দীর্ঘদিন ধরে তাঁরাই মিড ডে মিল রান্না করে আসছিলেন। অভিযোগ, হঠাৎই তাঁদের রান্নার কাজ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক। এর ফলে বিপাকে পড়ে গিয়েছেন ওই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের বোদরা গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীরামপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, ভাঙড়ের এই বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে মিড ডে মিলের রান্নার দায়িত্বে রয়েছেন কোহিনূর নামে একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী। ওই গোষ্ঠীর অভিযোগ, গত ৪ সেপ্টেম্বর গোষ্ঠীর তিনজন মহিলা স্কুলে রান্না করতে গেলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সামসুর রহমান মোল্লা তাঁদের রান্না করতে বারণ করেন। ওই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর এক সদস্যা মমতাজ বিবি বলেন, “ব্লক অফিস এবং গ্রাম শিক্ষা কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ওই স্কুলে রান্নার দায়িত্ব দেয়। সেইমতো গোষ্ঠীর ১৪ জন সদস্যা দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে রান্নার কাজ করছিলেন। কিন্তু হঠাৎ এ ভাবে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা সমস্যায় পড়ে গিয়েছি। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে জানিয়েছি।”
যদিও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সামসুর রহমান মোল্লা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে আমি কোনওভাবেই জড়িত নই। স্কুলে কারা রান্নার কাজ করবে তা ঠিক করবে ব্লক প্রশাসন, গ্রাম শিক্ষা কমিটি।”
গ্রাম শিক্ষা কমিটির সম্পাদিকা রুনা বিবির অভিযোগ, “বামফ্রন্টের আমলে যেহেতু ওই গ্রাম শিক্ষা কমিটি তৈরি হয়েছিল এবং কমিটি ওই স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে রান্নার দায়িত্ব দিয়েছিল। সেই কারণে এখন পঞ্চায়েতে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে কমিটি ভেঙে দিয়ে তাদের পছন্দমতো লোকদের রান্নার দায়িত্ব দিতে চাইছে। সে জন্যই এই কাণ্ড।”
স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা ভাঙড়-১ পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি জাহাঙ্গির খান চৌধুরী বলেন, “ওই স্কুলে ঠিক কী ঘটেছে জানি না। তবে এমন কোনও সমস্যা হয়ে থাকলে আলোচনা করে মিটিয়ে নেওয়া হবে।”
ভাঙড়-২ এর বিডিও কনকলতা জাটুয়া বলেন, ‘‘ওই স্কুলে মিড ডে মিলের রান্না নিয়ে একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে শুনেছি। তবে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে কী ভাবে সমস্যার সমাধান করা যায় তা দেখছি।” |