|
|
|
|
নয়াগ্রাম |
বাবাকে কুপিয়ে খুনে যাবজ্জীবন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
মায়ের সামনে বাবাকে কুপিয়ে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল ছেলের। সোমবার ঝাড়গ্রামের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক পার্থসারথী চক্রবর্তী এই সাজা ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত বছর তিরিশের কৃষ্ণ মাণ্ডির বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের নয়াগ্রামে। ঝাড়গ্রাম আদালতের সরকারি আইনজীবী প্রবীর পাল বলেন, “অপরাধের নৃশংসতার নিরিখেই কৃষ্ণকে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা দিয়েছেন বিচারক।”
ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১০ সালের ২৮ নভেম্বর। সে দিন রাতে বাড়ির বারন্দায় ঘুমোচ্ছিলেন নয়াগ্রাম থানার কাদোকোঠা গ্রামের বাসিন্দা নগেন মাণ্ডি। ঘুমন্ত অবস্থাতেই বছর ষাটেকের ওই বৃদ্ধকে কাটারি দিয়ে কুপিয়ে খুন করে তাঁর ছোটছেলে কৃষ্ণ। পরদিন ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নগেনবাবুর স্ত্রী ছিতাদেবী। তার ভিত্তিতে পুলিশ কৃষ্ণকে গ্রেফতার করে। এর আগে এক তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগেও কয়েক মাস জেল খেটেছিল কৃষ্ণ। পুলিশ তদন্তে জেনেছে, জমিজমা-সম্পত্তি তার নামে লিখে দেওয়ার জন্য নগেনবাবুকে চাপ দিত কৃষ্ণ। নগেনবাবু তাতে রাজি ছিলেন না। সেই রাগেই বাবাকে নৃশংস ভাবে খুন করে কৃষ্ণ।
২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি কৃষ্ণের বিরুদ্ধে ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। ২০১২ সালের ১০ জানুয়ারি আদালতে মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সব মিলিয়ে ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত। সোমবার কৃষ্ণকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যু পর্যন্ত আজীবন কারাদণ্ডের রায় দেন বিচারক। |
|
|
|
|
|