মেদিনীপুরে পুরভোট
ওয়ার্ড সংরক্ষণের তালিকা চূড়ান্ত
সামনে পুজো। তার আগেই পুরভোটের ঢাকে কাঠি পড়ে গেল। সোমবার প্রকাশিত হল মেদিনীপুর পুরসভার ওয়ার্ড সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা। সপ্তাহ তিনেক আগে ওয়ার্ড সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল। তা নিয়ে কয়েকটি অভিযোগও জমা পড়ে। শুনানি শেষে অভিযোগগুলো খারিজ হয়েছে। ফলে, খসড়া তালিকায় যা ছিল, চূড়ান্ত তালিকায় তাই রয়েছে। কিছু হেরফের হয়নি। পুরসভার ২৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১টি ওয়ার্ড সংরক্ষণের আওতায় এসেছে। এর মধ্যে মহিলা সংরক্ষিত ৯টি ওয়ার্ড। জেলার ওসি (ইলেকশন) বিশ্বরঞ্জন মুখোপাধ্যায় বলেন, “খসড়া তালিকা নিয়ে কিছু অভিযোগ এসেছিল। সবক’টি অভিযোগেরই শুনানি হয়েছে।”
এ দিকে, সংরক্ষণের গেরোয় পড়ে এ বার যে কয়েকজন কাউন্সিলর নিজের ওয়ার্ডে দাঁড়াতে পারবেন না, তাঁদের অন্যতম মেদিনীপুর পুরসভার বিদায়ী উপ-পুরপ্রধান এরশাদ আলি। গতবার ১০ নম্বর ওয়ার্ড (নতুন ১৩ নম্বর) থেকে কংগ্রেসের প্রতীকে জয়ী হন বিদায়ী উপ-পুরপ্রধান। চূড়ান্ত সংরক্ষণ তালিকা অনুযায়ী, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডটি মহিলা সংরক্ষিত। তাহলে কী করবেন বিদায়ী উপ-পুরপ্রধান? তিনি কী এ বার ভোটে দাঁড়াবেন না? দলীয় সূত্রে খবর, এরশাদ আলি এ বার ২৩ নম্বর ওয়ার্ড (পুরনো ২৪ নম্বর) থেকে ভোটে দাঁড়াতে পারেন। বছর দশেক আগে, ২০০৩ সালের নির্বাচনেও তিনি এই ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। তবে, এলাকাটি তার পরিচিত। বিদায়ী উপপুরপ্রধান নিজেও এই ওয়ার্ড থেকে ভোটে দাঁড়াতে চান। সোমবার তিনি বলেন, “আমার ওয়ার্ড মহিলা সংরক্ষিত। আমি অন্য ওয়ার্ড থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।” সবুজ সঙ্কেত দিচ্ছে কংগ্রেসও। দলের শহর সভাপতি সৌমেন খান বলেন, “এরশাদদা প্রবীণ নেতা। নতুন ২৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ভোটে দাঁড়ানোর ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন। আমরা ওই ওয়ার্ডের কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করছি।” আগে মেদিনীপুরে ২৪টি ওয়ার্ড ছিল। পুনর্বিন্যাসের ফলে সদর শহরের ওয়ার্ড সংখ্যা এখন ২৫টি। অর্থাৎ, একটি ওয়ার্ড বেড়েছে। এলাকা পুনর্বিন্যাসের ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আগের ওয়ার্ডের সঙ্গে নতুন ওয়ার্ডের নম্বরের মিল নেই। যেমন, আগের ৮ নম্বর ওয়ার্ড এখন ১১ নম্বর হয়েছে। পাঁচ বছর আগে, ২০০৮ সালে মেদিনীপুর পুরসভা নির্বাচন হয়েছিল। নির্বাচনে জিতে পুরসভার ক্ষমতা দখল করে কংগ্রেস-তৃণমূল। গত পাঁচ বছর ধরে পুরসভা পরিচালনা করেছে জোটই।
২০০৮ সালের ২৯ জুন রাজ্যের অন্য ১২টি পুরসভার সঙ্গে মেদিনীপুর পুরসভা নির্বাচন হয়েছিল। ফল বেরোনোর পর ১৮ জুলাই পুরবোর্ড গঠন হয়। সাধারণত, পুরনো বোর্ডের মেয়াদ ফুরনোর আগেই পুর-নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু তা হয়নি। নিয়মানুযায়ী বোর্ডের মেয়াদ শেষে পুরসভা চলে গিয়েছে প্রশাসকের হাতে। পুরসভার প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন মহকুমাশাসক (সদর) অমিতাভ দত্ত। এখন তিনিই পুরসভার সমস্ত কাজকর্ম পরিচালনা করছেন। চলতি মাসের ১০ তারিখ ওয়ার্ড সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই তালিকা নিয়ে ৪টি অভিযোগ জমা পড়ে। ২৬ সেপ্টেম্বর অভিযোগগুলোর শুনানি হয়। সেখানে অভিযোগগুলো খারিজ হয়েছে। চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী, ১, ৪, ৫, ৮, ১৩, ১৬, ১৯, ২২ এবং ২৫ এই ৯টি ওয়ার্ড মহিলা সংরক্ষিত। ৪ নম্বর ওয়ার্ডটি তফসিলি উপজাতি মহিলা সংরক্ষিত। ৯ এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ড তফসিলি জাতির মহিলার জন্য সংরক্ষিত।
আগামী ২২ নভেম্বর পুর-নির্বাচন হওয়ার কথা। রাজনৈতিক দলগুলো ইতিমধ্যে প্রার্থী বাছাই শুরু করেছে। সোমবার ওয়ার্ড সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর সেই তৎপরতা আরও বেড়েছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.