গোড়ায় ঠিক ছিল আজ, সোমবার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন হবে। কিন্তু, তা হচ্ছে না। পরিবর্তে কাল, মঙ্গলবার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন হবে। আজ, সোমবার কলকাতায় তৃণমূলের সম্মেলন রয়েছে। জেলার নেতারাও যাবেন। সে জন্যই কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচনের দিনবদল করা হয়েছে বলে খবর। অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) পাপিয়া ঘোষ রায়চৌধুরী বলেন, “মঙ্গলবার কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন হবে। সেই মতো সব প্রস্তুতি সারা হয়েছে।”
এ বারই প্রথম পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল। গত ১০ সেপ্টেম্বর সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতি নির্বাচন হয়েছে। সভাধিপতি হয়েছেন উত্তরা সিংহ, সহ-সভাধিপতি সমায় মাণ্ডি। ১৯ সেপ্টেম্বর স্থায়ী সমিতি গঠন হয়। জেলা পরিষদে সব মিলিয়ে ১০টি স্থায়ী সমিতি রয়েছে। এর মধ্যে অর্থ বাদে ওই দিন ৯টি স্থায়ী সমিতির নির্বাচন হয়। এই ৯টি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ, সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতি এবং বিরোধী দলনেতাকে নিয়ে পরে অর্থ দফতরের স্থায়ী সমিতি গঠিত হবে। সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতি অবশ্য প্রতিটি স্থায়ী সমিতিরই সদস্য। স্থায়ী সমিতি গঠনের নির্বাচনে বিরোধীদের পক্ষ থেকে কোনও প্রস্তাব পেশ করা হয়নি। ফলে, তৃণমূলের পক্ষ থেকে পেশ করা প্রস্তাবগুলোই গৃহীত হয়েছিল। কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচনেও এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সূত্রের খবর, পূর্ত ও পরিবহণ কর্মাধ্যক্ষ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন শৈবাল গিরি। খাদ্য ও সরবরাহে এগিয়ে ক্ষমানন্দ মাহাতো। বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ হতে পারেন কাজী আব্দুল হামিদ। শিক্ষা-সংস্কৃতি, ক্রীড়ায় এগিয়ে শ্যামপদ পাত্র। কৃষি ও সেচ কর্মাধ্যক্ষ হতে পারেন নির্মল ঘোষ। ক্ষুদ্র শিল্প ও বিদ্যুতে এগিয়ে অমূল্য মাইতি। শিশু ও নারী উন্নয়ন কর্মাধ্যক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা কাবেরী চট্টোপাধ্যায়ের।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য দীর্ঘ দিন বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ চলেছে শ্লথ গতিতে। নতুন পঞ্চায়েত গঠনের পর কাজ শুরু হয়েছে। জেলা পরিষদের পূর্ণাঙ্গ বোর্ড গঠন হলে কাজে আরও গতি আসবে বলেই ধারণা। |