত আলিকে বসিরহাট এসিজেএম আদালতে তোলা হলে তার সাত দিনের পুলিশ হাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। পুলিশ সূত্রের খবর, হাসনাবাদ থানার রাজাপুরের জামবেড়িয়া গ্রামে মেছোভেড়ির পাহারাদার দীপঙ্কর মণ্ডল (২৫) কিছুদিন আগে নিখোঁজ হন। তাঁকে অপহরণের অভিযোগে মেছোভেড়ির মালিক কেয়ামত আলিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় দীপঙ্করকে খুনের কথা স্বীকার করে কেয়ামত। |
বধূ উদ্ধারে গ্রেফতার তিন
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
অচৈতন্য বধূর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার রাতে বসিরহাটের খোলাপোতার কাছে একটি পরিত্যক্ত বাড়ির একতলায় কাঠের স্তূপের মধ্যে থেকে অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা। রবিবার গ্রামবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম রতন দাস, পঞ্চানন দাস এবং রনবর দাস। যদিও ওই মহিলাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। মহিলা তাঁর শারীরিক পরীক্ষার জন্য কোনওভাবেই চিকিৎসকদের সাহায্য করছেন না বলে অভিযোগ পুলিশের। |
বাসন্তী নিয়ে ফের রাজভবনে বামেরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকে শুরু হওয়া সন্ত্রাস ও আক্রমণের ঘটনা এখনও অব্যাহত থাকলেও প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে ফের রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানালেন বাম বিধায়কেরা। বাসন্তী পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সহ-সভাপতি তথা আরএসপি নেতা মিন্টু ইসলাম মোল্লার খুনের ঘটনায় বিচার চাইতে সোমবার রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের দ্বারস্থ হয়েছিল বাম পরিষদীয় দল। তাদের অভিযোগ, মিন্টুর খুনের ঘটনায় প্রথমে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের নেতৃত্বে শাসক দল পুলিশের উপরে চাপ সৃষ্টি করে। থানার সামনেই জমায়েত করে অভিযোগকারীদেরও হুঁশিয়ারি দেয়। বাকি অভিযুক্তদের আর কাউকে পুলিশ ধরেনি। রাজভবন থেকে বেরিয়ে বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, “খুন হওয়ার ১০ দিন আগেই মিন্টু থানায় জানিয়েছিলেন, তাঁকে খুনের চেষ্টা হচ্ছে। ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও পুলিশ নিষ্ক্রিয়!” আরএসপি-র দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক তথা বাসন্তীর বিধায়ক সুভাষ নস্করের অভিযোগ, “শাসক দলের এক দঙ্গল লোক নিয়ে থানায় হুমকি দেওয়া হচ্ছে, আর কাউকে ধরা চলবে না! অভিযোগকারীদেরও মিন্টুর মতো অবস্থা হবে! এই অবস্থা চলতে থাকলে রাজ্যপাল ছাড়া আর কোথায় যাব?” উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদে নির্বাচিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গির আলম এবং মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য হাসমত শেখের খুনের ঘটনার কথাও রাজ্যপালের কাছে তুলেছিলেন বাম বিধায়কেরা। |
তৃণমূলকর্মী খুনে ৫ জনের জামিন |
ভাঙড়ের তৃণমূলকর্মী খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ জন সিপিএম কর্মীর জামিন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সিপিএম সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সাত্তার মোল্লা অবশ্য এ দিন জামিনের আবেদন জানাননি। গত ১৭ জুলাই, পঞ্চায়েত নির্বাচনের দু’দিন আগে মাঝরাতে ভাঙড়ের ঘুঙড়ি গ্রামের বাসিন্দা, তৃণমূলকর্মী নজরুল মোল্লা খুন হন। সেই ঘটনায় সাত্তার-সহ ছ’জন সিপিএম নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার বিচারপতি জয়ন্ত বিশ্বাস ও বিচারপতি মৃণালকান্তি সিংহের ডিভিশন বেঞ্চের কাছে পাঁচ সিপিএম কর্মীর জামিনের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য। বিচারপতিরা জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। |
১০০ দিন প্রকল্পে কাজ না দেওয়ার অভিযোগ উঠল কংগ্রেসের পরিচালিত হাঁসন ২ পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। শ্রীকৃষ্ণপুর বাসিন্দাদের দাবি, অগস্টে আবেদন করলে প্রধান তা নেননি। ফের আবেদন করলেও সাড়া মেলেনি। পঞ্চায়েত প্রধান দীপেন মালের দাবি, “কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর ওরা এসেছিল।” |