টুকরো খবর
বধূ নির্যাতনে ধৃত শাশুড়ি, পলাতক স্বামী
বধূ নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন শাশুড়ি। পলাতক স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ি সাত জন। সোমবার দাঁতনের পুলিশ শাশুড়ি শোভারানি সাহুকে আঙ্গুয়া গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। রবিবার বধূ অনিন্দিতা দাস সাহু শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে থানায় নির্যাতনের অভিযোগ করেন। অনিন্দিতা গোয়ালতোড় কলেজের আংশিক সময়ের অধ্যাপিকা। আঙ্গুয়ার পাশের গ্রাম খোলাগেরিয়ার বাসিন্দা অনিন্দিতার সঙ্গে ২০০৮ সালে বিয়ে হয় অশোক সাহুর। বিয়ের পর থেকেই ওই তরুণীর উপর অত্যাচার চলছিল বলে অভিযোগ। অনিন্দিতার বক্তব্য, বাপের বাড়ি যেতে বাধা দেওয়া হত। সেই সঙ্গে চাকরি ছাড়ার জন্যও চাপ দিচ্ছিলেন শাশুড়ি ও স্বামী। নির্যাতনে ইন্ধন জুগিয়েছিলেন তিন ভাসুর, জা, ননদ। ২০১০ সালে বিবাহ বিচ্ছেদের আইনি প্রক্রিয়াও শুরু হয়। তবে পরে সমঝোতা হওয়ায় বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি। মেয়ে জন্মানোর পরে অনিন্দিতার উপর নির্যাতন আরও বাড়ে বলে অভিযোগ। রবিবার ওই তরুণী দাঁতন থানায় এসে শ্বশুর বাড়ির সাত জনের নামে নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ জানান। সোমবার পুলিশ গিয়ে শাশুড়ি শোভারানিদেবীকে গ্রেফতার করে। বাকিরা পলাতক।

প্রৌঢ়ের মৃত্যুতে গ্রেফতার মহিলা
এক প্রৌঢ়ের অপমৃত্যুর ঘটনায় ধৃত মহিলার জেল হেফাজত হল। ধৃত আনসারা বিবিকে সোমবার মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করা হয়। তাঁকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। গড়বেতার যাদববাটিতে গত শনিবার প্রতিবেশীর সঙ্গে অশান্তির জেরে মারা যান আসরাফ পাঠান (৫৬)। শুক্রবার রাতে গ্রামের কাছেই শোভাগড় হাটতলায় জলসা বসেছিল। ছেলে মনিরুলের সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন আসরাফ। শনিবার ভোরে বাড়ি ফিরে তিনি জানতে পারেন, বাড়ি পুরুষশূন্য থাকার সুযোগে বাটুল খাঁ নামে প্রতিবেশী এক যুবক বৌমাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছে। কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে ওই যুবকের বাড়িতে যান আসরাফ। বাটুলের পরিজনদের সঙ্গে বচসা বাধে। তখনই মারামারিতে জখম হন আসরাফ। গড়বেতা হাসপাতালে আনার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। ছেলে মনিরুলও জখম হন। সব মিলিয়ে ৭ জনের নামে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন আনসারা বিবি। বাঁটুলের আত্মীয়া আনসারাকে রবিবার ধরে পুলিশ।

শিক্ষায় নৈরাজ্য, অবস্থানে বামেরা
শহরে সভা। —নিজস্ব চিত্র।
শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্য ও সন্ত্রাস বন্ধ করা, বকেয়া ডিএ দ্রুত মিটিয়ে দেওয়া সহ বেশ কয়েক দফা দাবিতে সোমবার মেদিনীপুর শহরে অবস্থান কর্মসূচি করল এবিটিএ সহ ৮টি বামপন্থী শিক্ষক সংগঠন। শহরের গাঁধী মূর্তির সামনে এই কর্মসূচি হয়। নেতৃত্বে ছিলেন এবিটিএ’র জেলা সম্পাদক অশোক ঘোষ, জেলা সভাপতি ব্রজগোপাল পড়্যা প্রমুখ। রিং রোডের একদিকের রাস্তা ঘিরে অবস্থান কর্মসূচি হয়। ফলে, এলাকায় যানজটেরও সৃষ্টি হয়। সমস্যায় পড়েন পথচলতি সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সকাল থেকেই এলাকায় বাড়তি পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। ৮টি বামপন্থী শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে এ দিন জেলাশাসক গুলাম আলি আনসারির দফতরে এক স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয়। এবিটিএ’র জেলা সম্পাদক অশোকবাবু বলেন, “রাজ্য জুড়ে শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্য চলছে। আমাদের জেলাও তার বাইরে নয়। স্কুল-কলেজ ক্যাম্পাসেই শিক্ষকেরা আক্রান্ত হচ্ছেন। সমাজবিরোধীরা ক্যাম্পাসে ঢুকে শাসাচ্ছে। ভয় দেখাচ্ছে। নির্দিষ্ট কিছু দাবির প্রেক্ষিতেই ৮টি সংগঠন মিলে এই কর্মসূচি।” এ দিন বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত অবস্থান চলে।

স্কুলভোটে হার
স্কুল নির্বাচনে হারল বামেরা। রবিবার ছিল দাঁতন বীরভদ্রপুর উচ্চ মাধ্যমিক হাইস্কুলের পরিচালন সমিতিতে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন। এই স্কুলের পরিচালন সমিতি দীর্ঘ দিন ধরেই সিপিএম সমর্থিতদের দখলে ছিল। ২০০৯ সালে নির্বাচন ঘিরে সংঘর্ষের পরেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতে সিপিএম। তবে এ বছর ছ’টি আসনের সবকটিতেই প্রার্থী তৃণমূল সমর্থিতরা জিতেছেন। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বিক্রম প্রধান বলেন, “মানুষ সিপিএমের অত্যাচার দেখেছে। তাই এ বার উন্নয়নের স্বার্থে আমাদের প্রতি আস্থা রেখেছে।”

চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে মৃত্যু
বাড়িতে চুরি করতে ঢুকে গণপিটুনিতে মৃত্যু হল এক কিশোর চোরের। সোমবার খড়্গপুরের নিউ সেটেলমেন্টের ঘটনা। তবে মৃতের পরিচয় জানা যায়নি। রেল কলোনির বাসিন্দা রেলকর্মী এস রামমোহন রাও গত ১৭ সেপ্টেম্বর সপরিবার সিরিডিতে গিয়েছিলেন। এ দিন সকালে বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন মূল দরজার তালা ভাঙা। ঘরে ঢুকতেই এক কিশোরকে খাটের তলায় লুকোতে দেখে ধরা হয়। চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। এরপর উত্তেজিত জনতা ওই কিশোরকে বেদম মারধর করে। খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ এসে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে। ততক্ষণে ওই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভদনা বরুণ চন্দ্রশেখর বলেন, “কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। ঘটনার তদন্ত চলছে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.