‘বঞ্চিত’ হয়ে শ্রীনির সঙ্গে সম্পর্কে ভাঙন
গাঁধীগিরির দিন শেষ, বলে দিচ্ছে সিএবি
নির্বাচনের পর চব্বিশ ঘণ্টাও কাটল না। নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসনের ভারতীয় বোর্ড এবং সিএবি-র সম্পর্কে ভাঙন ধরে গেল।
বোর্ডের ফিনান্স কমিটির সদস্য ও সিএবি কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে সোমবার পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, শ্রীনির চরম দুঃসময়ে তাঁর পাশে থাকার ‘পুরস্কার’ হিসেবে শুধু বঞ্চনাই নয়, বোর্ড বৈঠকে সিএবিকে অপমানিতও হতে হয়েছে। এবং শ্রীনিবাসন যদি এ ভাবে নিজের স্টান্স বদলাতে পারেন, তা হলে সিএবি পারবে না এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। গাঁধীগিরি-র দিন শেষ!
ক্ষুব্ধ সিএবি কর্তাদের বক্তব্যের সারমর্ম খুব পরিষ্কার। তাঁরা তালিকা ফেলে বলে দিচ্ছেন, কী ভাবে শ্রীনির দুঃসময়ে পাশে থেকেও বঞ্চিত হতে হল সিএবিকে। বলা হচ্ছে, ঝাড়খণ্ডের অমিতাভ চৌধুরিকে বোর্ডের মার্কেটিং কমিটির সঙ্গে সঙ্গে দুর্নীতিদমন ও নিরাপত্তা কমিটিরও চেয়ারম্যান করে দেওয়া হয়েছে। ওড়িশার রঞ্জীব বিসওয়াল আইপিএল গর্ভনিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। অসমকে দু’টো ভাল কমিটি দেওয়া হয়েছে। এস পি বনসলকে নতুন ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে দিয়ে তাঁকে জুনিয়র ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে। রবি সবন্তকেও নতুন ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেওয়া হয়েছে আম্পায়ার্স কমিটির নেতৃত্ব। সিএবি কী পেয়েছে? না, অন্তর্বর্তিকালীন বোর্ড প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়াকে করা হল নর্থ-ইস্ট ক্রিকেট ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান। সবচেয়ে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট চিত্রক মিত্রকে করা হল ভিজি ট্রফির চেয়ারম্যান।
বিশ্বরূপ বলে দিচ্ছেন যার কোনও মূল্যই নেই। “এই দু’টো কোনও কমিটি হল? ডালমিয়া আর চিত্রক মিত্রকে কি ভাল কোনও কমিটির চেয়ারম্যান করা যেত না?” প্রশ্ন তাঁর। “এটা অপমান ছাড়া কিছুই নয়। ওঁরা দু’জন সিনিয়র বোর্ড সদস্য। সেখানে ওঁদের ব্রাত্য রেখে অসম, ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ডকে ভাল ভাল কমিটি যখন দেওয়া হল, তখন ভবিষ্যতে সব ভেবে দেখতে হবে। আমাদেরও তো কথা শুনতে হচ্ছে। লোকে বলছে, এত করলে, কিন্তু বদলে তোমরা তো কিছুই পেলে না। সদস্যদের কাছে আমাদেরও জবাবদিহি করার ব্যাপার থাকে,” বলে দিচ্ছেন বিশ্বরূপ।
তা হলে অদূর ভবিষ্যতে শ্রীনিবাসনের সমর্থন থেকে সরে আসবে সিএবি? যখন সুপ্রিম কোর্টে শ্রীনির জটিলতা উত্তরোত্তর বাড়ছে? এ বার সিএবি কোষাধ্যক্ষের জবাব, “শ্রীনির খারাপ সময়ে সিএবি পাশে থেকেছে। ওঁর হয়ে কথা বলেছে। সিএবি প্রেসিডেন্ট গত কয়েকটা মাস একাই সব সামলে দিয়েছেন। তার পর যদি কেউ এ ভাবে স্টান্স বদলায়, তা হলে সিএবি কেন বদলাবে না? গাঁধীগিরির দিন শেষ হয়ে গিয়েছে। এ বার থেকে যে যেমন ব্যবহার করবে, সিএবি থেকে তেমন ব্যবহারই পাবে।”




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.