বোর্ড প্রেসিডেন্ট হতে গেলে কী দরকার? না, চোর হতে হবে!
নির্বাচনোত্তর বোর্ডের বিভিন্ন পদে তা হলে কারা রইলেন? না, সব ছাপ্পা মারা চোর!
ভারতীয় ক্রিকেট, বোর্ডকে কে এখন বাঁচাতে পারে? না, স্রেফ ঈশ্বর!
নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসনের বোর্ড তাঁকে আজীবন নির্বাসনের অন্ধকূপে ফেলে দিয়েছে। কিন্তু ললিত মোদী তাতে বিন্দুমাত্র প্রভাবিত হলে তো?
বরং রবিবার চেন্নাইয়ের বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভাকে উপলক্ষ্য করে যে ভাবে টুইটারে ‘কার্পেট বম্বিং’ চলল, তাতে একটা ব্যাপার পরিষ্কার। নির্বাসনের পরপরই মোদী হুমকি দিয়েছিলেন, এর পর রাখঢাক না করেই বোর্ডের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালাবেন। দেখা গেল, মোদী কথা রেখেছেন। টুইটারে কী বললেন নয়, প্রশ্নটা হওয়া উচিত কী বলতে বাকি রাখলেন মোদী!
বৈঠকের পর শ্রীনিবাসন যতই বলে রাখুন যে, “আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন ভাবে জিতলাম। কিন্তু কোনও চার্জ আমি নিচ্ছি না। বিভিন্ন পদাধিকারীরাই কাজকর্ম চালাবেন। আমি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের জন্য অপেক্ষা করব,” সে সবে কোনও তফাত হয়নি। এবং মোদী শুধু বোর্ড প্রেসিডেন্টকেই নন, রাজীব শুক্ল থেকে অরুণ জেটলি, জগমোহন ডালমিয়া সবাইকেই একহাত নিয়ে রাখলেন। |
আশা করছি কাল বিচক্ষণ বিচারপতিরা পুরো বোর্ডকেই খারিজ করে দেবে, তা হলে ক্রিকেট রক্ষাকর্তা হিসেবে ইতিহাস ওঁদের মনে রাখবে।
মোদী |
কোনও চার্জ আমি নিচ্ছি না। বিভিন্ন পদাধিকারীরাই কাজকর্ম চালাবেন। আমি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের জন্য অপেক্ষা করব।
শ্রীনিবাসন |
|
এ দিন টুইটারে এক ফলোয়ার মোদীকে জিজ্ঞেস করেন, বোর্ড প্রেসিডেন্ট হওয়ার তা হলে মাপকাঠিটা কী? কী কী যোগ্যতা চাই? মোদী তৎক্ষণাৎ জবাব দেন, ‘চোর হলেই চলবে!’ এখানেই না থেমে আরও লেখেন, ‘এক দল ছাপ্পা মারা চোরদের আমরা এ বার দেখতে পাচ্ছি। ইচ্ছে আছে দেখার যে কে এ বার শ্রীনির হিজ মাস্টার্স ভয়েস হয়। জেটলিকে ধন্যবাদ এর জন্য। শুধু ঈশ্বরই আমাদের এখন বাঁচাতে পারেন। অবিশ্বাস্য সব লোকজনকে বোর্ড আর আইপিএলে আনা হল। যারা একদল ক্রিকেট মাফিয়া ছাড়া কিছু নয়। রক্তের প্রতিটি বিন্দু এরা শুষে নেবে।’ পাশাপাশি টুইটার মারফত সুপ্রিম কোর্টের কাছে নিজের প্রার্থনাও পেশ করে রাখলেন। লিখে ফেললেন, ‘আশা করছি কাল আদালতের বিচক্ষণ বিচারপতিরা পুরো বোর্ডকেই খারিজ করে দেবে, তা হলে ক্রিকেট রক্ষাকর্তা হিসেবে ইতিহাস ওঁদের মনে রাখবে।’ রাজীব শুক্লদেরও ছাড়েননি মোদী। লিখেছেন, ‘শুক্ল, ডালমিয়াকেও ধন্যবাদ এর জন্য। ধন্যবাদ বোর্ডের বাকি সদস্যদেরও। যাদের দাঁত-নখ বা শিরদাঁড়া বলে কিছু নেই। আর ক্রিকেটপ্রেমীরা যেন অরুণ জেটলিকে মনে রাখেন। শ্রীনির পিছনে উনি আছেন। যা হল সবই কিন্তু জেটলিরই স্ট্র্যাটেজিতে।’ |
বাংলা যা পেল |
চিত্রক মিত্র
ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ভিজি ট্রফির চেয়ারম্যান।
পদের গুরুত্ব
সম্মানীয় কিন্তু অনেকটাই আলঙ্কারিক। ভিজি ট্রফি নিয়েও কারও মাথাব্যথা নেই। |
বিশ্বরূপ দে
ফিনান্স কমিটির সদস্য
পদের গুরুত্ব
কমিটি গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু শ্রীনি-র অঙ্গুলিহেলনে সঞ্চালিত। |
সুবীর গঙ্গোপাধ্যায়
আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য।
পদের গুরুত্ব
কমিটি গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু প্রধান শ্রীনিবাসনের হাতের পুতুল। |
কমল কাজারিয়া
(এনসিসি) মার্কেটিং কমিটির সদস্য
পদের গুরুত্ব
ধরেই নেওয়া যায় তাঁর উপস্থিতি নামমাত্র থাকবে। |
জগমোহন ডালমিয়া
উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান
পদের গুরুত্ব
গুরুত্বহীনেরও গুরুত্বহীন। গত আট বছর কোনও সভা হয়নি। |
সুজন মুখোপাধ্যায়
এনসিএ কমিটি
পদের গুরুত্ব
তেমন কিছু করার সুযোগ কম। এটাও সান্ত্বনা পুরস্কার। |
|