|
|
|
|
মহারাষ্ট্রে জনজোয়ারে মোদী, চান মহাজোট |
সংবাদ সংস্থা • মুম্বই
|
রাজধানী-সহ দেশের নানা প্রান্তেই নিজের জনপ্রিয়তার প্রমাণ দিয়ে চলেছেন তিনি। ব্যতিক্রম হল না মুম্বইও। দলের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষিত হওয়ার পরে প্রথমবার মহারাষ্ট্রে এলেন নরেন্দ্র মোদী। বিমানবন্দরেই পেলেন বিপুল অভ্যর্থনা। মোদীকে অভ্যর্থনা জানাতে হাজির ছিলেন জোট-শরিক শিবসেনার প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। অবশ্য দেখা গেল না উদ্ধবের ভাই রাজকে। বিজেপি সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে এই দুই ভাইকে এক জোট করাই এখন মোদীর অন্যতম লক্ষ্য।
পুরোপুরি প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর চিত্রনাট্য মেনেই মুম্বইয়ে চলেছেন মোদী। বিমানবন্দরে “মোদী, মোদী” স্লোগানের মধ্যে জানিয়েছেন, সিবিআইকে দিয়ে তাঁর মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে ইউপিএ সরকার। ওই ওষুধ মুলায়ম, মায়াবতীর ক্ষেত্রে কাজ করবে। কিন্তু, তাঁকে কাবু করা যাবে না। তুলে এনেছেন মনমোহন সিংহ আমেরিকায় থাকার সময়ে দাগি নেতাদের বাঁচানো সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্স নিয়ে রাহুলের আক্রমণের কথাও। দাবি করেছেন, এর ফলে মনমোহনের সঙ্গে আলোচনা করে লাভ হবে না বলে মনে করেছেন বিদেশিরাও।
বান্দ্রায় গুজরাতি হিরে ব্যবসায়ীদের সভায় রুপোয় ওজন করা হয়েছে মোদীকে। সেখানে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, দেশের এই ‘দুরবস্থা’ আর আট মাস চলবে। তার সঙ্গে সতর্ক করেছেন, এখন সারা দেশে সন্দেহের বাতাবরণ। কেবল সিবিআই আর আয়কর দফতর ছাড়া আর সব কিছুর উপরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে ইউপিএ সরকার। তাই এই অনুষ্ঠানে হাজির সবার উপরেই নজরদারি শুরু করবে আয়কর। সন্ধ্যায় বিজ্ঞাপন সংস্থার কর্তাদের শুনিয়েছেন বিশ্বে ‘ব্র্যান্ড ইন্ডিয়া’ ফেরি করার স্বপ্নের কথা। যাতে ব্যবহার করা যায় বলিউডকেও।
এ সবের পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সমীকরণও তাঁকে ভাবাচ্ছে বলেই দাবি বিজেপি নেতাদের। ২০০৬ সালে শিবসেনা ছেড়ে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা তৈরি করেছিলেন বালাসাহেব ঠাকরের ভাইপো রাজ। দলীয় সূত্রের দাবি, বালাসাহেবের মৃত্যুর পরে এখন দুই ভাইকেই এনডিএ-র মঞ্চে আনতে চান মোদী। তাঁর মতে, কংগ্রেস-এনসিপি-র মোকাবিলায় উদ্ধব, রাজ ও বিজেপি-র মহাজোট প্রয়োজন। দু’ভাইয়ের সঙ্গেই তাঁর ব্যক্তিগত সমীকরণ ভাল।
রাজ্য বিজেপির এক নেতা জানান, প্রচার কমিটির প্রধান থাকার সময়েই রাজ ও উদ্ধবের সমঝোতার চেষ্টা শুরু করেছিলেন তিনি। দু’ভাইয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন মহারাষ্ট্র বিজেপি-র প্রধান দেবেন্দ্র ফড় নবিস। দলের একাংশের মতে, বালাসাহেব চলে যাওয়ার পরে তাঁর মতো কোনও হিন্দুহৃদয় সম্রাট চান মহারাষ্ট্রের বিজেপি-শিবসেনার সমর্থকরা। আজ বিপুল অভ্যর্থনার পরে মোদীর মধ্যে কিছুটা হলেও হয়তো সেই ছায়া দেখতে পাচ্ছেন তাঁরা। আর সেই সুযোগকেই ব্যবহার করে মহারাষ্ট্রে দুই ঠাকরে ভাইকে এক মঞ্চে আনতে জোরদার চেষ্টা করবেন মোদী। সফল হবেন কি না, বলবে সময়। |
|
|
|
|
|