টুকরো খবর
ভাগীরথী সেতুর নিচে জবরদখল সরাতে নোটিস
জঙ্গিপুরের ভাগীরথী সেতুকে ফের আশঙ্কাজনক ঘোষণা করল জঙ্গিপুরের পূর্ত (সড়ক) দফতর। ক্রমাগত বৃষ্টি ও অবৈধ নির্মাণের চাপেই সেতুর এই অবস্থা বলে জানানো হয়েছে। সেতুর নীচে জবরদখল করে থাকা ব্যবসায়ীরা যাতে সেখান থেকে সরে যান সেই নোটিসও পাঠিয়েছেন ওই দফতরের সহকারী বাস্তুকার রাজেন্দ্রপ্রসাদ মণ্ডল। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এই সেতুকে আশঙ্কাজনক বলে ঘোষণা করেছিল পূর্ত (সড়ক) দফতর। সেই নির্মাণ কিছুটা কমেছিল। রাজেন্দ্রপ্রসাদবাবু বলেন, “সেতুটির সবক’টি স্তম্ভের উপর বিশেষ প্লেট বসিয়ে হাইড্রোলিক সিস্টেম চালু রাখা হয়েছে। সেতুর উপরও কিছুটা অন্তর ফাঁক রাখা হয়েছে যাতে বিভিন্ন সময় সেতুর অংশ বাড়ে বা কমে। ভারি যান চলাচলের সময় হাইড্রোলিক পদ্ধতি কাজ করে যাতে সেতুটি সুরক্ষিত থাকে। কিন্তু নীচে পাকা দোকানঘর গড়ায় সেতুর ক্ষতি হচ্ছে।” ফলে সেতুটির সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তিনি জানান, এই কারণেই সেতুর নীচ থেকে দোকানঘর সরানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে। না সরলে পুলিশ-প্রশাসনের সাহায্যে তা ভেঙে ফেলা হবে। বিষয়টি তদারকি করছেন জঙ্গিপুরের মহকুমাশাসক নিজে। সোমবার নোটিস পেয়ে ব্যবসায়ীরা মহকুমাশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন। তাঁদের বক্তব্য, পুজোর সময় দোকান ভাঙা হলে পথে বসবেন তাঁরা। জঙ্গিপুরের মহকুমাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা বলেন, “পরিস্থিতি দেখে যদি মনে হয় বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে তবে দখলকারীদের সরতে হবে।”

তছরুপের নালিশ, ঘেরাও
বিপিএল তালিকাভূক্ত পড়ুয়াদের ভাতার টাকা সই জাল করে তুলে নেওয়ার অভিযোগে স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন পরিচালন সমিতির সদস্যরা। পরে তৃণমূল নেতারাও বিক্ষোভে সামিল হন। সোমবার দুপুরে নাকাশিপাড়া স্কুলের ঘটনা। পরে পুলিশ এসে বিষয়টি নিয়ে তদন্তের আশ্বাস দিলে স্কুলের তালা খুলে দেওয়া হয়। শাসক দল পরিচালিত পরিচালন সমতির সম্পাদক সজল দাশ বলেন, “২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে দারিদ্র সীমার নিচে ৪৮ জন ছাত্রীর ১২০০ টাকা করে ভাতা এসেছিল। কিন্তু পাঁচ জন ছাত্রী ওই টাকা তুলতে গিয়ে দেখে জাল সই করে ওই টাকা কেউ বা কারা তুলে নিয়েছে। বিষয়টি প্রধানশিক্ষকের নিয়ন্ত্রণে থাকা সত্ত্বেও এই বিষয়ে তিনি কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি।” প্রধানশিক্ষক অমিত দত্ত অবশ্য বলেন, “পুরোটাই সাজানো ঘটনা। কোনও ছাত্রীর কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত এরকম কোনও অভিযোগ আমি পাইনি।” জেলার স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) বিশ্বজিৎ বিশ্বাস বলেন, “অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।”

ক্লাস বয়কট
চকোলেট বোমার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে শেষ পর্যন্ত ক্লাস বয়কট করলেন শিকারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা। সোমবার স্কুলে প্রার্থনার পর আর কোনও ক্লাস হয়নি। স্কুল সূত্রে খবর, ক’দিন ধরেই স্কুলের কিছু ছাত্র স্কুল চত্বরে চকোলেট বোমা ফাটাচ্ছিল। এখনও পর্যন্ত তাদের ধরতে পারেননি শিক্ষকরা। স্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদক জীবনানন্দ মণ্ডল বলেন, “এ দিন স্কুলের কয়েক জন ছাত্র ধূপকাঠির সঙ্গে একটি চকোলেট বোমা স্টাফ রুমের মধ্যে রেখে দেয়। প্রার্থনা শেষে শিক্ষক শিক্ষিকারা স্টাফ রুমে ঢোকার কিছুক্ষণ পরেই আচমকা বোমাটি ফাটে। সকলেই সাময়িকভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এরই প্রতিবাদে সোমবার ক্লাস বয়কট করেন তাঁরা।”

ছাত্রকে কোপ
অস্ত্র দিয়ে শান্তিপুর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক পড়ুয়াকে দুষ্কৃতীরা কোপাল। সুমন কর নামে ওই ছাত্র শান্তিপুর কলেজের নেতাজী পল্লির বা। জখম ওই ছাত্রকে রবিবার রাতে ৩ নম্বর রেলগেটের কাছ থেকে উদ্ধার করে। তাঁকে প্রথমে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

দেওয়াল ধসে মৃত্যু
দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হল আনন্দ মাঝি (৬০) নামে এক প্রৌঢ়র। সোমবার বিকেলে রঘুনাথগঞ্জের ঘোড়শালা এলাকার ঘটনা।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.