|
|
|
|
|
পুজোয় শিবধাম হবে নগাঁও,
থাকবে রাজস্থানের মন্দিরও
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
|
৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক বরাবর মরিগাঁও, রহা পেরিয়ে একটু এগিয়েই গায়ে সোয়েটার জড়িয়ে নিন, মাথায় মাঙ্কি-টুপি। তারপর হাতজোড় করে কপালে ঠেকান। আগেও হয়তো গিয়েছেন খুব চেনা নগাঁও শহরে। কিন্তু পুজোয় একেবারেই বদলে যাচ্ছে ওই শহরের ছবিটা।
শিব ঠাকুরের ‘ঘর’ হচ্ছে সেখানেই! তীর্থস্থান বলে কথা। প্রণাম তো করতেই হবে।
শুধু তাই নয়, তৈরি করা হচ্ছে রাজস্থানের জৈন মন্দির, দক্ষিণ ভারতের হিন্দু স্থাপত্যও। সেজে উঠছে পুজোর নগাঁও। যেন একই অঙ্গে বহু রূপ!
শহরের নামী পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম বৃহত্তর নগাঁও দুর্গোৎসব সমিতির মণ্ডপ। এ বার তারা গড়ছে কৈলাস পর্বত। ১০ লক্ষ টাকার বাজেট। ৪০ ফুট উঁচু মহাদেবও তৈরি হচ্ছে সেখানে। যুবক সঙ্ঘের মণ্ডপ দক্ষিণ ভারতের মন্দিরের আদলে। সঙ্গে চোখধাঁধানো আলো। শঙ্কর মিশন রোডের সর্বজনীন পূজা সমিতিতে মহীশূরের প্রাসাদ। মা কালী সঙ্ঘ তৈরি করছে মহীশূর প্যালেস। আলোতও থাকবে নবাবী আমলের জাঁকজমক।
শহরের পাঁচটি পুজো পা দিয়েছে ১০১ বছরে। ২৭টি পুজোর বয়স এ বার ৫১। সবচেয়ে পুরনো হিসেবে পরিচিত উকিল জানকী সেনের পুজো। স্থানীয় সূত্রের খবর, তা শুরু হয়েছিল ১৮৫০ সালে। সবচেয়ে পুরনো বারোয়ারি পুজো শুরু হয়েছিল ১৮৫৯ সালে, বীনাপানির হয়বরগাঁওয়ের পুজা। ফৌজদারি পট্টি, আমোল্লাপট্টির পুজোও অনেকদিনের।
নগাঁওয়ের ঐতিহ্য হিসেবে চিহ্নিত পুরানি গুদামের কাঠের ঠাকুর। ১৮৮৫ সালে লেশধর শর্মা ওরফে লেরেলা খনিকরের বানানো কাঠের প্রতিমা আজও বিসর্জন হয়নি। হাতিমুড়া পাহাড়ে প্রমত্ত সিংহের দুর্গামন্দিরে ৩৪৪ বছর ধরে পুজো হচ্ছে। পুরনো পুজোর মধ্যে পানিগাঁও কালীবাড়ি, সমাদ্দারপট্টি পুজোবাড়ি, হয়বরগাঁও রেলস্টেশন কালীবাড়ির পুজো উল্লেখযোগ্য। নগাঁও বাঙালি সম্মিলনী, নাজিরাজানের পুজো, শঙ্কর মিশন পথ, কলংপার, ফৌজদার পট্টি নাট্ট মন্দির, ভারত সেবাশ্রম, জ্যোতি ফ্লাওয়ার মিলের পুজোও জনপ্রিয়।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, ১২৭ বছর আগে লামডিং কালীবাড়িতে পুজোর প্রচলন করেছিলেন অন্নদাপ্রসাদ সেনগুপ্ত। লামডিং রামকৃষ্ণ মিশনেও ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে পুজো হয়ে আসছে। এছাড়া দেবরায় হাউস, সরকার হাউস, পালবাড়ি, তরুণ মজুমদারের বাড়িতেও সাবেকি পূজা হয়। কার্বি আংলং-এর ডিফু বারোয়ারি পুজোও এ বার ৬৫ বছরে পা দিল। |
|
|
|
|
|