তালিকা নিয়ে ধোঁয়াশা
মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে টাকা নেবে জেলার ১০০ মেয়ে
দুঃস্থ ছাত্রীদের লেখাপড়ায় সাহায্য করতে পয়লা অক্টোবর থেকে চালু হচ্ছে রাজ্য সরকারের নতুন প্রকল্প ‘কন্যাশ্রী’। এ জন্য আবেদনপত্র নেওয়া শুরু হয়েছে। তার মধ্যে ১০০ জন আজ, মঙ্গলবার কলকাতায় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে অর্থ সাহায্য গ্রহণ করবে। বীরভূমে প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা সমাজকল্যাণ দফতরের আধিকারিক প্রদীপ কুমার বলেন, “ওই ১০০ জনের মধ্যে ১৩ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে ৮০ জন আছে। বাকি ২০ জন ১৮ ঊর্দ্ধ, কিন্তু ১৯ বছরের মধ্যে।”
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী এই নতুন প্রকল্পে ১৩-১৮ বছরের মধ্যে গরিব পরিবারের স্কুল-কলেজের ছাত্রীদের বার্ষিক ও এককালীন আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। আজ, মঙ্গলবার রাজ্যের ১০ হাজার ছাত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ওই আর্থিক সাহায্য জমা দেওয়া হবে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, দুঃস্থ পরিবারে অভিভাবকেরা যাতে ছাত্রীদের তড়িঘড়ি বিয়ে না দিয়ে অন্তত ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত পড়াশোনার ব্যবস্থা করেন, সে জন্যই ‘কন্যাশ্রী’র পরিকল্পনা। প্রকল্পে সাহায্য পেতে ছাত্রীদের বয়স চলতি বছরের পয়লা এপ্রিল থেকে ১৩ বছর থেকে ১৮ বছরের মধ্যে হতে হবে। পরিবারের বার্ষিক আয় থাকতে হবে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মধ্যে। শর্ত পূরণ হলে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি বছর ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে। ১৮ বছর বয়স হলেই ছাত্রীদের এককালীন ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে। প্রকল্পটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। সাহায্য পাওয়ার জন্য উপযুক্ত ছাত্রীরা এখন থেকে যে কোনও সময় আবেদন করতে পারবে।
এ দিকে জেলার ১০০ জন মেয়ে যখন কলকাতায় ওই অর্থ সাহায্য নিতে যাচ্ছে, তখন কয়েক হাজার ছাত্রী আর তাদের অভিভাবক পুরো বিষয়টি নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। তাদের নাম কী ভাবে ওই তালিকাভুক্ত হবে কিংবা আদৌ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে তাদের মনে। ওই মেয়েদের অভিভাবকেরা ১০০ জনের ওই তালিকা ঘিরেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। তালিকায় কাদের নাম রয়েছে তা প্রশাসন জানাতে পারেনি। কিসের ভিত্তিতে ওই তালিকা তৈরি করা হয়েছে, তা নিয়েও স্পষ্ট বক্তব্য মেলেনি। প্রদীপবাবু জানিয়েছেন, জেলা মাধ্যমিক স্কুল পরিদর্শককে ১০০টি আবেদনপত্র বিলি করতে দেওয়া হয়। তা যাঁচাই করে ১০০ জনকে প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।” অন্য দিকে, জেলা মাধ্যনিক স্কুল পরিদর্শক আসরাফ আলি মির্জা বলেন, “১০০ জনের নামের তালিকা অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন)-এর সঙ্গে আলোচনা করে তৈরি করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে যা বলার জেলাশাসকই বলবেন।” তিনি জানান, ওই প্রকল্পের জন্য জেলায় মোট ৫০০০ আবেদনপত্র এসেছে।
কিন্তু অভিভাবকদের দাবি, প্রকল্পের নির্দিষ্ট শর্ত মেনে আবেদনকারীর সংখ্যা তা সহজেই ছাপিয়ে যাবে। ফলে ৫০০০ হাজার আবেদনপত্র কাদের দেওয়া হবে এবং তা ফুরিয়ে গেলে প্রশাসন নতুন আবেদনপত্র বিলি করবে কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবকের অভিযোগ, “প্রশাসনের কোনও কর্তাই এ নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারছেন না। তার জন্যই আমাদের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে।” অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) কৃষ্ণা মাড্ডি প্রকল্প নিয়ে কোনও মন্তব্য না করতে চাইলেও জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলেন, “প্রকল্পের উদ্বোধনের জন্য আমরা একটা তালিকা করেছি। প্রকল্প ঘিরে কোথাও কোনও বিতর্ক নেই।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.