|
|
|
|
সংখ্যালঘু হয়রানি ঠেকাতে সব রাজ্যকে চিঠি শিন্দের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি
|
সন্ত্রাসের মামলায় নিরপরাধ সংখ্যালঘু যুবক-যুবতীদের গ্রেফতারি রুখতে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দে। কেবল সংখ্যালঘুদের নিয়েই শিন্দের এই চিঠিতে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
কখনও কোনও সংখ্যালঘু যুবক বা যুবতী এই ধরনের অবিচারের শিকার হলে তাঁর ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দিয়েছেন শিন্দে। এই সব ক্ষেত্রে দোষী পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে বলেও চিঠিতে মন্তব্য করেছেন তিনি।
সম্প্রতি মক্কা মসজিদ বিস্ফোরণে ভুল করে গ্রেফতার হওয়া যুবকদের ক্ষতিপূরণ দিতে উদ্যোগী হয়েছিল অন্ধ্রপ্রদেশের কংগ্রেস সরকার। সেই নির্দেশ খারিজ করে দেয় অন্ধ্র হাইকোর্ট। পরে অবশ্য হাইকোর্ট ওই নির্দেশ নিয়ে ফের শুনানিতে রাজি হয়েছে। শিন্দে চিঠিতে জানিয়েছেন, সংখ্যালঘু যুবকদের হয়রানি নিয়ে দরবার করতে তাঁর কাছে প্রায়ই আসেন নানা রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।
সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে সংখ্যালঘু মন্ত্রী কে রহমান খানের সঙ্গে দেখা করেন কয়েকটি সংগঠনের নেতারা। তার পরে শিন্দেকে চিঠি লেখেন রহমান খানও। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ঢিলেমি দেখানো চলবে না। কিন্তু, সেই সঙ্গে সমাজের শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথাও মাথায় রাখতে হবে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অনেকে মনে করছেন, জঙ্গি হামলা হলে কেবল তাঁদেরই হয়রানি করা হবে।
জঙ্গি হানার মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য রাজ্যগুলিকে বিশেষ আদালত গঠন, বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি নিয়োগের মতো পদক্ষেপ করতে বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর মতে, ঝুলে থাকা অন্য মামলার চেয়ে জঙ্গি হানার মামলাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
পাঁচ রাজ্য ও লোকসভা ভোটের আগে এই নির্দেশে স্পষ্টতই রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন অনেকে। তাঁদের মতে, সংখ্যালঘু ভোট টানতেই এই চিঠি লিখেছেন শিন্দে। বিজেপি নেতা বেঙ্কাইয়া নায়ডুর বক্তব্য, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উচিত এই নির্দেশ প্রত্যাহার করে দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া। এই
নির্দেশ গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার বিরোধী।” বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের দাবি, অনেক জঙ্গি হানার মামলায় সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের মানুষকেও অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আপত্তি আছে বামেদেরও।
সিপিআই নেতা ডি রাজার বক্তব্য, “সংখ্যালঘুরা হেনস্থা হন ঠিকই। তাঁদের প্রতি কেন্দ্রের সহমর্মিতাকেও আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু, ভোটের মরসুমের আগেই এই নির্দেশ এল কেন?” তাঁর কথায়, ‘‘কংগ্রেস এ ভাবে সংখ্যালঘুদের মন কাড়ার চেষ্টা করতে পারে না।”
আজই উত্তরপ্রদেশের সব থানায় অন্তত তিন জন সংখ্যালঘু পুলিশ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে সে রাজ্যের শাসক সমাজবাদী পার্টি। মুলায়ম সিংহ যাদব জানিয়েছেন, রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর-জেনারেলকে এই নির্দেশ দিয়ে চিঠি লিখেছেন তিনি। |
|
|
|
|
|