নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
সাঁকতোড়িয়ার ধসপ্রবণ এলাকার মানুষজনের পুনর্বাসন নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করল এডিডিএ। সোমবার সেই বৈঠকের পরে এডিডিএ-র চেয়ারম্যান নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সিদ্ধান্ত হয়েছে, সাঁকতোড়িয়ার ধসপ্রবণ যে সব এলাকায় এখনও জনসমীক্ষা হয়নি, আগামী নভেম্বরের মধ্যে তা সেরে ফেলা হবে। সেই সব বাসিন্দাদের সেই সংক্রান্ত পরিচয়পত্রও দেওয়া হবে। এ দিনই বাড়ির উঠোন ফেটে জ্বলন্ত গর্ভে পড়ে মৃত হেনা পারভিনের দেহ ময়না-তদন্তের পরে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধসের ওই ঘটনার পরে স্থানীয় ক্লাবের অস্থায়ী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কিছু পরিবার। রবিবার মহকুমা প্রশাসনের তরফে চাল, ডাল, তেল-সহ নানা ত্রাণ সামগ্রী এলাকায় বিলি করা হয়। সোমবার নতুন করে আর সেখানে ত্রাণ আসেনি। মহকুমাশাসক অমিতাভ দাস জানান, ইসিএলের পক্ষ থেকে ধস কবলিত পরিবারগুলির থাকার জন্য একটি কমিউনিটি সেন্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁরা সেখানে গিয়ে থাকতে পারেন। যদিও সোমবার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ক্ষতিগ্রস্তদের অনেকেই নিজেদের পছন্দ মতো নিরাপদ জায়গায় চলে গিয়েছেন। এডিডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে আসানসোলের ডামড়া এবং রানিগঞ্জের এগারা ও কোটালডি এলাকায় প্রায় দু’হাজার একর সরকারি খাসজমি চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানেই ধসপ্রবণ বা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষজনকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পুর্নবাসন দেওয়া হবে। সপ্তাহখানেক আগে আসানসোলে পুর ও নগরোন্নয়নমূলক কাজকর্ম দেখতে এসে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও জানিয়েছিলেন, রানিগঞ্জ-আসানসোল খনি এলাকায় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পুর্নবাসনের বিষয়টি রাজ্য সরকার বেশি গুরুত্ব দিয়ে শেষ করতে চাইছেন। এডিডিএ-কে সরকারের তরফে সেই কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এডিডিএ-র চেয়ারম্যান নিখিলবাবু বলেন, “আগামী বছরের গোড়াতেই আমরা প্রাথমিক ভাবে পুনর্বাসন প্রথম পর্যায়ের কাজ সেরে ফেলার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছি। যত দ্রুত সম্ভব এই পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শেষ করে ফেলার চেষ্টা চলছে।” |