|
|
|
|
মন্দিরের সোনার হিসেব চাওয়ায় বিতর্ক |
সংবাদ সংস্থা • তিরুঅনন্তপুরম
|
সোনা আমদানি কমিয়ে চলতি খাতে বিপুল ঘাটতি সামাল দিতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানতে চায়, কত সোনা জমা আছে দেশের মন্দিরগুলিতে। বাস্তবে কোনওটাই সম্ভব হচ্ছে না। দিনে গড়ে প্রায় ২ হাজার ৩০০ কিলোগ্রাম সোনা কেনেন ভারতীয়রা। যা মাঝারি আকারের একটা হাতির ওজনের সমান। তা কমার কোনও ইঙ্গিত মিলছে না দেশের চলতি আর্থিক সঙ্কটের মধ্যেও। বিভিন্ন মন্দিরের কর্তৃপক্ষও সঞ্চিত সোনার হিসেব দিতে নারাজ। কেরলের ২ হাজার ৮০০টিরও বেশি মন্দির নিয়ন্ত্রণ করে তিনটি বোর্ড। সেগুলির অন্যতম কোচিন বোর্ড সোনার হিসেব না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সেই অনুযায়ী কেরলের গুরুভায়ুর মন্দির ইতিমধ্যেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে জানিয়ে দিয়েছে, সোনার হিসেব দেবে না তারা। এই মন্দিরের সাড়ে ৩৩ ফুট সোনার পতাকার কথা সকলেই জানেন। কিন্তু তাঁদের ভাণ্ডারে কত সোনা রয়েছে? মন্দিরের প্রশাসনিক বোর্ডের কর্তা ভিএম গোপাল মেনন বলেছেন, “ওই সোনা ভক্তদের দান। তার পরিমাণ জানানো হোক, ভক্তরা সেটা পছন্দ করবেন না।”
এই সব মন্দির কর্তৃপক্ষের পাশে রয়েছে বিজেপি ও হিন্দু সংগঠনগুলি। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)-র কেরল শাখার সম্পাদক ভি মোহনন ঘোষণা করেছেন, “হাজার হাজার বছর ধরে ভক্তরা ওই সোনা দান করেছেন। কাউকে তা হাতিয়ে নিতে দেব না আমরা।” বিজেপি-র কেরল শাখার প্রধান ভি মুরলীধরনের অভিযোগ, ঈশ্বরের করুণালাভের আশায় দান করা এই সোনার দখল নিতে চাইছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। হয়তো এই সোনা বেচে ডলার পাওয়ার জন্য।
যদিও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বক্তব্য, তারা হিসেব জানতে চেয়েছে মাত্র। ওই সোনা বাজারে নিয়ে আসার কোনও ভাবনা বা পরিকল্পনা তাদের নেই। আবশ্যক নয়, এমন পণ্য আমদানির তালিকায় সোনাই রয়েছে শীর্ষে। গত মার্চে শেষ হওয়া অর্থবর্ষে ৩,৩৮,০৪০ কোটি টাকার সোনা আমদানি হয়েছে ভারতে।
চলতি খাতে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে ঘাটতির (বৈদেশিক মুদ্রা আয়-ব্যয়ের ফারাক) বড় কারণ এটিই। চলতি অর্থবর্ষের এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে এই ঘাটতি পরিমাণ ছিল ১৩,৬৪৪ কোটি টাকার মতো। যা নিয়ন্ত্রণে আনার ক্ষেত্রে অনেকটাই কাজে আসত ভারতবাসীর স্বর্ণতৃষায় রাশ টানা গেলে। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের হিসেব, ভারতের মন্দিরগুলিতে অন্তত ২ হাজার টন সোনা মজুত রয়েছে, যার অর্থমূল্য ৮৪০০ কোটি ডলার। |
|
|
|
|
|