ময়না-তদন্তের রিপোর্ট সময় মতো হাতে না পাওয়ায় তদন্ত শেষ করার পরেও আদালতে চার্জশিট জমা দিতে পারছে না পুলিশ। সমস্যা সমাধানের জন্য গত সপ্তাহে আলোচনায় বসেছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিশ সুপার ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা।
মুর্শিদাবাদ জেলায় কান্দি, লালবাগ ও জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতাল ছাড়া ময়না-তদন্তের ব্যবস্থা রয়েছে জেলা সদর বহরমপুরে। ডোমকলে ময়না-তদন্তের কোনও ব্যবস্থা না থাকায় সেখানকার চাপও নিতে হয় বহরমপুরকে। তবে সব থেকে বেশি সমস্যা হচ্ছে বহরমপুর জেলা হাসপাতালের রিপোর্ট পাওয়ার ক্ষেত্রে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, বছরে প্রায় দু’ হাজার ময়নাতদন্ত হয় গোটা জেলায়। এ বছর ৩১ অগস্ট পর্যন্ত জেলায় প্রায় ১৪৫০ টি ময়না তদন্ত হয়েছে। তার মধ্যে বহরমপুরেই গত আট মাসে ময়নাতদন্ত হয়েছে ৭৬৭ টি। জঙ্গিপুর, লালবাগ ও কান্দিতে সংখ্যাটা যথাক্রমে ২৭৩, ২৩৩ এবং ১৭৪। তার মধ্যে বহরমপুরে ১৫৮টি, লালবাগে ৩০টি ও কান্দিতে ১৯ টি ময়না-তদন্তের রিপোর্ট এখনও পর্যন্ত হাতে পায়নি পুলিশ।
জেলা পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “ময়না-তদন্তের রিপোর্ট যে কোনও মামলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অথচ সময় মতো রিপোর্ট না পাওয়ায় তদন্ত শেষ হয়ে গেলেও আদালতে চার্জশিট জমা দিতে পারছে না পুলিশ।” জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অজয় চক্রবর্তী বলেন, “সমস্যাটা জেলা জুড়েই হচ্ছে। হাসপাতালের চিকিৎসকদের বলা হয়েছে যত দ্রুত সম্ভব রিপোর্ট লেখা শেষ করতে। এ নিয়ে প্রতি মাসে হাসপাতালের সুপারদের রিপোর্টও পাঠাতে বলা হয়েছে।”
বিক্ষোভ স্কুলে। স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির বিচার চেয়ে অন্য শিক্ষকদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার বাসিন্দারা। সোমবার কালীগঞ্জের বড়চাঁদ ঘর উত্তরপাড়া বাগানপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। গত মার্চে প্রাক্তন ওই শিক্ষক অবসর নেন। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সর্ব শিক্ষা মিশনের ভবন নির্মাণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই নিয়ে জেলাশাসক একটি তদন্ত কমিশন গঠনের নির্দেশও দিয়েছেন। কিন্তু সেই তদন্তে দেরি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বাসিন্দারা। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা কেনারানি ঘোষ বলেন, “প্রায় ২ ঘণ্টা আমাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশ এসে বিক্ষোভ তোলে। ” |