সল্টলেক
জঙ্গি-হানা রুখতে এ বার বিশেষ বাহিনী
ছর চারেক আগে রাজারহাটে আচমকা হানা দেয় সিআইডি-র একটি দল। উদ্ধার হয় প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র। যদিও অভিযোগ, স্থানীয় পুলিশের কাছে এ নিয়ে কোনও তথ্যই ছিল না।
এর বছর দুয়েকের মধ্যে ফের ওই এলাকায় হানা দিয়ে কয়েক লক্ষ টাকার জাল নোট বাজেয়াপ্ত করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। গ্রেফতার হয় জাল নোট পাচারের এক পাণ্ডা।
রাজ্য ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি, বিমানবন্দর সংলগ্ন রাজারহাটের কাছে অপরাধ-চক্র গড়ে উঠলেও স্থানীয় পুলিশ কিছুই আঁচ পায়নি। ঘটনাচক্রে ২০১২ সালে বিমানবন্দর ও রাজারহাট-নিউ টাউন এলাকা বিধাননগর কমিশনারেটের আওতায় আসে। পুলিশের একাংশের দাবি, সংবেদনশীল এই এলাকার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। এ বার সেই একই ভাবনা থেকে জঙ্গি ও নাশকতা দমনে কলকাতা পুলিশের ধাঁচে ‘স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ’ (এসওজি) তৈরি করছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট।
জঙ্গি ও আন্তর্জাতিক অপরাধ-চক্রের মোকাবিলায় এ রাজ্যে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের পাশাপাশি রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি-রও জঙ্গি দমন ও প্রতিরোধে বিশেষ বাহিনী রয়েছে। তবে রাজ্য পুলিশের একাংশের অভিযোগ, বেশ কয়েক বছর ধরে অন্যান্য ধরনের অপরাধ রুখতে বা তদন্তে ব্যস্ত থাকায় জঙ্গি-দমনে আগের মতো সক্রিয় নয় সিআইডি। পুলিশকর্তারা জানান, বর্তমানে রাজ্যে একমাত্র কলকাতা পুলিশের এসটিএফ-ই জঙ্গি দমন বা প্রতিরোধে সক্রিয়। সেই তালিকায় দ্বিতীয় সংযোজন হতে চলেছে বিধাননগর কমিশনারেট। এসটিএফ রূপ পেয়েছিল আইপিএস অফিসার রাজীব কুমারের হাত ধরে। কাকতালীয় ভাবে রাজীববাবু এখন বিধাননগরেরও পুলিশ কমিশনার।
মহাকরণ সূত্রের খবর, চলতি মাসের মধ্যেই কাজ শুরু করবে এসওজি। তাদের প্রধান অফিস হবে সল্টলেক পূর্ত ভবনে বিধাননগর উত্তর থানার পাশে। বাহিনীর মূল থাকবেন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার এক অফিসার। তার অধীনে থাকবেন সহকারী কমিশনার-সহ একাধিক ইনস্পেক্টর। ইতিমধ্যেই মূলত কমবয়সী, দক্ষ পুলিশকর্মীদের নিয়োগ করা শুরু হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, এসটিএফের মতো এসওজি-র ক্ষেত্রেও থাকছে আলাদা থানা, যাতে নাশকতামূলক সব মামলা রুজু করে তারা তদন্ত করতে পারে।
পুলিশকর্তাদের বক্তব্য, বিধাননগর কমিশনারেটের আওতায় রয়েছে রাজারহাট-নিউ টাউনে গড়ে ওঠা শপিং মল, আবাসন, প্রযুক্তি হাব। বিমানবন্দরের ভিতরের নিরাপত্তার দায়িত্বে সিআইএসএফ থাকলেও বাইরের দায়িত্ব বিধাননগর পুলিশের। পুলিশকর্তাদের দাবি, ২০০২-এ মার্কিন তথ্যকেন্দ্রে আক্রমণের পরে কলকাতা বা সংলগ্ন এলাকায় তেমন কোনও জঙ্গি নাশকতা ঘটেনি। কিন্তু দেখা গিয়েছে, জঙ্গি সংগঠনগুলি এ রাজ্যকে আশ্রয়স্থল ও বিস্ফোরক পাচারের ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করে। কিছু দিন আগে কলকাতা পুলিশ আনোয়ার হোসেন মল্লিক বলে এক জঙ্গিকে ধরে। জেরায় জানা যায়, ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য ইয়াসিন ভাটকল এ রাজ্যে এসে একাধিক বার বিস্ফোরক নিয়ে গিয়েছে। যা পরে নাশকতায় কাজে লাগানো হয়। পুলিশ জানায়, বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে অতীতে গোপন কাজকর্ম করেছে জঙ্গিরা।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.