|
|
|
|
শিলচরে স্বামীকে কুপিয়ে খুন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
ধারালো অস্ত্রে গলা কেটে এক ব্যক্তিকে খুন করল তাঁর স্ত্রী, ছেলে। শুক্রবার রাতে হাইলাকান্দি জেলার উত্তর জষ্ণাবাদের ঘটনা। মৃতদেহটি গর্তে পুঁতে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। আজ সকালে দুর্গন্ধ পেয়ে পড়শিরা খোঁজ শুরু করেন। উদ্ধার করা হয় পচাগলা দেহটি। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, অবৈধ সম্পর্কের জেরেই ওই হত্যাকাণ্ড।
পুলিশ জানিয়েছে, মাসতিনেক আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেন সামসুদ্দিন (৫৫)। প্রথম পক্ষের দুই ছেলে বছর পনেরোর আসাবুদ্দিন, বছর দশেকের আরও এক ছেলে থাকত তাঁর সঙ্গেই। মজিফুল বেগমকে বিয়ে করার পর পরিবারে সমস্যা শুরু হয়। শুক্রবার রাতে আসাবুদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে বটি দিয়ে স্বামীকে কুপিয়ে খুন করে বছর তিরিশের মজিফুল। দেহ ফেলে দেওয়া হয় বাড়ির শৌচাগারের গর্তে। রক্তমাখা কাঁথা পুকুরে ফেলে দেয় মজিফুল। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় মশারিও।
তদন্তকারীরা জানান, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হলেও ওই বাড়ির দেওয়ালে রক্তের দাগ থেকেই সূত্র মেলে। স্থানীয় থানার ওসি তানবির আহমেদ জানান, অবৈধ সম্পর্কের জেরেই ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে। শনিবার মজিফুল পড়শিদের জানিয়েছিল, তাঁর স্বামী নিখোঁজ হয়েছেন। আজ সকালে এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবেশীরা খোঁজাখুঁজি শুরু করলে মজিফুলই শৌচাগারে পুঁতে রাখা লাশের সন্ধান দেয়। পরে, ধড়-মুণ্ড প্রায় বিচ্ছিন্ন থাকা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশের কাছে নিহতের ছোট ছেলে জানায়, তার নতুন মা, দাদা মিলে সামসুদ্দিনকে খুন করেছে। পরে অভিযুক্তরা অপরাধ স্বীকার করে।
স্থানীয়রা জানান, গ্রাম থেকে জিনিসপত্র ঘোড়ার পিঠে চাপিয়ে হাইলাকান্দি শহরে পৌঁছে দিতেন। বছর দু’য়েক আগে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তিন মাস আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। পুলিশের অনুমান, ১৫ বছরের আসাবুদ্দিনের সঙ্গে তার সৎ মা মজিফুলের অবৈধ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। সামসুদ্দিন বিষয়টি টের পেয়ে যান। এরপরই তাঁকে খুন করার ছক কষা হয়েছিল। |
|
|
|
|
|