সহকর্মীকে খুন, যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর |
এক সহকর্মীকে খুন ও আর এক সহকর্মীকে খুনের চেষ্টার দায়ে কারাদণ্ড হল রঞ্জন কোঁড়া নামে যুবকের। শুক্রবার বোলপুরের অতিরিক্ত জেলা জজ মানস বসু ওই যুবককে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। সোমবার সাজা ঘোষণা হয়। সরকারি আইনজীবী তপনকুমার দে বলেন, “এক কর্মীকে খুন দায়ে বিচারক রঞ্জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা জারিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড এবং আর এক কর্মীকে খুনের চেষ্টার দায়ে তাকে দশ বছর কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাদণ্ড, ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারাত্মক জখম করার দায়ে সাত বছর কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আর ৩ মাস কারাদণ্ডের সাজা হয়।” সব সাজা এক সঙ্গে চলবে।
২০০৯ সালের ৫ অক্টোবরের ঘটনা। ওই দিন সকালে শ্রীনিকেতন-ইলামবাজার রাস্তার উপরে থাকা ওই হোটেলের দোতলার বারান্দার আলো নেভাতে গিয়ে দু’টি রুমের (৬ এবং ৭) মেজে থেকে রক্ত ঝরতে দেখেন কর্মী শ্যাম প্রামাণিক। ৭ নম্বর রুমটি ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। ৬ নম্বর রুমে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন কর্মী নবকুমার মাইতি। পুলিশের উপস্থিতিতে বন্ধ ঘরের দরজা খুলে দেখেন কর্মী প্রদীপ মণ্ডলের নিথর দেহ পড়ে আছে। ঘটনার পর থেকেই স্থানীয় কাশিমবাজারের বাসিন্দা ওই হোটেলের কর্মী রঞ্জন কোঁড়ার খোঁজ মিলছিল না।
ঘটনার দিন সন্ধ্যায় রঞ্জনকে ওই সন্দেহজনক অবস্থায় ঘোরাফেরা করতে দেখে হোটেলের কর্মীরা তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। রাতেই হোটেলের পিছনের ঝোপ থেকে একটি ছুরি উদ্ধার হয়। জেরায় সে প্রদীপ মণ্ডলকে খুন এবং নবকুমার মাইতিকে খুনের চেষ্টা করার কথা স্বীকার করে রঞ্জন। গ্রেফতারের পর থেকে জেল হাজতে ছিল অভিযুক্ত। মোট ১৬ জনের সাক্ষ্য নিয়েছে আদালত। গত বছর ১১ ডিসেম্বর সাক্ষ্য দেন নবকুমার মাইতিও। |