গত রবিবার দু’জেলার কয়েকটি স্কুলের পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন ছিল। মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস-সিপিএমের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। নদিয়ায় দু’টি স্কুলের ভোট ছিল। শাসকদল এবং কংগ্রেস একটি করে পরিচালন সমিতির দখল নিয়েছে। কান্দি মকুমার দশটি স্কুলের ভোটে সাতটিতে জিতেছে কংগ্রেস। শাসকদল একটি স্কুলে জয়ী হয়েছে। দু’টি স্কুলে ত্রিশঙ্কু ফল হয়েছে। বড়ৎঞার নবদুর্গা উচ্চ বিদ্যালয় ও যাওভরী ভড়োঁয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে জিতেছে কংগ্রেস। খড়গ্রামের ভালকুন্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের কংগ্রেস জয়লাভ করেছে। কান্দির পুরন্দরপুর ও মহালন্দী হাই স্কুলে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে কংগ্রেস। গোকর্ণ প্রসন্নময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে ছ’টি আসনের মধ্যে তিনটি করে আসন পেয়েছে কংগ্রেস ও তৃণমূল। ভরতপুর-১ ব্লকের আলিয়া ও জজান কেনারাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোটে জিতেছে কংগ্রেস। ভরতপুর-২ ব্লকের মালিহাটী কান্দরা উচ্চবিদ্যালয়ে কংগ্রেস জিতলেও গুলহাটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ফলাফল হয়েছে ত্রিশঙ্কু।
বেলডাঙা, নওদা ও রঘুনাথগঞ্জের স্কুল ভোটে কংগ্রেসকে হারিয়ে বামেরা নজরকাড়া ফল করেছে। বেলডাঙার কুমারপুর বিএনএম উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোট ৬টি আসনের সবকটিতেই জিতেছে বামেরা। নওদার সর্বাঙ্গপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোটে ৬টি আসনের ৪টি পেয়েছে বামফ্রন্ট ও দু’টি পেয়েছে কংগ্রেস। রঘুনাথগঞ্জের মির্জাপুর ও কানুপুর হাই স্কুলের পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে ৬টি আসনের সবেতেই জিতেছে বামফ্রন্ট।
অন্য দিকে নদিয়ার রানাঘাটের আনুলিয়া হাইস্কুলের ভোটে ৬টি আসনের প্রত্যেকটিতে জিতেছে কংগ্রেস। চাকদহের গাইনপাড়া পল্লী সম্মিলনী হাই স্কুলের নির্বাচনে জয়লাভ করেছে তৃণমূল ও পিডিএস জোট। উভয় দলই তিনটি করে আসন পেয়েছে। |